Saturday, January 6, 2007

রাজনীতির ঈদ আর বদ্দার গরু

এবার ঈদে বদ্দা নাকি কিনছিলো এক গরু
আমার মত বেশালদেহী, তিনার মতন সরু।
সেই গরুতে ঘাস খাইতো কাঁটা চামচ দিয়ে
"ডাংকে" বলে উঠতো ডেকে পিওর ভদকা পিয়ে !
গরু আহা নধর শ্রী তার, দেখতে মৃদু কালো
টানা চোখে পড়তো ঝরে "গো"ণতান্ত্রিক আলো।
আহা গরু , বদ্দা এবং কসাই - সবাই মিলে
বসলো ঘিরে আগুন জ্বালা নিশিথ এক মিছিলে।
ভাবছো বুঝি গরুর সাথে আবার কিসের কথা?
এই গরু তো সেই গরু নয়, করবে যথা তথা !
জার্মানীতে গরু, ছাগল , ইস্কুলে যায় সবে
তা না হলে মহাযুদ্ধে কেমনে সেরা হবে?

গানবিকের রীতি নীতি মানবিকের বড়
গোল টেবিলে বসার আগে হয় না নড় চড়।
কোন খানে তার ঢুকবে ছুরি , কেডায় নিবে ছাল
চুক্তি করে গরু মশায় সাক্ষরিবেন কাল
আজকে তাহার সহিত আলাপ , মেনুতে রাজ হাঁস
এমন যদি হইতো আহা বাংলাদেশে ।"কাশ!"
[ বুকের মাঝে যায়রে বয়ে দারুন দীর্ঘশ্বাস ]

আমরা সবাই কুরবানীতে যাইবো হাটে হাটে
দেখবো কেমন স্বাধীনতার সূয্যি গেছে পাটে
দেখবো কেমন কসাই মোদের থোড়াই কেয়ার করে
চালায় ছুরি ভোটের দিনে , এবং আগে -পরে ।

আমার বুকের ভালোবাসা, স্বপ্ন, পেটের পিলায়
লাথ মেরে যায় এই পৃথিবীর বদ্দা অবলীলায়।
বৈঠকে নাই, গোল কি তেকোন, সবাই মিডিয়াতে
জানতে পারি , "কে কতটা সফল হলাম" রাতে !
[ বাক্স গুলোর আহ্লাদিত বুলেট-ইনের সাথে ]

আমি তো আর বিদ্বান নই, যে যেভাবে পারে
সামনে দিয়ে , পিছন দিয়ে, ভারে নয়ত ধারে!

ও বদ্দা , আজকে তোমার গরু হবার খায়েশ !
নিজের দেশে বুকের রক্তে স্বাধীনতার পায়েশ
খাইলো চেটে ৭১ এ যারাই শত্রু ছিলো
পতাকার ওই লাল রঙে বিষ , তারাই ঢেলে দিলো !


আজকে আমি গরুও নই, রামছাগলের ঘরে
জন্ম কি আর দেব মানুষ ! হাজার বছর ধরে
যেই বাঙালী পুজলো নিজে সত্য , ন্যায়ের পথে
লড়লো , মরলো , জীবন দিলো স্বাধীনতার রথে
সে রথ চালায় কসাই আজকে , আমার সঙ্গে আমি
মাও আজকে বান্ধবী আর বাপ আজকে স্বামী!!!

দুর্বিনীত আমার বুকে তাও জেগে রয় আগ
সূচ হয়েছি , ফালও হবো , জমছে নিরব রাগ ।
লাখে লাখে মারছো গরু, তারাও লিখে রাখে
কে কতটা মারলো , কাটল - পদ্মা মেঘনা বাঁকে !
একদিন এই গরু গুলোই ছুরি , দায়ের কোপে
মারবে কসাই , ছিলবে মশাই, যাইবে বদ্দা লোপে ।

বদ্দা গিরি আর কত দিন? সময় সমাগত
"গোকূলে বাড়ে" তোমার খুনী , নিরব , শত শত !
ঢাকা
১লা জানুয়ারী ২০০৭

অনু কবিতা

ফুটতো যদি তোমার ঠোঁটে হাস্নুহেনা
ভ্রমর হয়ে নিতাম লুটে মধুর দেনা
চোখ গুলোতে ফোটাও যদি শাপলা শালুক
পুকুর চোরই হতাম আমি বুঝলে বালুক?
তোমার গালে শ্যামল বরণ সূয্যি জ্বেলে
পোড়াও কেনো আমায় এমন হিম অনলে?
তোমার চুলে কাঁধ ছোঁয়ানো পেতেছো ফাঁদ
হাত বাড়ালেই কেন যে হও নিষ্ঠুর চাঁদ!
আমার দোষ ? তোমায় যদি ভালো লাগে?
অন্ধকারের একলা রাতের আলো লাগে?
তোমার জন্য কষ্ট পেলে কি আর করা !
ভালোবাসি, কলঙ্ক তাই কপাল ভরা !
ভয় পেলে কি ভালোবাসায় হতাম নত?
পাই আর না পাই, বাসবো ভালো অবিরত !
২রা জানুয়ারী ২০০৭

ঢাকা

কবি ও কবিতা !

তীব্রতমের হাত ধরে হেঁটে যায় কোমল আর্তনাদ
রোদেলা দুপুরে কুয়াশা ভাবে মেয়েটাই উন্মাদ
তবু নীলাকাশ গাঙচিলের কালো ডানা ছুঁয়ে দিলে
গণগণে সন্ধ্যায় লুকানো চাঁদ তারার মিছিলে
তুমিও একেলা থাকো , প্রিয়তমার ডান পাশে
জোনাকিরা কয় না কথা তোমার ধুসর আকাশে
উন্মোচিত চিলেকোঠায় ধুলার বাসর গোঙানি
বাম পাশেই দেখো আমূল ধর্ষনের হাতছানি
পিয়াঁজের সাত সতেরো বাকলে বিকাল নামে যদি
আমিও কবিতা দেবো জাহান্নামের দরজা অবধি!

তোমাতেই মগ্ন ভগ্ন হৃদয়

মুছে যাচ্ছে একে একে সব অংশীদারিত্ব, নিষ্ফল অনুতাপ।
[এমনকি ঈশ্বরও সহ্য করেন না শিরকের পাপ]

মুছে ফেলছি তাই অতীত ও বর্তমানের প্রিয়মুখ গুলো, অন্যান্য!

অপরাধ? কিছুই নয়। সামান্য!
তারা তোমার মতই কেবল পুরুষ।

শুধুই বন্ধু ভাবে।
ভালবেসে অপরাধ করেনি।
তবু, চলে যেতে হবে।

প্রেমে কোন তৃতীয় মাত্রা থাকতে নেই , ছায়ার মত।

ধীরে , অতি ধীরে তাই মুছে যাচ্ছে
শর্তহীন, প্রাপ্তিহীন, অভিযোগহীন সম্পর্ক যত।

আর একটু একটু করে স্পষ্ট হচ্ছো তুমি!

একটা দু'টো তীব্র থেকে তীব্রফুটছে ক্যাকটাস
শিহরিত মরুভূমি।

রাত আর সূর্যালোকিত ভোরের মাঝামাঝি
কোন আলো ছায়া ক্ষন আর নেই
আলোহীন অন্ধকারে তুমি বড্ড আলোকিত মুখ
আমার সুখ সুখ প্রচন্ড ভাঙন অবিরাম চলছেই!

আর সব শব ভাস্কর্য বা সম -ভোগহীন ছেনি, হাতুড়ি, বাটাল,
একে একে নিস্তব্ধ মুগ্ধ মিস্ত্রির দল।

ওরা শুধুই বিষন্ন দর্শক আজ
কি নিপূণ তুমি গড়ে চলেছো তোমার রাজ্যপাট!
অধিকারের সুতীব্র অহংকার তোমার প্রতি আঘাত।

কবিতা আমার, গদ্য আমার,
ভবিষ্যতের উঠোন , বারান্দা , শোবার ঘর-
বইয়ের ভিতর ও বাহিরের আমার প্রতিটা অক্ষর
আজানুলম্বিত চুলের ছটফটে রং , আর
চমকে হঠাৎ নামিয়ে নেওয়া লাজুক প্রত্যয়
কবির লেখা " রোমাঞ্চিত যমুনা আমার"
থর থর কেঁপে যাওয়া আকুল কোমল হৃদয়,
সব তোমার দিকেই হাটি হাটি পা পা
[ তুমুল বাড়ছে তোমার আলিঙ্গনের পিপাসা]

এতদিন পরে এতটা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
সম্ভব কি আজও!!!

আমি হেরে গেছি
এই শহরের কাক, পক্ষীও জানে।
তুমি কি নেবে না বুঝে
তোমার বিজিত সাম্রাজ্য?

তোমার আগে পরে

তোমার আগে, মৃত্যু ছিলো আকাঙ্খিত
তোমার পরে , মৃত্যু মানে শান্তি
মুদ্রাস্ফীতির নোংরা, কালো যুগে
ভালোবাসার দামটা যদি জানতি!