গণতন্ত্র বলতে খুব সাধারন ভাবেই বুঝি , সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের মতকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা । সাধারন ভাবেই ধরে নেওয়া হয় যে , সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ যেহেতু নিজ নিজ কল্যান নিহিত আছে যেই সিদ্ধান্তে , সেই সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় দেবে , এবং , এভাবেই সংখ্যা গরিষ্ঠের কল্যান সাধিত হইতে পারে , এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে ।
গণতন্ত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ সাধারন মানুষের সাধারন কল্যানকামী বোধ বা কমন্সেন্সের উপর ভরসা করা হয় । এবং ধরেই নেওয়া হয় , বেশির ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে যাবে, বা ক্ষতি হবে, এমন সিদ্ধান্ত মানুষ নেবে না। সব সময় তা ঘটে কি ?
মানবাধিকার বলতে মানবের অধিকার বোঝায় । সেই অধিকারটি যে কোন মানব মাত্রেই পাওয়ার অধিকার রাখেন। প্রাপ্য কোন অধিকারগুলোকে আমরা "মানবাধিকারের" সংজ্ঞায় ফেলবো , তা যুগে যুগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আন্দোলন ও সনদের মাধ্যমে আজকের "মানবাধিকার সনদে" পৌঁছেছে । আমরা সেই অধিকারে বলেছি , লিঙ্গ , ধর্ম, বর্ন , বয়স, জাতি, উপজাতি, ইত্যাদি ইত্যাদি - যা কিছু মানবের এ যাবতকালের ইতিহাসে "বৈষম্যের " জন্ম দিয়েছে বলে বেশির ভাগ মানুষ ভেবেছেন , সেই সবের উপকরনের ভিত্তিতে কাউকে "অন্য রকম ভাবে বিবেচনা " করা যাবে না ।
মানুষ হিসেবে সবাই সমান সুযোগ ও সম্পদ , সুবিধা ভোগ করবে ।অধুনা , বৈশ্বিক "কমনসেন্স " বুঝতে পেরেছে , সম্পদের সুষম বন্টন কখনো সম্ভব নয় । অতএব , এখন আর কেউ "ইকুয়ালিটির " স্লোগান তোলে না । বলে "ইকুয়িটির" কথা । [চলবে]
Sunday, April 29, 2007
Saturday, April 28, 2007
ধর্ম , রাজনীতি আর বিভ্রান্ত বর্তমান প্রজন্ম -১
বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতি বা দাওয়াতের অস্তিত্ব অনেক আগে থেকেই । ইসলামী শাসন কায়েমের চেষ্টাও চলছে অনেক দিন ধরেই । আমি বলছি ১৯৫০ সালের কথা । তখন আমার আব্বু , নেহাতই স্কুল ছাত্র । ক্লাস করতে করতে দেখতেন “ইসলামী ছাত্র সংঘ “ নামে একটি সংগঠনের ছোট ছোট দল আসতো আব্বুদের স্কুলে। প্রতিটা স্কুলে স্কুলে গিয়ে তাদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়া , ইসলামী রাষ্ট্রের গুনাগুন বর্ননা , ইসলামের ইতিহাস বর্ননা এবং ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া । এই ছিলো , “ইসলামী ছাত্র সংঘের” ভূমিকা ।
রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়া বা শাসন তন্ত্র দখল করার কোন চেষ্টা কিন্তু তখন তাদের করতে দেখা যায় নি । জামাত ই ইসলামী ও তার অঙ্গসংস্থান ইসলামী ছাত্র সংঘ [ বাংলাদেশ হওয়ার পরে ইসলামী ছাত্র শিবির ] এর জন্মকাল থেকে আজপর্যন্ত ভূমিকা নিয়ে কোন পুংখানুপুংখ ইতিহাস পাই নি । এখনো খুঁজে চলেছি । এই দলটির উপর তথ্য সমৃদ্ধ কোন বই বা ডকুমেন্ট কারো জানা থাকলে আমাকে বলবেন ।
না পাওয়ার দুটা কারন অবশ্য পেয়েছি ।
১। প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর কাতারে জামাত ই ইসলামী কোন দিনই আসতে পারে নাই । দীর্ঘ সময় ধরে তারা রাজনীতির সাথে যুক্তও ছিলো না।তারা শুধুই ইসলাম কায়েমে ব্যস্ত ছিলো । অনেক পরে , বাংলাদেশ হওয়ার পরে , এরশাদ আমল এ তাদের সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাওয়া শুরু হয়। এর আগেও তারা রাজনৈতিক কাজ যা করতো , নিরবেই করত।
২। জন লগ্ন থেকেই এই দলটি কাজ করে আসছে প্রায় নিরব , সিক্রেট সার্ভিস স্টাইলে । তাই দলের ভিতরে না থাকলে , দলের কর্মকান্ড সম্পর্কে জানা কঠিন। তাদের নিরব কর্মকান্ডের কারনে বাইরের সাধারন মানুষের কখনোই আগ্রহ তৈরী হয় নাই এই “ অগুরুত্বপূর্ণ” দলটির মাথামুন্ডুর খোঁজ নিতে ।
মনে হয় সময় এসেছে এই দলটির একটি নিরপেক্ষ ইতিহাস বের করে বিচার করার।
কারা এরা , কি চায় ?
রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়া বা শাসন তন্ত্র দখল করার কোন চেষ্টা কিন্তু তখন তাদের করতে দেখা যায় নি । জামাত ই ইসলামী ও তার অঙ্গসংস্থান ইসলামী ছাত্র সংঘ [ বাংলাদেশ হওয়ার পরে ইসলামী ছাত্র শিবির ] এর জন্মকাল থেকে আজপর্যন্ত ভূমিকা নিয়ে কোন পুংখানুপুংখ ইতিহাস পাই নি । এখনো খুঁজে চলেছি । এই দলটির উপর তথ্য সমৃদ্ধ কোন বই বা ডকুমেন্ট কারো জানা থাকলে আমাকে বলবেন ।
না পাওয়ার দুটা কারন অবশ্য পেয়েছি ।
১। প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর কাতারে জামাত ই ইসলামী কোন দিনই আসতে পারে নাই । দীর্ঘ সময় ধরে তারা রাজনীতির সাথে যুক্তও ছিলো না।তারা শুধুই ইসলাম কায়েমে ব্যস্ত ছিলো । অনেক পরে , বাংলাদেশ হওয়ার পরে , এরশাদ আমল এ তাদের সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাওয়া শুরু হয়। এর আগেও তারা রাজনৈতিক কাজ যা করতো , নিরবেই করত।
২। জন লগ্ন থেকেই এই দলটি কাজ করে আসছে প্রায় নিরব , সিক্রেট সার্ভিস স্টাইলে । তাই দলের ভিতরে না থাকলে , দলের কর্মকান্ড সম্পর্কে জানা কঠিন। তাদের নিরব কর্মকান্ডের কারনে বাইরের সাধারন মানুষের কখনোই আগ্রহ তৈরী হয় নাই এই “ অগুরুত্বপূর্ণ” দলটির মাথামুন্ডুর খোঁজ নিতে ।
মনে হয় সময় এসেছে এই দলটির একটি নিরপেক্ষ ইতিহাস বের করে বিচার করার।
কারা এরা , কি চায় ?
Subscribe to:
Posts (Atom)