প্রশ্নটা আক্ষেপ নয় । অনেকটা আত্ম উপলব্ধি । সামহোয়ারে কেন , কি ভাবে গিয়েছিলাম - সে গল্প হয়েছে । কেন ছুটি নিলাম - সেই নোংরামি আর ঘাটতে মন চায় না। রবার্ট ব্রুসের ধৈর্য্য রাগ ইমনের । আমি হয়ত অতটা সময় নষ্ট করতে রাজি নই । শুধু মাঝে মাঝে ভীষন বিষন্নতা চেপে বসে । কেন? জীবন আমাকে অনেক নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে । সত্যিই দিয়েছে । দাম নিয়েছে অনেক বেশি কিন্তু সর্বহারার দাবী তুলতে পারিনে কখনো । সেই তুলনায় সামান্য একটা ব্লগের "বোগাস " বাড়ি কেন আমার মন খারাপ করে দেবে? উঁহু । কোন যুক্তি নেই ।
যুক্তি নেই বলেই খুব ভালো করে জানি , এই বিষন্নতার কোন স্থায়িত্বও নেই আমার ভিতরে । চির আশাস্থিত আমৃত্যু বৈরাগী । এইটে হয়ত অদ্ভুত কিন্তু সবচেয়ে সত্যি আমার বেলায় । আমি থামতে জানি না । চাইও না। কিছুই যাবে না ফেলা । রাগ , অভিমান , ঘৃনা এবং তোমার অবহেলা । কিছুই যাবে না ফেলা। সামহোয়ারে নেশা ধরে গিয়েছিলো । ব্লগার বা মন্তব্য নয় । লেখার নেশা । লিখতে পারার নেশা । আমার মেয়েবেলার নেশা । নেশা ধরে গিয়েছিলো ভালোবাসার । এইটে তো আমার বনেদী নেশা ! কাউকে এক মুহূর্তের জন্যও না চিনে, না জেনে , বিন্দুমাত্র প্রতিদান আশা না করে মানুষকে ভালোবাসা । স্রেফ ভালোবাসা । চিকিৎসক হিসেবে এই ভালোবাসার সুযোগ - যেটা তাৎক্ষনিক কিন্তু স্থায়ী - মানুষকে ছুঁয়ে দেওয়ার এই নেশাটুকু ফিরে পেয়েছিয়াম সামহোয়ারে। আমার সাম্প্রতিক দিনকাল মানুষকে সামনাসামনি ছুঁতে দেয় না গো ! বড় কষ্ট হয় আমার । কাগজে কলমে কি মানব ভজন হয় ?
রাগ ইমনের কিংবা আমার - কারো কোন অস্তিত্ব নেই। না আমি জন্মেছি , না আমি মরবো । অস্তিত্বহীনের থাকে না মুছে যাওয়ার ভয়। কিন্তু মানুষের স্পর্শে স্পর্শে জেগে থাকা , কারো ভিতরে ভালোবাসার বীজ বুনে দিয়ে - সৃষ্টির উচ্ছ্বাস নিয়ে দেখে যাওয়া - ঐ দেখো কেমন ফুটে উঠেছে একটি কুঁড়ি , দুটি পাতা! আহা রে ! সে কি আনন্দ ! মানবই ঈশ্বর ! আমার উপাসনা । মানবের ভিতর দিয়ে আমি ঈশ্বরকে পেয়ে যাই । আর ঈশ্বরের ভিতরে দেখি মানব চরিত্র!
তোমরা যাই বলো । আমি কিন্তু গান , কবিতা , অভিনয় , ছবি আঁকা - কিছুকেই শিল্প মানিনে । মানুষ আমার কাছে শিল্প । সবচেয়ে মহৎ , সবচেয়ে জটিল , সবচেয়ে সহজ আবার সবচেয়ে বিধ্বংসী শিল্প ! তবু , সে আমার শিল্প।
শিল্পের নেশা হলো কাঁকড়াবিছে নেশা । কামড়ে ধরেছে যখন, ছাড়াতে তো সময় নেবেই ! চলুক তবে । লেখার সাথে খেলা । হয়ত পার হয়ে যাবো সিথান , উঠোন , বাথান ঘেষে কপোতাক্ষের পার । হয়ত চোখের ভিতরে জমে যাবে আঁধার । হয়ত তো মেঘেরাও একদিন চাইবে ছুটি । হয়ত এই বাড়িতেও দেখবো কাফনের লুটিপুটি । তবু , আজকের জন্য , এইখানে একটু বসি ।
ইমন, খারাপ লাগছে ? দুরো , বোকা মেয়ে । সামহোয়ারে তোমায় নিয়ে সবাই মিলে ব্যবসা শুরু করেছিলো , তুমি বুঝতে পেরে সরে এসেছো । তুমি কি মানুষ আজ নতুন চিনছো ? মনে নেই? অন্ধকার মনে নেই? ঐ যে , যখন মাত্র ২৪ ঘন্টায় বদলে গেলো চির চেনা ভূগোল ! স্প্রিন্টের রানী , খেলার মাঠের অপ্রতিরোধ্য চাম্পিয়ন - এক রাতের ভিতর হয়ে গেলো "পঙ্গু" , মনে নেই? কেউ ছিলো আশে পাশে ? ভোঁজবাজির মত হাজার হাজার প্রেমিক, ভক্ত , বন্ধু , আত্মীয় - পালিয়ে বাঁচলো , মিলিয়ে গেলো একটি "রিস্কি ইনভেস্টমেন্টের " ভয়ে!
আর কি আশ্চর্য - রাস্তা ঘাটের অপরিচিত মানুষ , হাসপাতালের ৮০০ টাকা বেতনের কেরানী , ডাইনিং হলের এজাজ কিংবা কামাল ভাই , টেলিফোনের ঐ পাশে অপরিচিত যুবক ! এরা কেউ কাঁদলো । কেউ সারা মাসের একদিন ছুটি পরিবারের সাথে দেখা না করে চলে গেলো পীরের মাজারে , অব্যর্থ ওষুধের খোঁজে। কেউ ঘড়ি ধরে প্রতিদিন খবর নিলে, দিলে ব্যথার ওষুধ । কেউ, না চিনে না জেনে, বসে রইলে বাংলাদেশে উৎকন্ঠিত অপেক্ষায় - "আচ্ছা, সিঙ্গাপুরের ডাক্তার কি বললো , আপনি কি আর কোন দিনই হাঁটতে পারবেন না?" আর বরুনদা ! বাগানের মালী । " আপা , আমার একটা পেশী কেটে নিয়ে লাগালে আবার হাঁটতে পারবেন না? বলেন না ডাক্তার বাবুকে ! আমি দোবো ।"
তুমি ঐ দিন দাঁড়িয়েছিলে জীবনের সবচেয়ে বিশুদ্ধ সত্যের সামনে । তুমি ঐ দিন জেনেছিলে , ভালোবাসা কি। তুমি ঐ দিন নিয়েছিলে নিজের সবচেয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত । বোকা বোকা শত্রুরা কোন দিনও বুঝবে না । অভিমানী বন্ধুরা কোন দিনও জানবে না । যেই মেয়েটা হুইল চেয়ারে বসে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকে - তাকে বুঝিয়ে দিতে হয় না কি ভাবে উঠে দাঁড়াতে হয়। যে বিশ্বাসঘাতকের হাত ধরে হাসতে জানে - তাকে শিখিয়ে দিতে হয় না সাহস কি ভাবে ধরে রাখতে হয় । যে তার শত্রুর কষ্টে কাঁদতে জানে তাকে দেখিয়ে দিতে হয় না কতটা ভালোবাসা যায় যখন তুমি নিজে সকল চাওয়া পাওয়ার বাইরে ।
_______________________________________________________
একজন প্রকৃত মুমিন কোন সম্পদ চল্লিশ দিনের বেশি জমা করে না।
11 comments:
কি হয়েছে... কি হয়নি... এগুলো ভেবে অহেতুক সময় নষ্ট...
জানালা দিয়ে একটু বাইরে তাকান... পৃথিবীটা অনেক সুন্দর... বৃষ্টির শেষের সময় পৃথিবীটা ক্যামন পবিত্র লাগছে... সবুজ পাতায় প্রাণের ছোয়া.. আকাশে গুড়ি গুড়ি মেঘের ভেলা.. শুধু দেখার চোখটাকে বাচিয়ে রাখুন
ক্ষনস্থায়ী এই জীবনটা নিয়ে আর কত এক্সপেরিমেন্ট করবেন? একটা লম্বাঘুম শেষে আবার পূর্ণউদ্যোমে শুরুর অপেক্ষায়...
eta ekdom thik kotha..j ekdom proyojoner shomoy kaukay paoa ja-a na..nijer ekdom bipoder shomoy shobai kemon jeno duray shoray ja-a..tokhonto onek kharap lagay.. :(
jai hok tomar moto ameo same problem-a poraychilam..tobay onek boro problem-a..shahosh harainai..ekdom shahosh harainai..jantam ame thik tai kono voy kori nai..jodio ame ekdom ekai chilam..tarporo situation ekai control korsi..ebong jibito firay ashsi..ame jitsi dekho amakay..
jai hok onek kotha bollam kisu monay raikho na..
tumeo jitba,deikho..karon tume right acho..
manush gulo jeno kemon..shobai vulay ja-a..kostho dia ja-a..chayray ja-a..thaykay jai shudhu amra..
likhata awesome hoisay..
valo thakba.. :)
khub valo hoise nd ekebare sotti kotha...amra palie gie boro bacha beche gechi...bravo frnd.......
সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
সুমন ভাই , আপনার কমন সেন্স ব্যবহার করার অনুরোধ করছি । যেখানে ব্লগের কোথাও রাগ ইমন ছাড়া অন্য কোন নাম ব্যবহার করি নাই , আপনার কি মনে হয় , কি নামে ডাকা উচিত ?
আবার ও ধন্যবাদ সবাইকে ।
actually i am a silent reader of ur all blogs...I'd like to request u one thing...No matter where u write(somewherein,blogspot..) but the most important thing is to make sure that u write...Please write for us...
Please...
>Gonit Pagol (@ somewhere in)
কথা কোস নে লো রাই...।
আপনার ব্লগস্পটে একটা ঢুঁ মেরে গেলাম। সাবধান, লেখা থামাবেন না কক্ষনো।
:)
sorry sis,
i got what u wanted to mean, sorry for that. plz delete the preveious commnet where i made the mistake. i thought that u did use yr real name in yr blog.anyway good luck
sometime we wish that we could win the formula one racing with our wheel chair.. :) who knows probably we can do that! and who knows, probably our wheel chair is gifted with the god's power, not a silly boost of the nitroglycerin..
even who can say, probably we are not in the wheel chair at all! :)
ইমন,
একটা সত্য বলি, আমি কোথাও লেখালেখির কথা চিন্তা কখনও করিনি। কিন্তু সামহোয়্যারে কয়েকজনের মধ্যে তুমিও ছিলে আমার প্রেরণা লিখার। তোমার লিখা কবিতা আমাকে কিছু লিখার প্রেরণা দিয়েছিল। আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম যখন তুমি ছেড়ে গেলে সামহোয়্যার। আমার কবিতা লিখার প্রেরণা পেয়েছি তোমার সুন্দর সৃষ্টিশীল কবিতাগুলো থেকে। লেখা চলুক অবিরত।
Post a Comment