Monday, December 10, 2007
জাগরন ক্যাম্পেইনের ঘুমাইয়া যাওয়ার পেইনফুল সমাধান !
দিন কাল খারাপ । যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙলো ঝড়ে গানটা শুনা নিষেধ । যেদিক তাকাই , খালি মন খারাপ করা খবর । তার ভিত্রেই চামে চুমে মুন ভালো করার চিষ্টা কইরা যাইতেছি । সেইটাতে কারু ত্রান মূলক সাহায্য পাওন যাইতেছে না । সকলে মিলিয়া পণ করিয়াছে , আমারে যেমনে পারুক , কান্দাইবো । কি আর করুম। কাম ও আকামে ব্যস্তু আচি । দিন ভইরা রিলিপের গপ মনিটর করি । কার কি লাইগবো , সেইডার যোগাড় যন্ত্র করি। রাত জাইগা পেলেনের থন রিলিপ নামাই । ভুরের বেলা সবাই বাথুরুমে যাওনের আগে বরিশাল পাঠাই । এই তো লাইফ , এক্কেরে জীবন হইয়া গেলো । লাস্ট ৪৮ আওয়ার্স ছিলাম ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্ক শপে । আপিসে আইসা দেখি , আমার সাধের কফির মাগ ভাঈঙ্গা লাইসে । আর টেবিলে পাহাড় সুমান উঁচা কাম। টেলিফুনে আমারে বিছ্রাইতাছে বেনামী সব নাম । মাঝে দিয়া আমার হইসে অনেক ইলজাম। ইলজাম ছুটানির লাইগা কচ্ছপের মত ঝাপাইয়া পড়লাম কামে। কিন্তুক টাইপাতে গিয়া দেখি হাতে বেদনা। লিখতে গ্যালেও বেদনা । এমুন কি , টাকার বিলে সাইন করতে গিয়াও বেদনা ! এ কি রে ! পেট ফাইটা কান্দন আইলো । আমি বিয়া করি নাই বইলা আমার এত্ত শাস্তি ? ক্যান? দুনিয়ায় কি সবাই বিবাহ করে ? জব্বার ভাই দেখি আইসা ঝাড়ি লাগাইলো । নাহ, বিয়ার লাইগা না । কিডা কিডা বুলে আমারে সালাম দিসে । আমিও ওয়ালাইকুম তফাত কইয়া ডুব দিলাম । আপিসের পুলিট্রিক্সে আমার পুলি আমি দূরে রাকি। লাইফ ইজ এ কমেডি । আই ওয়ানা লাফ ইট এওয়ে । আজাইরা কামে লাফ মাইরা পরে দুষ্কের গজাইরা গীত গাওনের কাম নাইক্কা । বসে চার্কি ছাড়সে । আরেক বসের লগে গুন্ডগোল । আমার কি? আমি কলা খাই । কলাতে পটাশিয়াম আচে । ব্লগাইতে আইয়া দেহি হাসিবে হাসুনির মায়ের নামে বিচার দিসে । নটি বয় । এক্কেরে নেটি পুলা। হাসুনির মায়েরে আমি বিলক্ষন চিনি। কত ডেট কর্চি । তাই একখান তেব্র পেরতিবাদ লিখলাম। আবার ও বেদনা । নাহ , এইবার চউখ দেওনই লাগে । তাকাইয়া দেহি হাতের আঙ্গুল ফুইলা কলাগাচ হইসে । আমি তো পাংখা ! এই বকরী ঈদে তাইলে মধুচন্দ্রিমা যাওন কনফার্ম। আঙ্গুল ফুইলা কলাগাচ মানে অনেক টাকার মালিক হওন-- মেয়েবেলার সমইস্ত ব্যা করন ভুলা গেলেও বাট কিন্তু এইডা ভুলি নাই । এই বার ঝড়ে সব বকরী দেহ রেখেছেন । ( তেন ঠাং চাড়া ) । সুতরাং ঢাকায় থাইকা ফায়দা নাই । সিকিম যাওয়া যাইতে পারে । মাগার এত ব্যথা কেলা ? আইজ কাইল নিজের সম্পর্কে অনেক কিছুই খেয়াল থাকে না । সব ভুইল্লা যাই । রবিবার মিটিং ছিলো , বাড়ির পাশে । ভুইল্লা গেসি । খাইয়া ভুইল্লা গিয়া দুই বার খাই । আবার কুনো দিন পেটে ছুচা নাচলে মনে পড়ে , অহ , রাইত নয়ডা বাজে । গত ২৪ ঘন্টায় কিছুই খাই নাই । রাতে ঘুমাইতেও ভুইল্লা যাইতেসি । বহুত বিছড়াইয়া মনেই করতে পার্লাম না । শেষ কালে কুটি বইনে ফুনে মনে করাইয়া দিলো , সকাল বেলা হাত পুইড়া গেসে । তাই এত ব্যথা , এত শোক , খাইতে মন চাইলো কোক। ছুডো বেলায় একবার ইস্তিরি দিয়া হাত পুইড়া গেসিলো । আমি ছুডো বেলা থেকেই অনেক বড় কবি । তাই থাকিতাম হইয়া উদাসী বনের পাখি । আর ভুইল্লা যাইতাম কুনডা ডাইন হাত আর কুনটা বাম । ইয়ে থি মেরা গাম । এক ছোটাসা বদনাম । তো এক হাতে ইঞ্চি তিনেক পুড়ার পরে সুবিধা হইলো । পুড়া দেইখা বুঝতাম পানি খামু নাকি পানি নিমু । এই বারও আমি খুব আশাবাদি । শোককে শক্তিতে পরিনত কইরালাইসি । জাগরনের কথা বন্ধুদের কাছে কইতে যাতে ভুইল্লা না যাই , তাই ঠিক করসি , যতবার ব্যথা পামু, ততবার একটা কইরা মেইল করুম। আপিসের ফুন দিয়া ফুনামু । আর দেখা হইলে , "জাগো ও ও ও ও ও ও ও ও " কইয়া ক্যাঁক কইরা ধরুম। পোড়া হাতে মলম আর লাগাইলাম না । যৌবনের স্বামী , থুক্কু, স্ত্রী আমারে যতই পোড়াক, আর যতই ব্যথা দিক , আমার আছে আয়োডিন বুদ্দি , তাই চোখে জল , মুখে হাসি । বাংলাদেশ ভালোবাসি ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment