tag:blogger.com,1999:blog-54949514523267545962024-03-05T13:53:09.941+06:00ভালোবাসাThe eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.comBlogger48125tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-55864838065763624682011-05-30T03:59:00.000+06:002011-05-30T03:59:22.852+06:00"হেলথ ফর অল (health for all)" এর জায়গায় "সমান উন্নয়ন সবার জন্য (Equal development for all)" কবে দেখবো? পর্ব - ২<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><strong>স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এই রকম হযবরল অবস্থা ও ভেঙে পড়ার কারণ কি?</strong><br />
<br />
আসুন এক এক করে কমন কিছু সমস্যাকে আলোচনা করে দেখি আসলেই সমস্যা যা মনে হয় তাই নাকি অন্য কোথাও। আমাদেরকে প্রথমেই মনে রাখতে হবে, দেশের ভিতরে যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমেই দরকার হবে সেই সমস্যার আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করে তার সমাধানে একটি রুপরেখা । রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাই যে কোন চাহিদাপূরণে বা সমস্যার সমাধানে দেশব্যপী বাস্তবায়নের একটি পলিসি পেপার থাকে। সেই পলিসি পেপারে সমস্যার উল্লেখ, চরিত্র ও সমাধানে করনীয় মূল দর্শন উল্লেখিত থাকে। এজন্য, প্রতিটা সমস্যার সমাধানে আমরা আগে দেখবো সেই সমস্যার ব্যাপারে আমাদের স্বাস্থ্যনীতি না পলিসি পেপারে কি বলা আছে, তারপর এর বাস্তবায়নে কি কি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, এবং তারপর বাস্তবতার নিরিখে এর সমাধান/ প্রস্তাবিত সমাধান। <br />
<br />
আমাদের জনবল এর অভাবঃ <br />
সন্দেহ নেই যে আমাদের জনবলের অভাব আছে । সেইটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবী জুড়েই আছে । <a class="eng" href="http://www.human-resources-health.com/" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এর এই ওয়েব সাইটে গেলে</span></a> এ বিষয়ে নানা তথ্য পাবেন। বিশ্বব্যপী স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা মাপার জন্য জনপ্রতি ডাক্তারের সংখ্যা হিসাব করা হয়। পরিমাপ হিসেবে এর কার্যকারিতা খুব একটা ভালো নয়। কারণ একজন ডাক্তার ঠিক কয়জন নাগরিকের স্বাস্থ্যের দেখভাল করতে পারবেন তা নির্ভর করে সেই ডাক্তার, প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো , টেকনোলজির পাশাপাশি লোকালয়ের মানুষ কে কয়জন কি ধরণের অসুখে ভুগেন তার উপর। সুতরাং, আমেরিকা কিংবা ইউরোপে বসে আম একজন ডাক্তার হয়ত ৩০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যের দেখা শোনা করতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া কিংবা বেনিনে তা সম্ভব নয়। সুতরাং, জনবলের সংখ্যা তাত্ত্বিক হিসেব করে ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ালেই সেবার মান বৃদ্ধি হবে না। <br />
<br />
আমাদের যন্ত্রপাতির অভাবঃ <br />
<br />
হেলথ টেকনোলজি বলতে আমরা অনেকেই যন্ত্রপাতি , সুঁচ সিরিঞ্জ বুঝি। আসলে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে হেলথ টেকনোলজি বলতে বুঝায় ঃ <br />
<br />
১। সব ধরণের ফার্মাসিউটিক্যালস । এর ভিতর ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাক্সিন, টিকা, হোমিওপ্যাথি সব রকম কেমিকেলই পড়বে। <br />
২। স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহৃত সকল প্রকার যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস । সেইটা সুতাও হইতে পারে, সিটি স্ক্যানারও হতে পারে, আবার মোবাইল টেলিফোন সহ যে কোন মোবাইল ডিভাইস যা রোগ প্রতিরোধ, রোগের নির্ণয় বা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে । <br />
৩। যে কোন ধরনের মাইনর ও মেজর সার্জিকাল প্রসিডিউর । মানে কাটাছেঁড়ার পদ্ধতি । ট্রিট্মেন্ট প্রটোকল ( যেমন - ক্যান্সার চিকিৎসার গাইড লাইন) এবং ক্লিনিকাল গাইড লাইন। <br />
4. এমন কি স্বাস্থ্য সেবা কি ভাবে সাজানো গুছানো থাকবে এইটাও টেকনোলজির অন্তরভূক্ত । <br />
এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন ঃ<br />
<a class="eng" href="http://www.nlm.nih.gov/nichsr/hta101/hta101.pdf" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">health technology include the following.<br />
• Drugs: e.g., aspirin, beta-blockers, antibiotics, HMG-CoA reductase inhibitors (“statins”)<br />
• Biologics: vaccines, blood products, cellular and gene therapies<br />
• Devices, equipment and supplies: e.g., cardiac pacemakers, CT scanners, surgical gloves,diagnostic test kits<br />
• Medical and surgical procedures: e.g., psychotherapy, nutrition counseling, coronary angiography, gall bladder removal<br />
• Support systems: e.g., electronic patient record systems, tele-medicine systems, drug formularies,blood banks, clinical laboratories<br />
• Organizational and managerial systems: e.g., prospective payment using diagnosis-related groups, alternative health care delivery configurations, clinical pathways, total quality management programs </span></a> <br />
<br />
এখন কথা হলো, <br />
ক) এই টেকনোলজি গুলোর কয়টা আমাদের দেশে কোনখানে কয় পিস করে লাগবে, বেশি আছে না কম, কয়টা রোগীর জন্য কয়টা টেকনোলজি আসলেই দরকার -সেই সব ডাটা সংগ্রহ করা হয় কি? <br />
-না হয় না। এই ধরনের ডাটা কালেকশন , এনালাইসিস এবং প্রাপ্ত রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে যদি ডিসিশন নেওয়া হত তাহলে আমাদের অলরেডি অপ্রতুল রিসোর্স ( সেইটা জনবল, টেকনলজি বা অর্থ- সবই হতে পারে) কে এলোকেশন বা ভাগাভাগি করার সিদ্ধান্ত গুলো আরেকটু সঠিক হত। সম্পদের অপচয় হত না। <br />
<br />
খ) বাংলাদেশ এখন যেই সব টেকনলজি ব্যবহার করে তাদের ভিতরে কোনটা কতটুকু নিরাপদ, কতটুকু ইফেক্টিভ ( যা করার কথা তা করে কি না) কতটুকু কস্ট ইফেক্টিভ ( সর্বনিম্ন দামে সর্বোচ্চ উপকার দেয় কিনা বা মূল্যের বিপরীতে পাওয়া উপকারের পরিমাণ) তা স্টাডি করা হয় কি না? <br />
--- না হয় না । আমরা অন্ধের মত উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রেস্ক্রিপশন অনুকরণ করি। যদিও তাদের প্রেক্ষাপটে যা অমৃত , আমাদের প্রেক্ষাপটে তা বিষ হতে পারে। আবার, দামী দামী অনেক যন্ত্রপাতি কিনে এনে চালাতে পারি না, ফেলে রাখি। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক যন্ত্র অনুদান দেয়, যা অনেক সময় আউট ডেটেড বা সমস্যাযুক্ত। <br />
প্রচুর প্রযুক্তি দাতা দেশের কোন কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করে । যেমন ভিটামিন যুক্ত ফর্টিফায়েড বিস্কিট কিংবা <a class="eng" href="http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=159548" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">প্লাম্পি নাট । </span></a> মানুষের খাবার উৎপাদন কিংবা ক্রয় ক্ষমতা অর্জনে উপার্জনের ব্যবস্থা না করে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করে এই নাট কেন খেতে হবে ? আবার, সবার জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহে দেশীয় বিনিয়োগে পানি শোধনাগার স্থাপন না করে কেন কলেরা ভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে হবে - এই গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালা কর্মকান্ড গুলার কারণ হইলো সঠিক এভিডেন্স বেজড ডিসিশন মেকিং প্রসেসের অভাব। <br />
<br />
গ) টেকনোলজি গুলোর দাম কি আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত? <br />
--- এক ওষুধ ছাড়া আর কিছুই আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত দাম নিয়ে আসে না। ওষুধ দেশীয় কোম্পানি গুলো তৈরী করে বলে তাও কিছুটা গা সোয়া। আগের ওষুধ নীতি অনুযায়ী উৎপাদন মূল্যের উপরে মাত্র ২০% লাভে ওষুধের দাম নির্ধারিত হত । পরে ওষুধ কোম্পানি গুলোর লবিং এর কারণে পলিসিতে পরিবর্তন করা হয়, এখন কোম্পানি গুলো ইচ্ছামত দাম নির্ধারণ করতে পারে। বিদেশে নতুন ওষুধ গবেষণায় বিলিওন বিলিওন টাকা ইনভেস্ট করে বলে কোম্পানি গুলোকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে যাতে গবেষণায় উৎসাহ পায়। কিন্তু বাংলাদেশের কোন কোম্পানিরই রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ কোন বিনিয়োগ নেই। এরা সকলেই জেনেরিক ড্রাগ বা অন্যের আবিষ্কার করা ফর্মূলায় নিজেদের ওষুধ উৎপাদন করে। সুতরাং, এই ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণের সুবিধা পাওয়াটা এক রকম সাংবিধানিক অধিকার লংঘন করে নাগরিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। <br />
<br />
ঘ) টেকনোজির দাম সহনীয় রাখতে দেশে উৎপাদন সম্ভব? <br />
--- অবশ্যই সম্ভব। এমন অনেক টেকনোলজি আছে যেইটা দেশেই উৎপাদন করা যায়, আমদানি করার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু উদ্যোগ। কিন্তু হায় হতিস্মি! দেশে একটা কম্পিউটার উৎপাদনের কোম্পানি নেই, কিন্তু বুয়েটসহ সকল টেকনিকাল ভার্সিটিতে সবাই হাক ডাক দিয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায়। অথচ একটা ভার্সিটিও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে না। আমাদের ছেলে মেয়েরা নাসার জন্য রোবট বানাইতে খুবই উৎসাহী কিন্তু দেশের ১৬ কোটি মানুষের ব্যবহারে লাগবে এমন হেলথ টেকনোলজির কোটি কোটি টাকার মার্কেট পড়ে আছে অবহেলিত। <br />
<br />
<strong>ডাক্তারদের গালি দেওয়ার লোকের অভাব নাই। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বলা যায়, ডাক্তাররা যদি এক একটা কসাই হয়, তাহলে দেশের হেলথ টেকনলোজির অবহেলিত মার্কেটের জন্য ইঞ্জিনিয়াররাও এক একটা কসাই। চাঁদের দেশে মাটি কেমনে তোলা যাবে- এইটা নিয়ে চিন্তা করতে ভালো লাগে , কিন্তু নিজের দেশের মাটির প্রতি কোন দায় দায়িত্ববোধ এদের নাই। কেন বলছি? বুয়েট আর ঢাকা মেডিকেল পাশাপাশি। যতদিন ঢাকা মেডিকেলে ছিলাম, বহুবার বুয়েটের বন্ধুরা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে, বেড়াতে, সিঙ্গারা খেতে, প্রেম করতে এসেছেন- কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখিনি বা শুনিনি কেউ এসে বলেছেন - মেডিকেলের এই সমস্যাটার সমাধান এই ডিজাইন দিয়ে করা যায়- কিংবা, ঐ সমস্যাটার একটা টেকনোলজিকাল সমাধান সম্ভব! এই অভিযোগ আমার নিজের বন্ধুদের বিরুদ্ধেও। কষ্ট লাগে যখন ভাবি, বুয়েটের বন্ধুরা প্রয়োজন হলে মেডিকেলে এসে বন্ধুর জন্য রক্ত দিয়ে গেছে - অথচ তাদের মাথায় একবারো আসে নাই যে তার শিক্ষা ও জ্ঞান প্রয়োগের ক্ষেত্রটাও তো হতে পারে ঢাকা মেডিকেল! আমি ডাক্তার হয়ে যখন নিজে হেলথ টেকনোলজি নিয়ে শিক্ষা লাভ করলাম, তখন জানলাম , আমার ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুদেরও অনেক কিছু করার ছিলো , আছে- কিন্তু তারা এসব নিয়ে ভাবেই না! টিকেটিং সিস্টেম, পেশেন্ট রেকর্ড, পেশেন্ট ডাটাবেজ, মনিটরিং সিস্টেম, ড্রাগ ডিস্পেন্সারী ও কন্ট্রোল, ডিউটি রোস্টার, কমিউনিকেশন, লজিস্টিক্স , ম্যানেজমেন্ট --- কত কিছুই না ইঞ্জিনিয়ারদের উপর নির্ভরশীল, টেকনোলজিস্টদের উপরে নির্ভরশীল- কত্ত কিছু করার আছে! </strong> <br />
<br />
আমাদের অর্থের অভাবঃ <br />
<br />
এইটা একটা আরোপিত জুজুর ভয় জনিত সমস্যা । সন্দেহ নাই যে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের হার্টের একটা করে পেস মেকার, একবার করে এম আর আই / সিটি স্ক্যান কিংবা ৩০টা করে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দেওয়া মত টাকা আমাদের নাই। কিন্তু এইটা মোটেই সত্যি কথা না যে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অর্থ দিয়ে চিকিৎসা সেবা কেনার সামর্থ নাই। আগেও বলেছি , হাসপাতালে আসতে যাতায়াতে, আসার পরে বিভিন্ন টেস্ট আর ওষুধের পিছনে মানুষের শত শত টাকা খরচ হয়। কিন্তু টাকার কোন হিসাব নিকাশ নাই। এইটা কতিপয় কর্মকর্তা কিংবা দোকানীর পকেটে না ঢুকে সিস্টমেটিকালি সরকারী রেভেনিউ খাতে ঢুকলে হাসপাতাল গুলো অন্তত এখনকার চেয়ে বেশি ভালো ভালে পরিচালিত হতে পারত ।<br />
<br />
দেখুন, আমাদের দেশের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব । এর জন্য যদি প্রতিনিয়ত দাতার কাছে ভিক্ষা চাইতে হয়, সে তো কুকুর লেলিয়ে দেবেই। তখন সেই কুকুরকে ডগ বিস্কিট খাওয়াতে আমাদের ঋণের অর্থ শেষ হয়ে যাবে। ঠিক এই কারণেই কষ্ট করে হলেও আমাদের উচিত স্বাস্থ্যখাত পরিচালনার পয়সাটা সঠিক জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এখন, সেই দেওয়াটা কি ভাবে হবে ট্যাক্স নাকি হেলথ ইন্সুরেন্স - এইটা আলোচনার দরকার আছে । অনেকেই মনে করেন, এখনকার পরিস্থিতিতে আমার যখন দরকার হচ্ছে আমি শুধু তখনই , নিজের জন্য টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিচ্ছি । আর দরকার না হলে খরচ করছি না। এতে খুউউউউব লাভ হচ্ছে। কিন্তু সত্যি কথা হলো , ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে আপনাকে যখন চিকিৎসা নিতে হচ্ছে- সেইটা জীবনে একবার হলেও - আপনি এক সাথে এত বেশি টাকা খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন যে ঐ একবারেই আপনাকে পথে বসে যেতে হতে পারে। <br />
<br />
অল্টারনেটিভ কি? <br />
<br />
কয়েক ধাপে বিভক্ত স্বাস্থ্য সেবা । এর খরচ যোগাড় করা হবে বিভিন্ন ট্যাক্স ও হেলথ ইন্সুরেন্সসহ অনুদানের মাধ্যমে। সেবা পাবেন সকল নাগরিক। সেবা পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক থাকবে কিন্তু সেবা নেওয়ার/ না নেওয়ার ফ্রিডম থাকবে। মূলত, সকল উপার্জনক্ষম নাগরিক একটা বেসিক হেলথ স্কীম দিয়ে সুরক্ষিত থাকবেন। কেউই বাদ পড়বেন না। বেসিকের নিচের মানুষ গতর খেটে এবং বেসিকের উপরের ধনী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে হাইয়ার স্কীমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আধুনিক কোন সেবার জন্য যেন বাংলাদেশের বাইরে যেতে না হয়, সেইটা সরকার নিশ্চিত করবে ডাক্তারদের ট্রেনিং ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল দিয়ে। <br />
<br />
বেসিক স্কীম ঃ <br />
<br />
স্বাস্থ্য সেবা খাতের উন্ন্যনের জন্য কেবল মাত্র স্বাস্থ্য ট্যাক্স নেওয়া যায়- যা সকল নাগরিকের উপর বাধ্যতামূলক। এইটা বাধ্যতামূলক বেসিক হেলথ ইন্সুরেন্সও বলতে পারেন। বাংলাদেশের সকল উপার্জনক্ষম নাগরিক একটা ন্যুনতম অর্থ প্রতিমাসে দেবেন। এর বিপরীতে বেসিক চিকিৎসা সেবা স্কীম এর আন্ডারে কিছু নির্দিষ্ট সেবা এবং এসেন্সিয়াল মেডিসিন লিস্টের যে কোন ওষুধ নিতে পারবেন। কস্ট ইফেক্টিভনেস স্টাডি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের উপরে পরিচালিত রিসার্চ দ্বারা প্রাপ্ত রিয়েল এভিডেন্স এর উপর নির্ভর করে একটা জাতীয় সাইন্টিফিক কাউন্সিল সরকারকে পরামর্শ দেবে - এই বেসিক স্কীমে কোন কোন সেবা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সরকারী সহ সকল বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যারা বেসিক সেবা দিতে চায় , তাদেরকে লাইসেন্স ভূক্ত হতে হবে। এই বেসিক স্কীম পাওয়ার অধিকার সকলের। <br />
<br />
বেসিকের নীচে পুওর স্কীমঃ <br />
<br />
যাদের দেওয়ার সামর্থ নেই, তারা সরকারের স্পেশাল স্কীমের আন্ডারে থাকতে পারেন। যেমন - কাজের বিনিময়ে খাদ্যের মত কাজের বিনিময়ে চিকিৎসা। সুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন কাজ করে দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরণের ভাউচার উপার্জন করতে পারবেন । অসুস্থ হলে ঐ ভাউচার দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। যারা সিজনাল ওয়ার্কার - অর্থাৎ নিয়মিত আয় করতে পারেন না কিন্তু মাঝে মাঝে উপার্জন করেন - তারাও এই ভাউচার কিনতে পারবেন। এক একটি সেবার জন্য এক একটি ভাউচার থাকতে পারে। যেমন- মাতৃসেবা পাওয়ার জন্য ভাউচার। মেডিসিন ভাউচার ইত্যাদি। রোগী নিজেই নিজের প্রয়োজন মত তার জন্য দরকারী ভাউচার নিতে পারবে। এতে করে প্রচুর পার্ট টাইম কাজের সুযোগ হবে। <br />
<br />
যথাযত পলিসির অভাবঃ <br />
<br />
আমাদের মূল স্বাস্থ্যনীতি যথেষ্ট ভালো একটা পলিসি পেপার। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য কমুইনিটি ক্লিনিক এবং ধাপে ধাপে কমিউনিটি থেকে ইউনিয়ন--> উপজেলা--> জেলা--> বিভাগ--> জাতীয় পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থাটা আসলেই খুব ভালো । সুচিন্তিত এবং সিস্টেমেটিক। তাইলে সমস্যাটা কোথায় ? সামগ্রিক ভাবে চিকিৎসা সেবা বা স্বাস্থ্য পরামর্শ দিতে হইলে কিছু পূর্ব শর্ত পালিত হইতে হবে। যেমন- <br />
<br />
১। সেবাদানকারীর নিজের জ্ঞান <br />
২। সেবাদানকারীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য লোকবল<br />
৩। সহায়তাকারী টেকনোলজি <br />
৪। রোগ নির্ণইয়ের ব্যবস্থা <br />
৫। রোগ নির্নয়ের পরে চিকিৎসা প্রদানের সরঞ্জাম, অবকাঠামো , ওষুধ পাতি ইত্যাদি । <br />
<br />
প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্যতৈরী করা কমিউনিটি ক্লিনিক/ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স/ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মানুষকে সেবা দেবে সেখানে কারা থাকবে? একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের জন্য সরকার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও এবং স্বাস্থ্য সহকারীর ব্যবস্থা<a class="eng" href="http://nasmis.dghs.gov.bd/dghs_new/dmdocuments/Bangladesh%20Health%20Network.pdf" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;"> হেলথ কেয়ার নেটোয়ার্কে রেখেছেন।</span></a> আবার ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন এম বি বি এস ডাক্তার এর পোস্ট তৈরী করা হয়েছে। উপজেলা, জেলা পর্যায়ে প্রচুর পোস্ট আছে কিন্তু <a class="eng" href="http://nasmis.dghs.gov.bd/dghs_new/dmdocuments/All/Human%20Resource%20in%20Health%20Sector.pdf" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">এদের অনেক গুলোই খালি ।</span></a> <br />
<br />
চাকুরীর এই সোনার হরিণের বাজারেও কেন পোস্ট খালি পড়ে থাকে? এর বিবিধ কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে আমাদের রাজধানী কেন্দ্রিক উন্নয়ন। আমার জন্মের পর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গত ৩ যুগে ঢাকা পরিবর্তিত হয়েছে দ্রুত । বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগের এক মাত্র খোলা জানালা হলো ঢাকা । মানুষের জীবনের মৌল চাহিদার নিরিখে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, বাসস্থানের জন্য পানি, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট , স্যানিটেশন , স্বাস্থ্য সেবার উন্নত প্রতিষ্ঠান, দেশের বড় বড় ফ্যাশন হাউজ, বিনোদন এর মাধ্যম - সবই ঢাকায় । যখন মেডিকেলে ভর্তি হই, রাজশাহী যেতে হয়েছিলো--- আমার মনে হচ্ছিলো পুরো রাজশাহী শহর ঢাকার যে কোন বড় পাড়া/মহল্লার ভিতরে অনায়াসে ঢুকে যাবে। সেখানে রাস্তার এক পাশে পাকা বাড়ি তো অন্য পাশে কাঁচা ঘর, উঠান, গরু চরে বেড়াচ্ছে । একই অভিজ্ঞতা ময়মনসিংহকে নিয়ে। ৪০ বছর পরে দিনাজপুরের সাদীপুরে বেড়াতে গিয়ে আমার মায়ের মন্তব্য " কিছুই বদলায়নি- যা ছিলো সবই আগের মত" । ভাবখানা এই রকম - ঢাকাই বাংলাদেশ । ঢাকা খাবে, ঘুমাবে, হাগু করবে - আর ঢাকার বাইরে পুরো দেশটা রয়েছেই শুধু ঢাকাকে খাদ্য, বস্ত্র, বিলাস ব্যাসনের উপকরণের যোগান দিতে। <br />
<br />
সৌদি আরব যেমন তেলের টাকায় সারা বিশ্ব থেকে আগত সম্পদ ভোগ করে আর সেদেশে যাওয়া শ্রমিকদের "মিসকিন মিসকিন" বলে গালি দেয় - সত্যিকার অর্থে আমরা ঢাকাবাসীদের আচরণে খুব একটা পার্থক্য নেই। ঢাকার বাইরের মানুষেরা , বিশেষ করে চাষী-কামার- কুমোর- মুচি- শ্রমিকরা আমাদের কাছে মিসকিন। তাই ঐ সব মিসকিনদের জন্য ওয়াসার পানির লাইন, ডেসকোর বিদ্যুতের লাইন, কিউ বির ইন্টারনেট এর লাইন কিংবা উন্নত কল কারখানা, ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল কলেজ কিংবা হাসপাতাল করতে আমাদের খুব গায়ে লাগে। <br />
<br />
<strong>আমরা এতটাই স্বার্থপর শুয়োর প্রকৃতির মানুষ যে সারাদেশের সকল জেলায় ইউনিভার্সিটি স্থাপনের কথা শুনলে আমরা হায় হায় করে উঠি ! হায়, শিক্ষা ব্যবস্থার মানের তাহলে কি হবে? সত্যিই তো ! দেশের সবাই যদি ব্যাচেলর ডিগ্রী নিয়ে ফেলে, তাইলে আমি তো আর এক্সক্লুসিভ রইলাম না! অতএব, যে কোন মূল্যে মানুষের শিক্ষিত হওয়া ঠেকাও!</strong> <br />
<br />
শুয়োর শব্দটা কি আপনাকে নাড়া দিলো ? তাহলে দেখুন- <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29301005" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">আমাদের সমাজের উপর তলার মানুষেরা হয়ত দেখতে চান একদিন এমনকি ৩য় -৪র্থ শ্রেণীর চাকুরিজিবী রাও graduate , post graduate হবে । সেটা জাতির জন্য কতটা গৌরবের হবে তা চিন্তা করতেও আমি শিউরে উঠি । </span></a> ---- এই হলো আমাদের অবস্থা । কোথায় শিক্ষার মান যাতে উন্নত ও সমান থাকে তার জন্য চেষ্টা করবো - তা না শিক্ষার মান এর স্বার্থে শিক্ষার পথই বন্ধ করে দাও! হক মাওলা! <br />
<br />
তো এই ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়নের ফলাফল হইলো ঢাকার বাইরে সম মানের শিক্ষা সহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নাই। ফলে, কেউই ঢাকার বাইরে থাকতে চায় না। সকলেই বাইরে থেকে ঢাকায় চলে আসতে চায়। এই সমস্যার কথা যে সব ডাক্তার সরকারী চাকুরি ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের কথাতেও উঠে এসেছে। যেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সকলেই ঢাকায় থাকতে চায়, সেখানে কেবল ডাক্তারদের মফস্বলে পড়ে থাকতে বলাটা অন্যায় এবং তারা সেখানে থাকবেন- এইটা আশা করাটা নিতান্তই আহাম্মকি। <br />
<br />
কেন? <br />
<br />
দেশের সেরা মেধাবীরা ডাক্তারী পড়ে। ডাক্তারী পড়াটা অনেক কষ্টের কাজ। ডাক্তাররা পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে চায়। ডাক্তারের পরিবারের (স্ত্রী/স্বামী) রাও মেধাবী কেউ হয় যারা ঢাকার মত বড় শহরে থেকে কাজ করে/করতে চায়। আর পরিবার চাকুরী না করলেও সন্তানদের দেশের সেরা স্কুল/কলেজে পড়াতে সকলেই চায়। তার উপরে বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেটের ব্যাপার তো আছেই। সুতরাং, শুধু ডাক্তার নয়, পাশাপাশি মেধাবী নার্স, প্যারামেডিক, টেকনিশিয়ানদের মফস্বলে, গ্রামে, ধরে রাখতে চাইলে তাদের থাকার জায়গাটাতে বিদ্যুৎ, পানি , ইন্টারনেটের সুবিধা দিতে হবে। তাদের সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আশে পাশে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে। ঢাকার মার্কেট যে সব খাদ্য, বস্ত্র ও বিনোদন অফার করতে পারে - সেই মফস্বল বা গ্রামেও তা পৌছানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। <br />
<br />
<strong>এই দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করলে , বাংলাদেশের যে কোন রাজনৈতিক দল, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বিনিয়োগকারী - কেউই সঠিক পলিসিতে চলে না। যেখানে দেশের হাজার হাজার বর্গ মাইল পড়ে আছে, কোটি কোটি কাঁচা ঘর - সেখানে কোন উন্নয়নের চিত্র নাই। পাকা বাড়ি বানানোর ব্যবস্থা করা - সে সব বাড়িতে ন্যুনতম বিদ্যুৎ, পানি, একটা করে টেলিফোন, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা - এই ধরনের কোন কার্যক্রম না লীগের ইশতেহারে আছে, না বি এন পির। এমন কি সাধারণ মানুষের দাবীতেও তেমন নেই। কারণ তারাও চায়, দরকার হইলে সরকার ফ্লাই ওভার, ওয়াক অভার, আকাশে বাতাসে ফ্ল্যাট গড়ে হলেও ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা করে দিক। </strong> <br />
<br />
<strong>তাহলে এর সমাধান কি? </strong> <br />
<br />
সবার আগে দরকার কিছু পলিসি বা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেমন-<br />
<br />
<strong>যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক , সকল বিভাগ-->জেলা-->উপজেলা-->ইউনিয়ন--> গ্রাম পর্যায়ে সুযোগ, সুবিধা ও উন্নয়নের সমান মান, পরিমাণ ও চরিত্র বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকিবে। </strong> <br />
<br />
সোজা বাংলায়, সুযোগ সুবিধার কিছু বেসিক লিস্ট থাকবে যেইটা সারা বাংলাদেশের জন্য সমান হবে। <br />
<br />
ঢাকা বিভাগে যা যা থাকবে, বাকি সকল বিভাগে তা তা-ই থাকতে হবে। <br />
<br />
ঢাকা বিভাগ সহ একই বিভাগের অধীনে সকল জেলায় সমান সুযোগ, সুবিধা ও সেবার ব্যবস্থা থাকবে। <br />
<br />
একই ভাবে উপজেলা পর্যায়ে সকল উপজেলার জন্য একই ধরনের নাগরিক সেবা দিতে হবে। ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের বেলাতেও তাই। <br />
<br />
কিছু মৌলিক অধিকারের কথা সকল নাগরিকের জন্য সমান ভাবেই সংবিধানে রচিত আছে । কিন্তু বাংলাদেশের যে কোন সরকার যখন কোন প্রকল্প নেয়, তখন সেই সব উন্নয়ন প্রকল্পের মূলনীতি হিসেবে কখনোই " সকলের জন্য সমান উন্নয়ন" - এই নীতি মেনে প্রকল্প ডিজাইন করে না। নইলে, যেদিন থেকে ঢাকায় ওয়াসা হয়েছে সেইদিন থেকেই বাংলাদেশের প্রতিটা জেলার পরিশোধিত পানির ব্যবস্থা চালুর প্রকল্প নেওয়া হত। প্রতিটা জেলায় , উপজেলায় একটা করে আগোরার মত সুপার মল থাকতো। কক্সবাজারকে বাই পাস করে ইন্টারনেট এর সুবিধা ঢাকায় ঢুকতে পারতো না । প্রতিটা নাগরিককে ইন্টারনেটের সুবিধার আওতায় আনার ইচ্ছা থাকলে ভারতে ইন্টারনেট রপ্তানির মত উদ্ভট প্রস্তাব শুনতে হত না। <br />
<br />
আমেরিকায় বেশ কয়েক বছর থাকার পরে আমার এক আত্মীয় বলেছিলেন- সব শহর ঘোরার দরকার নেই। আমেরিকার কয়েকটা শহর দেখে ফেললে বাকি গুলো একই রকম লাগে। বাস থেকে নেমে চোখে পড়বে একটা ওয়াল মার্ট । <br />
<br />
হল্যান্ডবাসী এক বন্ধুর মন্তব্য ঃ<br />
প্রায়ই পথ হারিয়ে ফেলি। কারণ রাস্তা - বাড়ি সব একই রকম দেখতে। এক শহরে বাস থেকে নামলে যে সব প্রতিষ্ঠান চোখে পড়ে, বাকি শহর গুলোতেও তাই। কেমন যেন সব কপি পেস্ট ! <br />
<br />
একি স্বপ্ন? না সম্ভব? <br />
<br />
নিঃ সন্দেহে একদিনে সম্ভব না । আমেরিকা কিংবা হল্যান্ড এর মত দেশ কয়েক শত বছর ধরে একটু একটু করে আজকের অবস্থানে এসেছে। কারণ তাদের রাষ্ট্রনীতিতে স্পষ্ট লেখা আছে --- দেশের একটি এলাকা , তা রাজধানী থেকে যত দূরেই হউক আর কাছেই হউক --- অন্য সকল এলাকার মত সমান সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হইবে। <br />
<br />
তাই, তারা যখন উন্নয়ন প্রকল্প নেয়, শুধু ঢাকা , শুধু চট্টগ্রাম কিংবা খুলনার জন্য নেয় না --- দেশের সকল জেলার জন্য নেয়। সকল উপজেলার জন্য নেয়। <br />
<br />
<strong> মানুষের স্বভাব চরিত্র (মূলত ডাক্তার) খারাপ, সেবা দেওয়ার সঠিক মনভাব নাই।</strong> <br />
<br />
এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । পুরো সিস্টেমটাই যখন নষ্ট হয়ে গেছে , যার যা ইচ্ছা তাই করছে , তখন এই ধরনের অধঃপতন হবেই। দরজা খোলা রেখে ঘুমালে চোরকে নামায পড়িয়ে লাভ নেই। সে চুরি করবেই। দরকার হলো দরজা বন্ধ করা, সামনে ক্যামেরা লাগানো, চোরের জন্য বিকল্প উপার্জনের পথ করা এবং তারপর মানুষকে উপদেশ দেওয়া যাতে তারা চোরাই মাল না কেনে। <br />
<br />
একদিনে যেহেতু সারা বাংলাদেশকে ঢাকা বানায় ফেলা সম্ভব না - সেই জন্য এখনি অল্প অল্প করে কিছু কঠোর , কিছু সহযোগিতা মূলক পলিসি নেওয়া। যেমন- ঢাকায় আর নতুন আবাসন তৈরী করতে না দেওয়া । ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকায় সরকারী - বেসরকারী - ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন, ইন্টারনেট সুবিধা সহ বাড়ি/ ফ্লাট বানানো। মানুষ যদি কিনে তো ভালো। না কিনতে পারলে কিস্তিতে ভাড়া দেওয়া । ঢাকার বাইরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে এখনি উন্নত লাইব্রেরী, ইন্টারনেট , নিরাপদ পানি এবং প্রয়োজনে হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দেওয়া। <br />
<br />
ঢাকার বাইরে আবাসন, বিশ্ববিদ্যালয়, পরিশধিত পানির কারখানা ( ওয়াসার মত) এবং উন্নত মার্কেট স্থাপনের জন্য প্রাইভেট- পাবলিক বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা। যারা এসব প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে তাদের বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধা দেওয়া । <br />
<br />
টেকনোলজির সর্বোচ্চ ব্যবহারঃ <br />
<br />
বাংলাদেশের অনেক অনেক টাকা নেই। তাই অনেক কিছু হুট করে করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আজকের যুগে স্রেফ টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষকে সমান সুযোগ ও সুবিধা দেওয়া সম্ভব। সেই রকম টেকনোলজি হচ্ছে আই সি টি এবং আই টি । আর কিছু না হোক, সারা বাংলাদেশে শুধু যদি হাই স্পিড ইন্টারনেট এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় তাহলে বাকি আরো অনেক মৌল চাহিদা মেটানোর রাস্তা মানুষ নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, সমষ্টিগত ভাবে কমিউনিটি চেষ্টা বা প্রাইভেট বিনিয়োগে নিজেরাই করে নিতে পারবে। <br />
<br />
টেকনোলজি তথা ইন্টেরনেট , কম্পিউটার, ভিডিও-অডিও ইত্যাদি নানা রকম টেকনোলজির কারণে এখন আর গ্রামে গ্রামে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু আমাদের থিংকিং প্রসেস বদলানোর । আমেরিকার বাঙ্গালী সালমান খানের নাম আপনারা হয়ত শুনেছেন। সালমান আমাদের অতি পরিচিত ইন্টারনেট এবং ভিডিও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা দানের ব্যবস্থাটাকেই পালটে ফেলার চেষ্টা করছেন । না- তিনি স্কুল বন্ধ করতে বলেন নি। টিচারদের চাকুরী থেকে ছাটাই করে দিতে বলেননি । স্রেফ এইটুকু বলেছেন যে মিলে মিশে আনন্দ নিয়ে, এক একজনের সুবিধা ও সময় মত শিক্ষা দানের পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে। আগে যেমন শিক্ষা দানের গুরুরা বাসায় শিক্ষা দিতেন, একজন শিক্ষার্থী গুরুর সাথে আলোচনায় বসতেন, বছরের পর বছর দীক্ষা নিয়ে গুরু যখন বলতেন - হ্যাঁ , তোমার শিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে - তখন তারা বাকিদের দীক্ষা দিতে বেরুতেন। অনেকটা সেই রকম। <br />
<br />
এই শিক্ষা ব্যবস্থার উপকারিতা কি? <br />
<br />
প্রথম উপকারিতা ঃ সকলের জন্য সমান মানের শিক্ষক <br />
<br />
আধুনিক যুগে মুশকিল হয়েছে আমরা সবাই মিলে গুরুর বাড়িতে গিয়ে থাকতে পারছি না । আবার একই গুরুর পক্ষে হাজার হাজার মানুষকে শিক্ষা দিয়ে বেড়ানোও সম্ভব না । তাই দেশে দেশে স্কুলের প্রচলন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সব গ্রামে কি একই মানের শিক্ষক পাঠানো সম্ভব? <br />
না।<br />
<br />
কিন্তু একই মানের ভিডিও শিক্ষক পাঠানো সম্ভব? <br />
<br />
হ্যাঁ। এই জন্যই সালমানের ১০ মিনিটের ভিডিও শিক্ষা এত জনপ্রিয় হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন শিক্ষার্থী - বয়স কিংবা লেভেল নির্বিশেষে এই সব ভিডিও থেকে শিক্ষা নিচ্ছে । আমি নিজেও অংক করছি কয়েক দিন ধরে । <br />
<br />
দ্বিতীয় উপকারিতা ঃ সকলের জন্য সমান মানের সনদ <br />
<br />
এর চেয়ে গণতান্ত্রিক, সামাজিক ন্যায় আর হয় না। পৃথিবীর কোন শিক্ষা যদি দাবী করতে পারে যে তারা সকল মানুষকে সমান সুযোগ, সমান সুবিধা , সমান দক্ষতার সনদ দিয়ে থাকে - তাহলে তা হলো এই সালমান খান একাডেমি । এখানে মানুষ ৮০-১০০% এর জন্য পড়ে না। এখানে সকলেরই লক্ষ্য থাকে ১০০% অর্জনের। <br />
<br />
চিন্তা করে দেখুন - এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা বাধ্য করছে প্রতিটা শিক্ষার্থীকে ১০০% বা সুপার এ গ্রেড পেতে । তুমি যতক্ষণ না একটি বিষয়ের একটি লেসনে ১০০% দক্ষতা না পাচ্ছো , ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি পরের লেসনে যাবেই না ! কি আশ্চর্য সাম্য! কি সুন্দর ন্যায়! <br />
<br />
আমরা এখন কি করছি? কাউকে এ গ্রেড, কাউকে বি গ্রেড , কাউকে সি গ্রেডের সিল কপালে লাগিয়ে এস এস সি, এইচ এস সি সনদ দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। যারা ফার্স ক্লাস , তারা মাত্র ৬০% দক্ষতা নিয়ে পাশ করছে । <br />
<br />
একটু ভেবে দেখুন তো ! আপনি কোন গাড়িতে চড়বেন যার ব্রেক ৬০% কাজ করে? কিন্তু আপনি সেই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন যে কিনা মাত্র ৫০% দক্ষ । ( বাংলাদেশে মেডিকেলে পাশের জন্য ৫০% নম্বর পেতে হয়) তার মানে, বাকি ৫০% না জেনেও আমি আপনার গলায় ছুরি চালাতে আইনত অনুমোদিত !!!!! <br />
<br />
অথচ সালমানের পদ্ধতিতে এনাটমিতে ১০০% দক্ষতা অর্জন না করে আমার পক্ষে সম্ভবই ছিলো না পরের সাবজেক্টে যাওয়ার। <br />
<br />
এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে স্কুলে স্কুলে মান সম্মত ভিডিও পাঠানো যায়। দরকার শুধু ভিডিও প্লেয়ার একটি কম্পিউটার , আর বিদ্যুৎ। সোলার বিদ্যুৎ দিয়ে যে সব স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব হচ্ছে - সেখানে এই ধরণের ভিডিও চালানো যায়। <br />
<br />
বাংলাদেশ সরকার টিভিতে ভালো স্কুলের ক্লাস প্রচার করবে। আমার কথা হলো, সেইটা রেকর্ড করে ইন্টারনেটে আপলোড করে দিলে দেশের যে কোন স্থান থেকে বার বার , যতবার ইচ্ছা , যতজনের ইচ্ছা নামিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। <br />
<br />
এর ফলে, (কি ভয়ানক কথা) আমাদের ৩য়-৪র্থ শ্রেনীর কর্মকর্তারাও অফিসের শেষে বাসায় বসে বসে পড়ালেখা করতে পারবেন। হাজার হাজার , লক্ষ লক্ষ মান সম্মত শিক্ষক তৈরীর প্রয়োজন কালকেই মিটানো সম্ভব না। কিন্তু এইটা খুবই সম্ভব যে মান সম্মত শিক্ষকদের দিয়ে ১০ মিনিটের ভিডিও বানিয়ে বানিয়ে সেইটা সারা বাংলাদেশে পৌছানোর ব্যবস্থা করা। <br />
<br />
হাসপাতাল গুলোর ক্ষেত্রেঃ <br />
<br />
কিছু জিনিসের অটোমাইজেশন প্রয়োজন । হাসপাতালে টিকেটিং, পেশেন্ট রেকর্ড ইত্যাদি প্রচুর ক্ষেত্রে ডাটা কালেকশন ও লজিস্টিক্সকে অটোমাইজ করে ভুল ত্রুটি , রোগীর চাপ ইত্যাদি কমানো সম্ভব। পাশাপাশি, আরেকটা জিনিস করা দরকার । তাহলো , ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানদের কাছে রেজিষ্ট্রি বাধ্যতামূলক করা । গ্রামের রোগীরা এবং শহরের ওয়ার্ডের রোগীরা প্রথমে তার নিজস্ব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান এর কাছে যাবে। এরপর ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান রেফার করলে বিশেষজ্ঞদের কাছে যাবে। এতে করে সর্দি কাশির জন্য জাতীয় অধ্যাপকের কাছে যাওয়া বন্ধ হবে। এবং কেউ ২০ টাকায় বসে ওষুধের দোকানে রোগী দেখবে আর কেউ ধান্মন্ডিতে বসে কোটি টাকা কামাবে - এই অন্যায় ও বন্ধ হবে। যতজন এম বি বি এস , বি ডি এস রা পাশ করে বেরিয়েছেন - তাদের সকলের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। <br />
<br />
এই ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত সকল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঐ এম বি বি এস এবং বি ডি এস দায়ী থাকবেন। সরকারের কাজ হবে মাঝে মাঝে র্যান্ডমলি কিছু লোকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা , তার কাগজ পত্র দেখা। প্রতি ৬ মাস অন্তর একজন বিডি এস কাছে চেক আপ করতে হবে। প্রতি এক বছর অন্তর এম বি বি এস এর কাছে । এর বাইরে অসুস্থ হলে তো দেখাবেই। সরকার যদি দেখে কোন ডাক্তারের আন্ডারে থাকা সকল মানুষের চেক আপের কাগজ পত্র, স্বাস্থ্য ইত্যাদি দেখ ভাল ঠিক মত আছে - তাহলে সেই অনুযায়ী বেতনের উপরে ডাক্তারদের ইঙ্ক্রিমেন্ট বাড়বে। <br />
<br />
যেই ডাক্তার যত বেশি রিমোট অঞ্চলে কাজ করবেন , তিনি তত বেশি বেতন পাবেন। ( এইটা চালু থাকবে, যতদিন না রিমোট অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নত হচ্ছে) । <br />
<br />
৬০০০ মানুষের কাগজ পত্র ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যদি অবহেলা পাওয়া যায় , তাহলে ডাক্তারকে শো কজ করা যাইতে পারে। এতে করে , ডাক্তারদের "গড" এর আচরণ করা কমবে। ভুয়া ডাক্তারীও বন্ধ হবে- যেহেতু মানুষের স্বাস্থ্যের উপরে নির্ভর করছে সেবাদানকারীর বেতন-ভাতা। <br />
<br />
অনেক আপত্তি থাকতে পারে এই সব সমাধানে । আপনারা আলোচনা করুন। সমাধান বেরিয়ে আসুক। </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com10tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-69269226573299385352011-05-30T03:57:00.002+06:002011-05-30T03:57:47.042+06:00"হেলথ ফর অল (health for all)" এর জায়গায় "সমান উন্নয়ন সবার জন্য (Equal development for all)" কবে দেখবো? পর্ব - ১<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><strong>বাংলাদেশের হেলথ সার্ভিস অর্থাৎ সরকারী, বেসরকারী (স্বাস্থ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) বা এন জি ও প্রদত্ত স্বাস্থ্য সেবা নিতে গিয়ে -<br />
১। আপনি কি কোন বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয়েছেন? <br />
২। আপনি কি কোন আর্থিক, মানসিক, শারীরীক বা সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন? <br />
৩। অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে কোন আপন জন হারিয়েছেন? <br />
৪। অবহেলা- ভুল চিকিৎসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা কাউকে হতে দেখেছেন? </strong> <br />
<br />
আমার কাছে কোন ভরসাযোগ্য দেশব্যাপী পরিচালিত জনমিতি (population statistics) নেই। কিন্তু কেন যেন মনে হয়, উপরের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর আপনি যেই হোন না কেন, বাংলাদেশবাসী হলে, "হ্যাঁ" হবেই। আমি ১০০% নিশ্চিত। আসুন, মূল আলোচনায় যাবার আগে দেখি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কি ধরণের সেবা পাওয়ার অধিকার আপনার আমার আছে। <br />
<br />
<strong>বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার </strong><br />
<br />
চিকিৎসা একটি সেবা, অর্থাৎ Public Good। কোন ব্যবসা পণ্য নয়। এর মানে হলো, আপনি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী স্থান, কাল, পাত্র, জাতি, ধর্ম, উপার্জন- এমন কি নাগরিকত্ব নির্বিশেষে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত যে কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকারী। <a class="eng" href="http://www.mohfw.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=74&Itemid=92&lang=en" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;"> (per Section 15(A) of the Bangladesh Constitution, and develop the health and nutrition status of the people as per Section 18(A) of the Bangladesh Constitution.) </span></a> <br />
<br />
বাংলাদেশের হেলথ পলিসি আমাদেরকে বলে- <br />
Health is defined asঃ <br />
<br />
<strong>“A state of complete physical, mental and social well-being and not merely the absence of disease or infirmity.”</strong> -- অর্থাৎ শুধু নিরোগ হইলেই চলবে না, রাষ্ট্র আপনাকে আমাকে শারীরীক, মানসিক ও সামাজিক "ভালো থাকা"কে নিশ্চিত করতে অঙ্গীকার করছে। সেই ভালো থাকার রুপটি কেমন? <br />
<br />
১। Every Citizen has the basic right to adequate health care - চিকিত্তসা সেবা পাওয়ার অধিকার <br />
২। The State and the government are constitutionally obliged to ensure health care for its citizens - নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের <br />
৩। To ensure an effective health care system that responds to the need of a healthy nation, a health policy provides the vision and mission for development. - একটি লিখিত নীতি দ্বারা উল্লেখিত <br />
৪। Pursuance of such policy will fulfill the demands of the people of the country, while the health service providers will be encouraged and inspired. People’s physical well-being and free thought process have proved to be a precondition for the growth and intellectual enrichment in today’s human society -- সেই লিখিত সনদ এর বাস্তবায়ন নাগরিকের চাওয়াকে মেটাবে, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহী করবে। <br />
এর পাশাপাশি একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।<strong> মানুষের সুস্বাস্থ্য ও স্বাধীন চিন্তা চেতনা আধুনিক মানব সমাজের উন্নয়ন ও মানসিক বিকাশের আবশ্যিক পূর্ব শর্ত। </strong><br />
<br />
সাক্ষরিত চুক্তি সমূহঃ Bangladesh expressed agreement on the declarations:<br />
১। Alma Ata, 1978<br />
২। The World Summit for Children 1990<br />
৩। International Conference on Population and Development, 1994<br />
৪। Beijing Women’s Conference, 1995<br />
<br />
Ministry of Health & Family Welfare seeks to create conditions whereby the people of Bangladesh have the opportunity to reach and maintain the<strong> highest attainable leve</strong>l of people health. It is a vision that recognizes health as a <strong>fundamental human right</strong> and therefore the need to promote health and reduce suffering in the spirit of <u>social justice</u>. --- এইটা আমাদের বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের "vision" আর <a class="eng" href="http://www.mohfw.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=73&Itemid=81&lang=en" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">এইটা</span></a> হইলো "objective" । <br />
<br />
<strong>ভিশন অনুযায়ী , তিনটা বিষয় গুরুত্ব পূর্ণ। অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ স্তরের স্বাস্থ্য, মৌলিক মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যয় অর্জনের সাথে দেশের স্বাস্থ্য অধিকার-সেবা - সিস্টেমকে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে । </strong><br />
<br />
মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে আরো দেওয়া আছে এই সব ভিশন, মিশন, অব্জেক্টিভ, গোল ইতাদি অর্জন করার রুপ রেখা। তার ভিতরে একটি গুরুত্ব পূর্ণ সনদ হইলো আলমা আটা ১৯৭৮ । এইটা রুচি কিংবা তীর আটা নয়, একটা চুক্তি যাতে বাংলাদেশ সরকার সাইন করে এই প্রতিজ্ঞা করেছে যে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য সেবা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। এই কারণেই প্রতিটা স্বাস্থ্য, মা, বাবা, নাতি-পুতি, বন্ধু দিবসে, নিরাপদ পানি, ভাত, পায়খানা দিবসে, এবং বিভিন্ন আমাশা, ডায়রিয়া, এইডস, ম্যালেরিয়া দিবসে ঘুরে ফিরে এই "সকলের জন্য স্বাস্থ্য" বাক্যটি বারংবার উচ্চারিত হয়। <br />
<br />
এইবার আসুন দেখি, বাস্তবায়ন পর্যায়ে এসে এই সব ঘোষণা ও দিবসের কি হাল? <br />
<a class="eng" href="http://www.heubd.org/PUBLICATIONS/Research%20paper%20in%20PDF/Research%20Paper%20No.39-A.pdf" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">এইখানে ১৯৯৭-২০০৭ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যখাতের খরচের হিসাব আছে । </span></a> <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.heubd.org/PUBLICATIONS/Research%20paper%20in%20PDF/Research%20Paper%20No.33.pdf" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">এইখানে আছে হাসপাতাল গুলোর রিপোর্ট কার্ড ২০০৭ </span></a> <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.heubd.org/index.php?LINK=HEU_ResearchPapers.htm" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">কারা সেবা প্রাপ্ত হয়, সেই বেনিফিশিয়ারী রিপোর্টের পিডি এফ টাই নামানো গেলো না। মুমূর্ষু পি ডি এফ নিজেই। </span></a> <br />
<br />
এত গেলো সরকারী হিসেব কিতাবে। এখন কাজীর গরু মাঠে নামলে কি দেখা যায়? <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.youtube.com/watch?v=csaxRMPIvAc&feature=player_embedded" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, মেডিকেল স্টুডেন্টদের এক নম্বর পছন্দের কলেজ ঢাকা, দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা (টারশিয়ারী) একাডেমিক মেডিকেল হসপিটাল ঢাকার রাতের অবস্থা </span></a> <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.sachalayatan.com/rezwan/39117" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ব্লগার রেজোয়ানসহ অনেকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা </span></a> <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-05-27/news/157550" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">বিশেষজ্ঞসহ ডাক্তাররা স্বাস্থ্যসেবার সরকারী খাত ছেড়ে পালাচ্ছেন । </span></a> <br />
<br />
রাজধানী ছেড়ে একটু বাইরে গেলেই স্বাস্থ্যসেবা কেতাবী গরু হয়ে যায়। দূর ভোলার চিত্র কি হতে পারে? <a class="eng" href="http://www.samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&option=single&news_id=160133&pub_no=705" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">সমকালের রিপোর্ট ঝাড়ূদার যখন ডাক্তার!</span></a> <br />
<br />
ভুক্তভোগী রোগী ও দর্শক হিসেবে আমাদের কু অভিজ্ঞতার শেষ নাই। ডাক্তাররা নিজেরা কি বলছেন? <br />
<br />
<strong>বেসরকারি ব্যয়বহুল হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধা বেশি, এটি সত্য। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে কোনো সরকারই চিকিৎসকদের মেধার গুরুত্ব দেয়নি। বদলি, পদোন্নতি ও পদায়নে রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য হয়ে গেছে। তাই হতাশ ও বাধ্য হয়ে তাঁরা চাকরি ছেড়েছেন।</strong> <br />
<br />
<strong>ঢাকার বাইরে বেশির ভাগ জায়গায় এখনো সপরিবারে থাকার মতো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। মূলত সে কারণেই তিনি চাকরি ছেড়েছেন।</strong> <br />
<br />
<strong>তাঁর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ যে বিষয়ের ওপর, তা প্রয়োগের জন্য ঢাকাই একমাত্র জায়গা <br />
<br />
কিন্তু তাঁকে বদলি করা হয় টাঙ্গাইলের একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে রোগীদের প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না।<br />
<br />
চিকিৎসকদের বদলির ভয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রভাব পড়ছে দরিদ্র সাধারণ মানুষের ওপর।<br />
<br />
এক সময় বিএনপি-সমর্থিত ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) একজন ব্যক্তি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন স্বাচিপের অসংখ্য দরবেশ, মোয়াজ্জিন গজিয়েছে। তাদের তোষামোদ করে চলা কোনো সুস্থ, শিক্ষিত, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চিকিৎসকের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনিও চাকরি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। </strong> <br />
<br />
এর পাশাপাশি বেতন বৈষম্য নিয়ে একজন পাঠকের মন্তব্য ঃ<br />
<br />
<strong>একজন অধ্যাপক চিকিৎসকের সর্বচ্চ বেতন ৪০,০০০ টাকা। একজন সদ্য প্রকৌশলী তো এই বেতনে চাকরী করতে চাইবেন না।</strong> <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-05-27/news/157550" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">সূত্রঃ প্রথম আলো </span></a> <br />
<br />
<strong>এবার আলোচনাঃ </strong> <br />
<br />
উপরের উদাহরণ গুলো থেকে দেখা যাচ্ছে , স্বাস্থ্য সেবা খাতের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রদানকারী এবং রোগীরা কেউই ভালো নেই। সংবিধান এবং স্বাস্থ্যনীতি আমাদের যে "ভালো থাকার" অঙ্গীকার করে, বাস্তবে তার দেখা পাওয়া মুশকিল। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ, প্রধান্মন্ত্রীর কানের চিকিৎসা করার সামর্থ বাংলাদেশে নাই। মন্ত্রী , সাংসদসহ সকল ধনী ব্যক্তিরা পারলে বিদেশে চিকিসা নেয়। গরীব লোকেরা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, আমেরিকা না পারুন, অন্তত পাশের দেশ ভারতের কোলকাতা, মাদ্রাজ -এ গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করে। <br />
<br />
<strong>স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এই রকম হযবরল অবস্থা ও ভেঙে পড়ার কারণ কি?</strong><br />
<br />
অনেকেই বলেন আমাদের জনবল, যন্ত্রপাতি ও অর্থের অভাব। যথাযত পলিসির অভাব। মানুষের স্বভাব চরিত্র (মূলত ডাক্তার) খারাপ, সেবা দেওয়ার সঠিক মনভাব নাই। প্রচুর প্রস্তাবে মানুষ ভেটো দিয়ে বসে থাকে। যেমন - হাসপাতালের টিকেটের দাম বাড়ানো যাবে না অথচ এমনিতেও আগত রোগীদের পকেট থেকে শত শত টাকা খরচ হয়ে যায়। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য অর্থ খরচের বেলায় দাতা দেশের কাছে হাত পেতে বসে থাকতে হয় অথচ সকল প্রকার চিকিৎসা "ফ্রি" । সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বলতে কতগুলো ইটকাঠের বিল্ডিং করে রাখা হয়েছে কিন্তু সেই অবকাঠামো চালাতে হলে পারিপার্শ্বিক যেই সুযোগ সুবিধা (পলিসি, জনবল, বিদ্যুৎ, পানি থেকে শুরু করে জীবন যাপনের মৌলিক চাহিদা পূরণের উন্নত ব্যবস্থা) দরকার , সেসবের সমন্বয় করতে বলতে " ইহা আমাদের দায়িত্ব নহে" ধরনের মনভাব। <br />
<br />
<br />
পোস্ট বেশ বড় হয়ে গেলো। পরের পর্বে এই সব কারণ , সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে লিখবো। </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-82100945479877958652011-05-30T03:54:00.000+06:002011-05-30T03:54:50.314+06:00দেশের সব খেটে খাওয়া মানুষেরাই কি দালাল?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আজকে প্রথম আলো পত্রিকার একটা খবরে চোখ আটকে গেলো । <a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29358726#c6487638" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">বাংলাদেশের শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে প্রায়ই খবর আসে।</span></a> দেশের ভিতরে যার মাধ্যমে টাকা দিয়ে ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে পৌঁছায়, রিক্রুটিং এজেন্সি, বাংলাদেশের দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কোম্পানিসহ প্রশাসন - কারো কাছেই এই গরীব মানুষ গুলো কোন সাহায্য পায় না। বরং পদে পদে হয়রানির শেষ নাই। বছর শেষে গাল ভরা " রেমিটেন্স" স্ট্যাটিস্টিক্স ছাড়া এই রক্ত মাংসের মানুষ গুলো বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের "আধুনিক দাস" , শোষিত , অবহেলিত। <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-05-29/news/158052" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">উল্লেখিত খবরেও এর ব্যাতিক্রমী কোন নতুন তথ্য নেই। তবে তথ্য আছে কিছু "দালালের সম্পর্কে" । এরা হোল মধ্যস্বত্তভোগী । </span></a> সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে -ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সির হয়ে এরা - বিদেশে যেতে ইচ্ছুক - শ্রমিক সংগ্রহ করে। <br />
<br />
উল্লেখিত খবরে পাওয়া কিছু তথ্যঃ<br />
<br />
<u>১। ঢাকার বাইরে কারও অফিস নেই: বায়রার তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন এক হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। কিন্তু এদের সবার অফিসই ঢাকায়। সরকারিভাবে ঢাকার বাইরে তাদের অফিস নেওয়ার জন্য বলা হলেও কেউ-ই ঢাকার বাইরে অফিস নেয়নি।</u><br />
<br />
এর কারণ সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। একজন মন্তব্যকারী আকরাম তানিম বলেছেন, <br />
<strong>সরকারিভাবে ঢাকার বাইরে তাদের অফিস নেওয়ার জন্য বলা হলেও কেউ-ই ঢাকার বাইরে অফিস নেয়নি। " কিভাবে নেবে ? আমার জানা অভিগ্ণতা থেকে বলছি, এলাকার মাস্তানরা চাঁদা চাইবে, অফিস ভাংচুর করবে, প্রশাসনও ঝামেলা করবে। কি দরকার ?</strong> <br />
<br />
তারমানে, ঢাকার বাইরে ব্যবসা করার মত যথেষ্ট নিরাপত্তা সরকার দিতে পারছে না। আবার কারণটা এইটাও হতে পারে- ঢাকায় বসেই যদি ব্যবসা করা যায়, ঢাকার বাইরে তারা যাবে কেন? অর্থাৎ এইখানেও সরকারের নিয়ন্ত্রনের অভাব। মনিটরিং এর অভাব। <br />
<br />
<u>২। দালালদের সহায়তায় বিদেশে যেতে পারলেও সরকার-নির্ধারিত খরচের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা ব্যয় করতে হয়। মালয়েশিয়া যেতে সরকারি খরচ ৮৪ হাজার টাকা, অথচ দিতে হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।</u> <br />
<br />
এইখানেও সরকারের মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রনের অভাব।<br />
<br />
<u>৩। অথচ গ্রামগঞ্জ ও শহরে ছড়িয়ে আছে ৫০ হাজার থেকে লাখ খানেক দালাল।</u> ----লক্ষ্য করুণ, এই এজেন্টদের সঠিক সংখ্যা কারো জানা নেই। এইখানেও সরকারের তথ্য সংগ্রহ , সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রনের অভাব। <br />
<br />
<br />
<u>৪। ‘বিদেশগামী এবং রিক্রুটিং এজেন্সি দুই পক্ষই এখন দালালদের ওপর নির্ভরশীল। একজন কর্মী বিদেশে যেতে চাইলে কোথায় যাবেন, কী করবেন—সে ব্যাপারে যথেষ্ট সরকারি তথ্য নেই। এই সুযোগ নেয় দালালেরা। আবার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর তৃণমূলে কোনো কার্যক্রম নেই। তাদের সবার অফিস ঢাকায়। ফলে তাদেরও বিদেশে পাঠানোর জন্য লোক আনতে এই দালালদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবেই দালালপ্রথা টিকে আছে বছরের পর বছর। </u> --- এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতাই কি দুর্নীতির কারণ নাকি এই চক্র এর উপর কোন নিয়ন্ত্রন না থাকাটা আসল সমস্যা? <br />
<br />
৫। প্রমাণ ছাড়াই অর্থ লেনদেনের ফলে প্রতারণা, নিঃস্ব হয়ে যাওয়া, বিদেশ যাওয়ার খরচ বেড়েই চলেছে।<br />
<br />
৬। বিদেশে আদম রপ্তানির সাথে জড়িতরা সকলেই রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রীর আত্মীয়। অনেক নেতা নিজেরাই ব্যবসার সাথে জড়িত। ফলে শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা হয় - এমন কোন আইন হয় না। হলেও তার প্রয়োগ হয় না। <br />
<br />
<strong>গরীব মানুষ গুলোই কি সমস্যা? </strong><br />
<br />
কথায় কথায় আমরা দালাল আখ্যা দিয়ে যে কোন প্রক্রিয়াকে দালালমুক্ত করার কথা হুট করে বলে ফেলি। অথচ সারা খবরে এমন কোন তথ্য নেই যে এই দালালেরা কোটিপতি। বরং আদম ব্যবসায়ী , লাইসেন্সপ্রাপ্ত, নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সী গুলোর অনেক মালিকই বরং চরম ধনী। <br />
<br />
একবারও কি ভেবে দেখছি যে এই লোক গুলোর অন্য কর্ম সংস্থান নেই? এই দালালির ইনকাম বন্ধ করে দেওয়ার পরে এরা কি করবে? চুরি? ডাকাতি? হত্যা? আমাদেরকে আরেকটু গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করে তারপর পরামর্শ দেওয়া উচিত। <strong>আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, প্রতারণা যেমন বন্ধ করতে হবে, সেই রকম ভাবে - শ্রমিকের স্বার্থ, রিক্রুটিং এজেন্সির স্বার্থ, এই এক লাখ মানুষের উপার্জনের স্বার্থও দেখতে হবে।</strong> দেশে কোন কর্ম সংস্থান নেই। হুট করে দালাল বলে গালি দিচ্ছি, আমরা এই মানুষ গুলা বা তাদের পরিবারকে খাওয়ানো পরানোর দায় দায়িত্ব নেব? কিন্তু সরকারের তো এই দায়িত্ব ভুলে গেলে চলে না, তাই না? <br />
<br />
<strong>কারো উপার্জনের পথ বন্ধ করে না দিয়ে বরং প্রতারণা আর নিয়ন্ত্রনহীনতাকে বরং দূর করা উচিত। সরকারের কাজ মানুষের রোজগারের পথ বন্ধ করে দেওয়া নয়, রোজগারের পথ নিয়ন্ত্রন করা - যাতে একজনের রোজগার অন্য কারো ক্ষতি না করে। </strong> <br />
<br />
কারো রুটি রুজির পথ বন্ধ না করে বরং নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা গুলো নিন। সরকার বা রিক্রুটিং এজেন্সি - কেউই যখন গ্রামে গঞ্জে এমপ্লয়মেন্ট অফিস খুলছেন না (আপাতত) পুরো প্রক্রিয়াটাকে নিয়ন্ত্রন করুন। যারা অলরেডি এই ফিল্ডে কাজ করছে, তাদেরকে সঠিক ভাবে আইন ও লাইসেন্সের আওতায় আনুন। <br />
<br />
১। যারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে লোক সংগ্রহ করে, তাদেরকে লাইসেন্স দিন, তাদের নাম-ধাম-ঠিকানা- সম্পূর্ণ পরিচয় লিপিবদ্ধ করে কাগজে , পেপারে, অনলাইন ওয়েব সাইটে ( সরকারী ওয়েবসাইট ও অনলাইন পত্রিকা) পাবলিশ করে দিন। <br />
<br />
ক) কারা এই ধরনের কাজ করতে পারবেন তার একটা বর্ননা ও লাইসেন্স পাওয়া পদ্ধতি ঠিক করে দিন। <br />
খ) শ্রমিকদের সন্তুষ্টির উপরে নম্বর/রেটিং দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। যার ইউজার রেটিং যত ভালো হবে, তার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন। এই রেটিং নির্ভর করবে, ঐ জবে যাওয়ার পরে শ্রমিক ভাই বোনেরা কতটা ভালো আছেন তার উপরে ( কাজ, বেতন, সুবিধা শর্তমত পেয়েছে কিনা) <br />
পুরস্কার দেওয়া উচিত কারণ এই মানুষ গুলো কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করছে। সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে এতে দেশের আয় হয়। <br />
<br />
২। দালাল ও শ্রমিক, উভয় পক্ষের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিন । সমস্ত টাকা পয়সার লেন দেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করুন। ব্যাংক ব্যবহারের জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করুন। বিদেশ থেকে কি ভাবে টাকা পাঠাবেন, কি ভাবে দেশে যোগাযোগ করবেন ইত্যাদির ট্রেনিং দিন। এই ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রিক্রুটিং এজেন্সিই করতে পারে। সরকার শুধু আইন তৈরী ও মনিটরিং করবে। <br />
<br />
৩। প্রতিটা এজেন্ট কাকে কাকে, কোন রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে নিয়ে যাচ্ছে - তার রেকর্ড রাখার ( কাগজ ও অনলাইনে) ব্যবস্থা করুন। <br />
<br />
৪। প্রতিটা শ্রমিক যখন বিদেশে যায় - তখন সেই শ্রমিকের পরিচয়ের পূর্ণ বিবরণ, যেমন -- <br />
ক) নাম<br />
খ) ঠিকানা<br />
গ) ছবি<br />
ঘ) ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য <br />
ঞ) তার পরিবারের তথ্য-পরিচয়, যোগাযোগের ঠিকানা, টেলিফোন, ছবি <br />
চ) যার মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে গেছে তার তথ্য- পরিচয়, যোগাযোগের ঠিকানা, টেলিফোন, ছবি, লাইসেন্স নম্বর<br />
ছ) রিক্রুটিং এজেন্সির তথ্য-নাম, অফিসের ঠিকানা, টেলিফোন, লাইসেন্স নম্বর<br />
জ) যেই কোম্পানিতে কাজ করতে যাচ্ছে সেই কোম্পানির পরিচয়- নাম, অফিসের ঠিকানা, টেলিফোন, লাইসেন্স নম্বর<br />
ঝ) যে কাজ করতে যাচ্ছে তার বর্ননা-পদ, দায়িত্বের বিবরণ, বেতন, শর্তসমূহ <br />
<br />
--- উপরের সমস্ত তথ্যে এক কপি বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সমূহ, এক কপি রিক্রুটিং এজেন্সি ও এক কপি সেই দেশের দূতাবাসে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। <br />
<br />
<strong>এই তথ্যগুলো যাচাই ও সম্পন্নের জন্য এয়ারপোর্টে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অফিস, কম্পিউটারের শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মী রাখার ব্যবস্থা করুন। </strong> -- দেশের অন্য কোথাও যদি কেউ মিস হয়েও যায় - অন্তত এয়ারপোর্টে , প্লেনে উঠার আগে তাকে ধরার এবং সাহায্য করার ব্যবস্থা করুন। <br />
<br />
৫। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ভিসা দেওয়া হবে না। <br />
<br />
৬। শ্রমিকদের ডিজিটাল পরিচয় পত্র দিন যেখানে ৪ নম্বরের সমস্ত তথ্য ঐ ডিজিটাল কার্ডের চিপে সংরক্ষিত থাকবে। যে কোন প্রশাসন কার্ড রিডারের মাধ্যমে এই তথ্য যে কোন সময় এক্সেস করতে পারবেন। এয়ারপোর্টে এই কার্ড দেখিয়ে , তথ্য যাচাই করে প্লেনে উঠার অনুমতি দেওয়া হবে, নইলে নয়। <br />
<br />
<strong>আজকের টেকনলজির যুগে নিয়ম করে এই সামান্য কাজ টুকু করা কোন ব্যাপারই না। </strong></div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-30285627327651954122011-03-25T07:17:00.000+06:002011-03-25T07:17:15.472+06:00লাক্স এর চামড়া ব্যবসা , দর্শকের দেহ কামনা আর ব্লগে ধর্ষকামী ভূতের আছর - ১ম পর্ব<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">শিরোণাম পড়েই হয়ত বুঝে নিয়েছেন সাম্প্রতিক আলোচিত , নন্দিত (সামান্যই) এবং নিন্দিত লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার অনুষ্ঠান্টি নিয়ে আরো একটি লেবু কচলানো হতে যাচ্ছে । নাহ, এখনই বিরক্ত হয়ে ফিরে যাবেন না । মেয়েদের শরীর প্রদর্শন , বাঙ্গালীত্ব , ধর্ম তত্ত্ব - এই সব কচলানো লেবু নিয়ে তিতা করার কোন ইচ্ছা আমার নাই । আমি বরং আমার ফিল্ডের কাছাকাছি মেডিকেল ও বৈজ্ঞানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই । আর যেই বিষয়টায় আমার চিরকালীন এলার্জি আছে , সেই মেগা কর্পোরেট দুনিয়া কি ভাবে আমাদের মন, মেধা , মনন ও স্বাভাবিক বুদ্ধি বিবেচনা খেয়ে ফেলছে , তাই নিয়ে দু'চারটা কথা বলতে চাই । <br />
<br />
নিঃসন্দেহে সৌন্দর্য চর্চা একটা ব্যবসা । ট্রিলিওন ট্রিলিওন ডলারের ব্যবসা । এই ব্যবসার মূলে আছে মূলত কর্পোরেট পুঁজিবাদ । পুঁজিবাদ কি বলে? পুঁজিবাদ বলে প্রোডাকশন বা উৎপাদনের সব রকমের উপাদান , মালামাল বা সার্ভিস, বিক্রি ও লাভ - সব কিছুর মালিক হবে ব্যক্তি । উৎপাদন প্রক্রিয়ার লেন দেন হবে মার্কেটে এবং বেতন ও দাম নির্ধারন করবে মার্কেট । কর্পোরেট পুঁজিবাদ বলা হয় সাধারণত ঐ ধরনের ব্যবস্থাকে যেইখানে , আইন অনুযায়ী কর্পোরেশন বা সংস্থাকে হতে হবে প্রফিট ওরিয়েন্টেড । অর্থাৎ , একটা হাঁচি কাশি দিতে গেলেও সেইখানে আপনার লাভ থাকতে হবে । অর্থনীতির ড্রাইভার সমূহ একটি এবং একটি মাত্র লক্ষ্য নিয়ে আগাবে তা হলো " প্রফিট বা লাভ" । <br />
<br />
কমিউনিজম বা সোসালিজম এর সাথে এর মূল পার্থক্যটা হলো , কমুইনিটি বা সোসাইটির সার্বিক লাভালাভ এইখানে বিবেচ্য থাকে না । বিবেচ্য থাকে কর্পোরেট এর লাভ। মালিক যেহেতু ব্যক্তি তাই ব্যক্তিগত লাভ। তাতে সমস্যাটা কি ? <br />
<br />
সমস্যাটা হলো , আপনাকে যখন পুরো কমিউনিটি বা সোসাইটির লাভ মাথায় রেখে লেন দেন করতে হবে , তখন আপনি এই কমিউনিটি বা সোসাইটির কোন সদস্যের কোন ক্ষতি হয় , এমন কোন লেন দেন বা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না । সুতরাং, আপনাকে এথিকাল ট্রেডিং করতে হবে । এখন একটা রাষ্ট্র যদি গণতান্ত্রিক হয় , তাহলে সে তার জনগণের কাছে একাউন্টেবল এবং জনগণের জন্য অনিষ্ট করে এমন কোন সিদ্ধান্ত , ব্যবসা করতে পারবে না । দুনিয়ার কর্পোরেট গুলা যতদিন রাষ্ট্রের অধীনে ছিলো , তারাও এই নৈতিকতা মেনে চলতে বাধ্য ছিলো । কিন্তু এখন মাল্টীন্যাশনাল কোম্পানি গুলা ধনে, সম্পদে , পলিটিকাল পাওয়ারে যে কোন একটি রাষ্ট্রের অধীনে নয় । আগে রাষ্ট্র কর্পোরেটকে নিয়ন্ত্রন করত। এখন কর্পোরেটই উলটা রাষ্ট্রকে চালায় । সুতরাং , ভোটের মাধ্যমে কে নির্বাচিত হবে , সেইটাও আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। মূলত পৃথিবীর সমস্ত ধন সম্পদ, পলিটিকাল ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রন চলে গেছে জনগণ তথা রাষ্ট্রের বাইরে , কতগুলা মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেটের হাতে । ন্যায়, নীতি , উচিত , অনুচিত বলে তাই আর দুনিয়াতে কিছু নাই । সবই প্রফিট ওরিয়েন্টেড । দুনিয়া জুড়ে যেই তথা কথিত এন জি ও , ডেভেলপমেন্ট, ডোনার , হেলথ , ডেভেলপমেন্ট এইড ইত্যাদি ইত্যাদি গাল ভরা নাম আর কার্যক্রম চলে , এইটাও আসলে কর্পোরেট বাণিজ্যেরই আরেকটা রুপ । নামেই নন প্রফিট , আসলে বিজনেস। <br />
<br />
বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে ? কল্পনা করুন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে । এদের কত্তগুলা হাত আছে ? <br />
<br />
<strong>ক। নন আর্মস , লিগাল ব্যবসার হাত </strong><br />
১। পলিটিকাল দল বা রাজনৈতিক ব্যবসার হাত <br />
২। সম্পূর্ণ ফর প্রফিট ব্যবসার হাত - যেমন কম্পিউটার, ব্যাংক , প্রকাশনা <br />
৩। প্রফিট - নন প্রফিট মিক্স সেবা খাত হিসেবে ধরা হয় এমন ব্যবসা - হাস্পাতাল, ইউনিভার্সিটি<br />
৪। সম্পূর্ণ নন প্রফিট ( আসলে প্রফিট) ব্যবসা - এন জি ও <br />
<strong>খ। আর্মড ও ইলিগাল ব্যবসার হাত </strong><br />
১। অস্ত্র চোরাচালান ও বিক্রি <br />
২। মাদক এবং অন্যান্য অবৈধ পণ্যের বেচাবিক্রি <br />
৩। আদম পাচার ইত্যাদি <br />
<br />
এখন একটু চিন্তা করে দেখেন , এই সব কয়টা হাত মিলিয়ে জামায়াত কিন্তু বাংলাদেশের একেবারে গরীবের চেয়ে গরীব এবং উপরের ধনীর চেয়ে ধনী সব কয়টা স্তরেই ব্যবসা করছে । ক্ষুদ্র ঋণ থেকে শুরু করে ভার্সিটি, ব্যাংকিং, হাসপাতাল , তার উপরে ধর্ম ও পলিটিক্স । তার মানে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ হইলাম আমরা জামায়াতের ক্রেতা গোষ্ঠী এবং আমাদের শ্রম ও শ্রমের পয়সা চলে যাচ্ছে তাদের পকেটে । তাই রাজনৈতিক গ্রহনযোগ্যতা না থাকলেও জামায়াত গেড়ে বসেছে আমাদের গলার কাঁটা হয়ে , এবং এইটা ঘটেছে গত ৩০ বছরে । ঠিক এই ভাবেই কল্পনা করুন, বিশ্বের কয়েকটা মাত্র কোম্পানি এক এক করে কিনে নিচ্ছে অর্থনীতির সব কয়টা হাত । কি ঘটবে? <br />
<br />
সারা বিশ্বই তখন পরিণত হবে একটা বাজারে যেইখানে সকলেই ক্রেতা বা কঞ্জিউমার । যে যত বড় বা বেশি কনজিউমার , তার দাম তত বেশি। আর সকল কার্যক্রমের মূলে রয়েছে শুধুই লাভ আর লাভ। লাভ নাই তো সব বন্ধ। এর ভিতরে লাক্সের চামড়া আসল কই থেকে , এইটাই ভাবছেন তো ? <br />
<br />
পড়ুন<a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29085807" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">২য় পর্ব </span></a> ।<br />
<br />
প্রথম পর্ব থেকে দুইটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা । <br />
১। কর্পোরেট পুঁজিবাদ চালিত হয় একমাত্র লাভ বা প্রফিটের দ্বারা , এইখানে নিয়ম নীতি , উচিত -অনুচিত , এথিকাল - নন এথিকালের বালাই নাই <br />
<br />
২। এই মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট গুলো অর্থনীতির লিগাল, ইলিগাল, সোসাল - সব কয়টা হাত কিনে নিয়ে নিয়ন্ত্রন করছে । <br />
<br />
অর্থাৎ , যেই কোম্পানি মানুষের পয়সা চুষে খেয়ে ফুলে ফেপে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে , সেই আবার কর্পোরেট সোসাল রেস্পন্সিবিলিটির নামে সোসাল ওয়ার্ক করে বেড়াচ্ছে । <br />
<br />
মানে , ধরুন আপনার কাছে একটা গরু আছে । ঐটা দিয়ে আপনি দুধ উৎপাদন করতেন , নিজে খাইতেন , পরিবারকে খাওয়াইতেন আর বাড়তিটুকু বিক্রি করে সংসার চালাইতেন। এখন আমি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আপনার কাছ থেকে অনেক টাকায় গরুটা কিনে নিলাম । এবং দুধ আপনার কাছে বিক্রি করা শুরু করলাম , আপনিও কিনতে বাধ্য কারন আপনার নিজের আর গরু নাই। আপনি টাকার লোভে গরু বিক্রি করে দিলেও কিছু দিন পরেই ভুলটা বুঝলেন, টাকা তো চিরদিন থাকে না, খরচ হয়ে যাচ্ছে , কিন্তু তখন আর কিছু করার নাই । আপনার পয়সা ফুরায় গেলে আমার কাছেই হাত পাতলেন । আমি আপনাকে আমার মালিকানাধীন গরু যেইটা আগে আপনার ছিলো সেইটা দেখা শোনার দায়িত্ব দিলাম এমন বেতনে যেইটা দিয়ে বাচ্চা কাচ্চা দূরে থাক , আপনার নিজেরই এক গ্লাস দুধ জুটে না । এইবার আমি আমার কর্পোরেট সোসাল রেস্পন্সিবিলিটির নামে আপনারে দুধ কিনার ঋণ দিলাম। সেইটা দিয়ে আপনি নিজের বাচ্চার জন্য দুধ কেনা শুরু করলেন। আপনাকে বিক্রির কমিশন দেওয়ার লোভ দেখালাম ও ক্রেতা বাড়াতে বললাম। অচিরেই আপনি বুঝতে পারলেন , আয় না বাড়ালে ঋণ শোধ করা যাচ্ছে না । বাচ্চার লেখা পড়া বন্ধ হয়ে গেছে । আর আশে পাশের বাড়িতে যতদিন দুধ আলা গাভী থাকবে , আপনার বিক্রি বাড়বে না । আমাকে আর কিছু করতে হইলো না । বাঁচার তাগিদে আপনি আশে পাশে লোকজনকে গাভী বিক্রির জন্য মূলামূলি শুরু করলেন। ইতমধ্যে আমার লাভের টাকা দিয়ে আমি একটি স্কুল খুললাম । আমার কাছ থেকে স্বল্পসুদে ঋণ নিয়ে সেইখানে বাচ্চা কাচ্চারে পড়াতে শুরু করলেন। সেইখানে আমি তাদের আমার সুবিধা মত উচিত, অনুচিত, ভ্যালু শিক্ষা দিলাম । কিন্তু দিনে দিনে খরচ বেড়েই চলেছে , শেষে ভিটা মাটি বন্ধক পড়লো আমার কাছে । স্বভাবতই , আমি মহান । তাই আপনার বউকে নিয়ে এলাম , ট্রেনিং দিলাম ও একটা মিষ্টির কারখানা বানিয়ে তাতে কাজে লাগালাম। আগে ২২ টাকা লিটারের দুধ আমি নিতাম ২০ টাকা । আপনার বেতন ছিল ২ টাকা । মিষ্টির কারখানায় দুধ বেচে এখন পান ৪ টাকা (কমিশন সহ) । বউ এর বেতন ২ টাকা ( যেহেতু মেয়ে) । মিষ্টির কেজি ১৪০ টাকার ১৩৬ টাকা আমার । ভুলে যাবেন না , আপনার ৬ টাকা থেকে আমাকে কিস্তি দিতে হয় কিন্তু । ধরে নেই , কিস্তি ২ টাকা । সেখান থেকে আমি রাখি ১ টাকা । বাকি ১ টাকা দেই আপনার ছেলেকে যে মাসে মাসে কিস্তির টাকা আমাকে এনে দেওয়ার কাজ নিয়েছে আমি যেই নতুন ব্যাংকটা খুলেছি সেইখানে। ইতমধ্যে আপনার মেয়ে স্কুল পাশ দিয়েছে । আমি তাকে ট্রেনিং দিয়ে পোল্ট্রির কাজে লাগিয়েছি যেইটা আপনার আগের ভিটায়/ বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত । শিক্ষিত বলে তার বেতন আড়াই টাকা । চাইলে অবশ্য সে ঋণ নিয়ে আমার পোল্ট্রির মুরগীগুলাকে বেচার ব্যবসা করতেই পারে। এই রকম ভয়ানক পরিশ্রমের ফলে অসুখ বিসুখ হইতেই পারে । তাই আমি একটা হাসপাতাল দিয়েছি । সংস্থার কর্মী হিসেবে ঐখানে আপনি ৩০% ডিস্কাউন্টে চিকিৎসা পান। এর ভিতরে এলাকায় ইলেক্ট্রিসিটি নিয়ে এসেছি। আমার নতুন গার্মেন্টস আর বিড়ি সিগারেটের কারখানাইয় আপনার আত্মীয় স্বজন, পাড়া পড়শীরা কাজ করে , যাদের গরু গুলোকে আপনিই তাদের প্রলব্ধ করেছিলেন আমার কাছে বেঁচে দিতে । এরাই আবার আমার মিষ্টি, কাপড় , বিড়ি, শিক্ষা , চিকিৎসা ইত্যাদির ক্রেতাও । <br />
<br />
<strong>এই গল্পটা থেকে ৩টা জিনিস শিখবেন । <br />
<br />
১। আপনার বেতন যতই বাড়ুক, আপনি কোনদিনই আমার মতন বড়লোক হইতে পারবেন না , আর ১৪ জেনারেশন ধরে চেষ্টা করেও পুরাপুরি ঋণ মুক্ত হইতে পারবেন না । শুভংকরের ফাঁকিটা ঐখানেই । <br />
<br />
২। আপনার বেতন আমি তখনই বাড়াব যখন আমার উৎপাদিত পণ্যের ক্রেতা বাড়ানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট ক্রয় ক্ষমতা সম্পন্ন কনজিউমার বাজার লাগবে ।<br />
<br />
৩। আগে আপনি ও আপনার আশে পাশের সবাই গরু নামক একটি উৎপাদক যন্ত্রের মালিক ছিলো । আজকে আমি হইলাম মালিক আর আপনারা সবাই আমার ইচ্ছার অধীন , উচ্চ বেতন সম্পন্ন , মাল্টিন্যাশনালে কর্মরত গর্বিত কর্মী । পাশাপাশি আমার ক্রেতা।আপনে যতই উপরে উঠেন, আমি মালিক, আপনি আমার চাকুরে/চাকর</strong><br />
<br />
এর নাম কর্পোরেট বাণিজ্য । আমি আপনাকে প্রতি পদে পদে ঠকাচ্ছি , ঠকিয়ে নিজে লাভ করছি । প্রথমে ঠকাচ্ছি বেশি দামে গরু বিক্রির লোভ দেখিয়ে ( অনেক বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন) , তারপর বেতনে , তারপর ঋণে , তারপর সুদে , তারপর ডিস্কাউন্ট দেওয়ার নামে উৎপাদিত পণ্যের বান্ধা কাস্টমার বানিয়ে , এবং পরিশেষে আপনাকে চিরদিনের জন্য ঋণে বেধে ফেলে । <br />
<br />
আপনার গরু , আপনার গরুর দুধ এখন একবার দুয়ানোর জন্য শ্রম দিবেন, তারপর কেনার জন্য শ্রম দেবেন , তারপর বেঁচার জন্য শ্রম দিবেন । সুতরাং, কইয়ের তেলে কইই শুধু ভাঁজছি না আমি , একটা মাত্র উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাঝে আমি আপনাকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ধাপে শোষন ও করছি । <br />
<br />
শুরুতে এই কর্পোরেট নামক শোষক যন্ত্রটি ছোটই থাকে । আস্তে আস্তে এরা গ্রাস করে নেয় খাদ্য , বস্ত্র, বাসস্থান , শিক্ষা , চিকিৎসা, বিনোদনের মত মৌল চাহিদা মেটানোর সব কয়টা উৎপাদনের উপকরণ । <br />
<br />
এখন এই গ্রাস তারা কেমনে সম্ভব করে? কিছু দিন আগেও প্রধান তরিকা ছিলো যুদ্ধের মাধ্যমে দখল ও সরাসরি শোষণ। যেমন, বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারত শাসন। কিন্তু এতে দেখা গেলো দুই দিন পর পর, খালি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করে দেয় ফাউল পোলাপাইন । এইবার নতুন তরিকা । সেই ম্যাট্রিক্স ছবিটার মতন সবাইরে ঘুম পাড়ায় রাখো । তুমি মনে করবা তুমি স্বাধীন , বাস্তবে স্বাধীন না । ঠিক এই কাজটাই এখনকার মাল্টিন্যাশনাল বিজনেস ওয়ার্ল্ড করে থাকে যার নাম মার্কেটিং ( আসলে ব্রেইন ওয়াশিং) । তা মার্কেটিং কাকে বলে ? <br />
<br />
<strong>মার্কেটিং হলো সেই প্রক্রিয়া যা আপনাকে কিনতে বাধ্য করবে এমন একটা বস্তু যা আপনার কোন কালেই দরকার ছিলো না এবং অবশ্যই উৎপাদনের দশগুণ দামে ।</strong> <br />
<br />
এখন এই মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হইলো মিডিয়া । ২৪ ঘন্টা যেই মিডিয়া আমাদেরকে কিছু ভ্যালু বা মূল্যবোধ শিক্ষা দেয় । আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন আপনার উপরে মিডিয়ার কোন প্রভাব নেই । কিন্তু মাথা ঠান্ডা করে খুব সূক্ষ ভাবে চিন্তা করলেই দেখবেন , আজকের মিডিয়া আমাদেরকে কি দেয়? তথ্য ? বিনোদন ? নাকি শিক্ষা ? <br />
<br />
কোনটাই না । <br />
<br />
মিডিয়া আমাদেরকে দেয় অর্থ বা মিনিং । প্রতিটা মানুষেরই মূল তিনটা প্রশ্ন থাকে , আমি কে , আমি কি এবং আমি কেন ? আমরা বেশির ভাগই হন্যে হয়ে এই প্রশ্ন গুলার উত্তর খুঁজে বেড়াই আর মাল্টি কর্পোরেশনের মার্কেটিং বিভাগ ঠিক এই উত্তর গুলাই তাদের সুবিধামত আমাদের সামনে হাজির করে । লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা এই কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের বাণিজ্যের সাথে এই ভাবেই জড়িত । তারা প্রতিনিয়ত ঠিক করে দিচ্ছে , বাংলাদেশের একজন নারী কে? কি এবং কেন ? <br />
<br />
লাক্সের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী , <br />
<br />
কে? - আমি একজন সুপারস্টার <br />
কি? - অন্যদের চেয়ে অনেক অনেক উপরে, অনেক বেটার <br />
কেন? - কারন আমি বিশেষ একটি ইমেজ যাপন করি <br />
<br />
লক্ষ্য করে দেখুন, একটা মানুষের আত্মপরিচয়, অস্তিত্বের মাপ কাঠি এবং জীবন যাপনের উদ্দেশ্য বিধেয় লাক্স ঠিক করে দিচ্ছে । লাক্স আমাদের ব্রেইন ওয়াশ করে এইটা প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে যে একটি নির্দিষ্ট চেহারা , নির্দিষ্ট কিছু স্কিল (নাচ, ক্যাট ওয়াক, শপিং , দেহের মাপ ধরে রাখা ইত্যাদি) আমাদেরকে মানুষ হিসেবে অন্যদের চেয়ে বেশি দামী করে তুলবে । এবং আমরা তখন সুপারস্টার হয়ে যাব । আর সুপার স্টার হলেই আমরা মানুষের ভালোবাসা , সম্মান, প্রতিষ্ঠা , সাফল্য পাব। সেই সাফল্যের সংজ্ঞা , সেই ভালোবাসা পাওয়ার তরিকা বাতলে দিতে পারে কেবল লাক্স আর চ্যানেল আই। <br />
<br />
আমাদের , বাংলাদেশের ২০০০ বছরের সংস্কৃতি , প্রাচ্যের দর্শন , জীবন বোধ কি বলে? আমরা কি সাফল্যের এই সংজ্ঞায় অভ্যস্ত? আমাদের হাজার বছরের জীবন ভাবনা আমাদের এতদিন শিখিয়েছে ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। মাত্র দুটি কাপড়েই জীবন ভালো ভাবে চলে যেতে পারে। অল্প খাও কিন্তু খাঁটি খাও । কিছুদিন আগে পর্যন্তও বেশি শুকনা মেয়েদের বিয়ের সমস্যা হইত কারন আমরা একটু স্বাস্থ্যবতী বউ পছন্দ করতাম। সৌন্দর্য্যের মাপ ছিল সাদামাটা টানা টানা কাজল কালো চোখ আর খোঁপায় বেলী ফুলের মালা। টিভি মিডিয়ার বদৌলতে আমরাও শুকনা ভালোবাসতে শিখেছি । এখন ক্যাট্রিনা হইলো আদর্শ । আমাদের ভ্যালু বদলাচ্ছে । আমরা চাই আর না-ই চাই , আমাদের আদর্শ বদলে যাচ্ছে । শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বের মানুষের মাথায় হাতুড়ি পিটা করে শিখানো হচ্ছে , ক্যাটরিনা মানে সাফল্য , ক্যাটরিনা মানে আদর্শ । যার সব টুকুই মিথ্যা আর ভয়াবহ রকমের প্রেজুডিসড, রেসিস্ট , পাশবিক। <br />
<br />
এখন প্রশ্ন হইলো সারাজীবন মাল্টিন্যাশনালে চাকরী করে আমরা সবাই কি মাল্টিন্যাশনালের মালিক হইতে পারবো ? <br />
<br />
সারা জীবন লাক্স , চ্যানেল আই এর সাথে গা ঘষাঘষি করলেই কি আমরা সবাই সুপারস্টার হইতে পারবো? <br />
<br />
এখন এই -গ্ল্যামারই জীবনের সাফল্যের মাপকাঠি- ধরনের ব্রেইন ওয়াশে দর্শকের দেহকামনা , ধর্ষকামী ভূতের আছর আসলো কেন? এদের ভূমিকাই বা কি? <br />
<br />
পড়ুন <a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29085841" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">৩য় পর্ব </span></a> । <br />
<br />
১ম ও ২য় পর্ব থেকে যদি সার সংক্ষেপ কিছু নিতে চান তাহলে নিচের উপলব্ধি গুলো গুরুত্বপূর্ণ । <br />
<br />
১। আজকের বিশ্বে কর্পোরেট দুনিয়া আমরা কি খাব, কি পরবো, কি রকম বাড়িতে বাস করবো, কি ধরনের মূল্যবোধকে দাম দেব, কিসে বিনোদিত হবো , কাকে বিয়ে করবো , কোন অবস্থানকে জীবনের সাফল্য আর কোনটাকে জীবনের ব্যর্থতা হিসেবে মানবো - এই সব কিছুই ঠিক করে দেয় । ( কারন, একই মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , সেবা খাত আর পলিটিকাল দলকে চালায়) <br />
<br />
২। এই কর্পোরেট দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হইলো মিডিয়া । বিশেষ করে মাল্টি মিডিয়া যা প্রতিনয়ত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সুবিধা ও লাভ অনুযায়ী আমাদের ভ্যালু সিস্টেম ( কিসের মূল্য কত টুকু) , আমাদের কালচার, আমাদের জীবন দর্শনকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে । যা কিছু ব্যবসার সহায়ক তাকে উৎসাহ দিচ্ছে , যা কিছু ব্যবসার পথে প্রতিবন্ধক তাকে খারাপ বলে শিক্ষা দিচ্ছে । <br />
<br />
৩। এইটা করাটা খুব বেশি জরুরী কারন মানুষ যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করা শুরু করলেই এই দানব মাল্টিন্যাশনাল গুলা হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে । আরো একটা কারণে এই মিডিয়ার প্রচার প্রয়োজন কারণ , পুঁজিবাদ বেঁচে থাকার জন্য একটা কাজ প্রতিনিয়ত করে তা হলো প্রফিট । অর্থাৎ , প্রফিট বা লাভ ছাড়া পুঁজিবাদী মার্কেটিং সিস্টেম বাঁচতে পারে না । এইটা কোন সেলফ সাস্টেইনেবল সিস্টেম না বরং সেলফ ডিস্ট্রাক্টিভ সিস্টেম। ক্রমাগত বাড়তে না পারলে পুঁজিবাদী মার্কেট ভেঙে পড়ে । <br />
<br />
একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই । আগের পোস্টের গরুটাকে মনে আছে ? ওই যে , লাভ করার জন্য আপনি পাড়াপ্রতিবেশীকে গাভী বেচে দেওয়ার জন্য ছল, বল ও কৌশল ব্যবহার করলেন? এখন এই পুরা উৎপাদন প্রক্রিয়াটিতে কর্পোরেট পুঁজিবাদ লাভ করে দুই ভাবে । এক হলো , শোষন ( শ্রম শোষণ) , আর ২য় হল উৎপাদনের বেশি দামে বিক্রি । <br />
<br />
কর্পোরেট বাণিজ্য-তে আপনার গরু (ছিলো), আপনার গরুর দুধ এখন একবার দুয়ানোর জন্য ( আমি কিনে নেওয়ার পর) শ্রম দিবেন, তারপর কেনার জন্য শ্রম দেবেন , তারপর বেঁচার জন্য শ্রম দিবেন । সুতরাং, কইয়ের তেলে কই-ই শুধু ভাঁজছি না আমি , একটা মাত্র উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাঝে আমি আপনাকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ধাপে শোষনও করছি ।<br />
<br />
২য় পদ্ধতিতে লাভ করতে হলে চাই বিক্রি । বিক্রি করতে হলে চাই ডিমান্ড । ডিমান্ড ক্রিয়েট করতে হলে চাই নতুন নতুন বাজার বা কঞ্জিউমার / ক্রেতা। মানে, বাজারে সকল ক্রেতার কাছেই যদি দুধ থাকে তাহলে আমার দুধ আর বিক্রি হবে না । সুতরাং হয় আমাকে,<br />
<br />
১। সকলের দুধ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে (স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ডিমান্ড তৈরী) <br />
২। নাইলে নতুন ক্রেতা খুঁজে নিতে হবে ( নতুন ক্রেতা মানে নতুন ডিমান্ড) <br />
৩। বা মানুষের দরকার থাকুক আর নাই থাকুক , ক্রেতাকে দিয়ে যে কোন মূল্যে দুধ কেনাতে হবে । ( কৃত্রিম ডিমান্ড বা মিথ্যা ডিমান্ড তৈরী) <br />
<br />
আমাদের লাক্স কিংবা চ্যানেল আই বাঁচে এই ৩য় প্রকার ডিমান্ড তৈরী করার মধ্য দিয়ে । প্রসাধন জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় না । যেমন জরুরী না টিভি দেখা । এমন কি খাদ্য কিংবা জীবন্রক্ষাকারী ওষুধ এর মত জরুরী পণ্য হলেও যদি তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হয় (মার্কেট স্যাচুরেশন করে ফেলে, যেমন পানিতে লবণ ঢালতে ঢালতে এক সময় যখন পানি আর লবণ নিতে পারে না) অথবা দাম বেশি বলে ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন কর্পোরেট পুঁজিকে দৌড়াতে হয় নতুন ক্রেতা ধরতে - থাকলে খুঁজে নাও , না থাকলে বানাও । <br />
<br />
বিল গেটস শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে আকুল হইতেন না; যদি না কম্পিউটার কেনার জন্য এবং ব্যবহারের জন্য একটা নির্দিষ্ট লেভেলের শিক্ষা, দরকার না হইত । <br />
<br />
<strong>এখন পৃথিবীর সকল জায়গায় কোন দুইটা জিনিসের ডিমান্ড চিরকাল থাকবে , যতদিন মানুষ থাকবে , ততদিন থাকবে? <br />
</strong><br />
১। খাদ্য । যেইখানেই জীবন থাকবে সেইখানেই ক্ষুধা থাকবে। <br />
<br />
২। সেক্স । যেইখানেই মানুষ থাকবে , সেইখানেই সেক্স থাকবেই । <br />
<br />
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার এই দ্বিতীয় বাজারটির কারবারী । কি করতে হবে? সুন্দর হইতে হবে । কেন সুন্দর হইতে হবে? সুন্দর হইলে সুপারস্টার হওয়া যাবে । কেন সুপারস্টার হইতে হবে? সুপারস্টার হইলে সেক্সের বাজারে দাম বাড়বে ( সেই সেক্স বিবাহের বাইরেই হোক আর ভিতরে ) । এর সাথে আনুসাঙ্গিক হিসেবে টাকা, প্রভাব, খ্যাতি - কে না চায় এই সব? <br />
<br />
<strong>কি ভাবে মিথ্যা ডিমান্ড তৈরী করে টিভি মিডিয়া ? </strong><br />
<br />
আমাদের চাওয়া এবং প্রয়োজনের বোধকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে দিয়ে। <br />
<br />
হাত ধোয়ার সাবানের মার্কেট শেষ । তাইলে সাবান এখন কেন দরকার? সুন্দর হওয়ার জন্য । শীত বা গরম ও লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য যতটুকু কাপড় মানুষ এর দরকার হয় , এখন তার চেয়ে অনেক বেশি কাপড় উৎপাদিত হয় । তাই কি দরকার ? ফ্যাশন । বিউটি সোপ আর ফ্যাশনেবল কাপড় এ বাজার ছেয়ে গেছে । তাইলে এখন কি দরকার ? এখন দরকার সুপারস্টার হওয়া । <br />
<strong><br />
আসেন দেখি কর্পোরেট পুঁজিবাদ ইউনিলিভার কি ভাবে এই ফলস ডিমান্ড তৈরী করে? </strong><br />
<br />
বিশ্ব ব্যাপী সুন্দরের যেই সংঙ্গা কর্পোরেট গুলা তৈরী করেছে , তার মূলে আছে মানুষের অদম্য কামনা । যা মানুষ হতে পারবে না কোন দিন -তাকেই আদর্শ হিসেবে সেট করে দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মিডিয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে । কি রকম? <br />
<br />
১। আফ্রিকা ও এশিয়ার উপমহাদেশে সারাক্ষণ প্রচার হচ্ছে ফর্সা হউন। <br />
ইউরোপ ও আমেরিকায় সারাক্ষণ প্রচার হচ্ছে , কালো (ট্যান) হউন। <br />
<br />
২। কালো চুলের মেয়েদের সারাক্ষণ দেখানো হচ্ছে , কালোদের স্ট্রেইট চুলে বেশি ভালো লাগে। আর যাদের চুল এম্নিতেই স্ট্রেইট , সেই সাদাদের দেখানো হচ্ছে কোকড়া চুল বেশি সেক্সি । <br />
<br />
৩। শুকনা মেয়েদের - তোমার বড় বুক নেই । মোটা মেয়েদের - তোমার চিকন কোমর নেই। <br />
<br />
৪। খাট পুরুষদের - লম্বা হউন। লম্বা পুরুষদের - মাস্কুলার হউন। মাস্কুলার পুরুষদের - যৌণ শক্তি বাড়ান। <br />
<br />
মানে , আপনি ফর্সা, কালো, খাট - লম্বা, চিকন - মোটা - যাই হোন না কেন , আপনার শান্তি নাই । আপনি কিছুতেই সেক্সের যোগ্য না । প্রেমের যোগ্য না। ভালোবাসার যোগ্য না। সম্মানের যোগ্য না । আপনি কিছুতেই সফল না না না না না, যতক্ষণ না তাদের পণ্যটি ব্যবহার করছেন । আমি যতই বলি আপনি পারফেক্ট , আপনি বিশ্বাস করবেন না , কারণ মিডিয়া আপনাকে সারাক্ষণ শিখাচ্ছে , আপনি পারফেক্ট নন। ইউ নিড মোর । মোর মানি।মোর সেক্স । মোর মোর মোর । <br />
<br />
এই ঝামেলায় কি খালি মেয়েরাই? নাহ। নিঃসন্দেহে মেয়েরা তাদের দেহ এবং রুপ দিয়ে বিচার্য হয় বলে ৯০% টার্গেট মেয়েদের শরীর । ত্বক, বুক, নিতম্ব, মুখমন্ডল - আমাদের সমস্যার অন্ত নেই আর কোম্পানি গুলার সমাধানেরও অন্ত নেই । কিন্তু ছেলেরাও কম ঝামেলায় নেই । ৪২ ইঞ্চি ছাতি , ব্র্যাড পিটের নিতম্ব আর সিক্স প্যাক না হইলে চলবে না । এদিকে আবার দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী পুরুষ গুলা সব ভুড়িয়াল , তাতে কি? সব কয়টা নোবেল প্রাইজ উইনারও অতি সাধারন দেখতে, তাতে কি? অবশ্য পুরুষের সাফল্য মানে সাধারণত দেহ নয়, কাড়ি কাড়ি টাকা । সোজা ভাষায় যা আপনি হইতে পারবেন না ( বায়োলজি, ইকোনমি কিংবা সোসাল কারনে), তা হইতে উদ্বুদ্ধ করাটাই হইলো মার্কেটিং , ব্রেইন ওয়াশিং এর কাজ । <br />
<br />
অতএব লাক্স এবং চ্যানেল আই এর কাজ হইলো বঙ্গবাসীকে আগে এইটা শিখানো ,<br />
<br />
হোয়াট ইজ সেক্সি? ( উত্তর অতি অবশ্যই লাক্স সুন্দরী। এইটা তো লাল সালুর ব্লগে প্রমান হয়েই গেছে যে লাক্স এই কাজে পুরাপুরি সফল হয়েছে ) <br />
<br />
এই জন্য চোখ , ঠোঁট আর ভঙ্গিমায় আবেদন খুঁজে বেড়াইলেন আমাদের দাদু শামসুল হক । <br />
<br />
পরের ধাপ হইলো , <br />
<br />
হু ইজ সেক্সি ? ( উত্তর অতি অবশ্যই যারা লাক্স সুন্দরীদের মত দেখতে, চলনে, বলনে ইত্যাদি । এইখানেও তারা সফল) <br />
<br />
এর পরের ধাপ, মানে আসল ধাপ , আপনি কিভাবে সেক্সি হবেন? ( লাক্স , জগৎজোড়া বিখ্যাত কোম্পানির প্রসাধন ব্যবহার করতে হবে ) <br />
<br />
প্রথম পোস্টের কথা মনে আছে ? ঐ যে বলেছিলাম , একই কর্পোরেট অঙ্গের বিভিন্ন ব্যবসার হাত? মিমি কাপড়ের ব্যবসা, সুবর্ণা এ্যাড মেকার , শামসুল হক চিত্রনাট্য লেখক । তাহসিন, ইষানা , মেহজাবিনরা পণ্য নন , পণ্যের বিক্রেতা । এরা একই কর্পোরেট বাণিজ্যের এক একটি অনুসঙ্গ । সকলেই একটি মাত্র উৎপাদন থেকে বিক্রি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ! <br />
<br />
দর্শকদের দেহ কামনাঃ<br />
<br />
আগেই বলেছি , যেখানেই মানুষ থাকবে সেইখানেই সেক্স থাকবে। হয় প্রকাশ্যে নয় গোপনে। এইটা মানুষের মৌলিক চাহিদা । এর ডিমান্ডের শেষ নাই । তাই সাপ্লাইএর ও শেষ নাই। যারা " মা বোনেরা বেশ্যা হয়ে গেলো " বলে বোল তুলেছে তাদের জ্ঞাতার্থে বলি, ২০০০ বছর আগেও বঙ্গে বেশ্যালয় ছিল। তখন লাক্স চ্যানেল আই ছিলো না । কিন্তু আমার-আপনার বাপ, ভাইয়েরা ছিলো বলে ডিমান্ড ছিলো । তাই সাপ্লাইও ছিলো । ইট ইজ দ্যাট সিম্পল। লাক্স চ্যানেল আই ডিমান্ড তৈরী করছে না । তৈরী হয়ে থাকা ডিমান্ড নিয়ে ব্যবসা করছে শুধু । <br />
<br />
সেক্স হলো বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্য । হয় সেক্স , না হয় সেক্সুয়ালিটি। ৪ বিলিওন মানুষ এর ক্রেতা অথবা বিক্রেতা ( এক তৃতীয়াংশ মানুষকে শিশু ধরে নিয়ে বাদ দিলাম) সারা বিশ্ব জুড়ে । তাহলে বুঝেন এর ডিমান্ড কেমন? <br />
<br />
লাক্স, ইউনি লিভার এর নতুন করে ডিমান্ড তৈরী করার দরকারই নাই , দরকার শুধু এই ডিমান্ডের সাথে তাদের পণ্য গুলাকে এলাইন করা , আমাদের বুঝানো যে তাহাদের পণ্য , মাখিলেই বন্য! <br />
<br />
তার মানে কি তারা নারীকে পণ্য করছে না? অবশ্যই করছে । শুধু নারী কেন, তারা পুরুষ ও বাচ্চাদেরও পণ্য করছে । কেন খেয়াল করেন নাই? ২০০০ বছরে হয় নাই , আজ কাল হঠাৎ করেই বাচ্চাদের ত্বক শুষ্ক আর খসখসে হয়ে উঠেছে ? যেই দিন থেকে লাক্স বেবি লোশন ক্রিম নিয়ে মাঠে নেমেছে সেইদিন থেকে আমাদের শিশুরা ত্বকের আর্দ্রতা হারাচ্ছে ? <br />
<br />
আগেই বলেছি , নতুন ক্রেতার বাজার তৈরী করতে না পারলে এই সর্বগ্রাসী প্রফিট ওরিয়েন্টেড কর্পোরেট পুঁজিবাদ বেঁচে থাকতে পারে না । মা বোনের , কিশোর কিশোরীদের মার্কেট স্যাচুরেটেড হয়ে গেছে , এখন তাই বাচ্চার চামড়া দরকার , ব্যবসার জন্য ! <br />
<br />
<br />
আমি খুবই দুঃখিত, এই পর্বেও শেষ করতে পারলাম না । পরের পর্বে আশা করি শেষ করতে পারবো । <br />
<br />
<a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29085855" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">পড়ুন শেষ পর্ব । </span></a><br />
<br />
আগের পর্ব গুলা থেকে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে,<br />
<br />
১। যেই কর্পোরেট বাণিজ্য গুলাকে আমরা ভিন্ন ভিন্ন সেক্টর , ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা বলে মানি , সেই গুলো হতেই পারে একই বাণিজ্যিক মালিকের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা (গরু কাহিনী)। আর যদি তা নাও হয় , তারপরেও তারা একই প্রোডাকশন লাইনের ( এন্টারটেইন্মেন্ট মিডিয়া) বিভিন্ন পর্যায়ে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এবং সার্ভাইভালের জন্য একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। অর্থাৎ , মিমির কাপড়ের ব্যবসা সুবর্ণার নাটকের উপর , সুবর্নার নাটক হকের লেখার উপর, হকের নাটকের প্রচার ইউনিলিভারের বিজ্ঞাপনের উপর, ইউনিলিভারের বিজ্ঞাপন ফুয়াদের জিঙ্গেলের উপর , ফুয়াদের জিঙ্গেল পণ্যের মডেলের উপর এবং পণ্যের মডেল দর্শকের সেক্স ও সেক্সুয়ালিটির উপরে নির্ভরশীল। এই সম্পর্কটি লিনিয়ার নয় বরং মাকড়সার জালের মত ইন্টারকানেক্টেড। <br />
<br />
২। এনটারটেইনমেন্ট মিডিয়ার কর্পোরেট দুনিয়া নিজেদের এবং পৃষ্ঠপোষক ( এবং শোষক) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাভের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিনয়ত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলার সুবিধা ও লাভ অনুযায়ী আমাদের ভ্যালু সিস্টেম ( জীবনের কোন জিনিস, কোন শিক্ষা , কোন অনুভূতি সবচেয়ে মূল্যবান , তুলনামূলক ভাবে কিসের মূল্য কত টুকু) , আমাদের কালচার, আমাদের জীবন দর্শনকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করে। যা কিছু ব্যবসার সহায়ক তাকে উৎসাহ আর যা কিছু ব্যবসার পথে প্রতিবন্ধক তাকে খারাপ বলে শিক্ষা ব্রেইন ওয়াশ করতে থাকে। <br />
<br />
৩। এইটা করাটা খুব বেশি জরুরী কারন মানুষ যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করা শুরু করলেই এই দানব মাল্টিন্যাশনাল গুলা হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে ।<br />
<br />
গরু কাহিনীতে ফেরত যাই । মনে করুন, হঠাৎ একদিন আপনার প্রতিবেশীরা ঘুম থেকে জেগেই উপলব্ধি করলেন , তাদের গরুগুলো ( উৎপাদনের যন্ত্র ) যেদিন থেকে হাতছাড়া হয়েছে , সেদিন থেকেই তারা আমার দাসানুদাস হতে শুরু করেছেন। এই উপলব্ধি হলে তারা কি আমাকে ছেড়ে কথা বলবেন ? আন্দোলন করে ফাটিয়ে দেবেন না ? <br />
<br />
নাহ । <br />
<br />
ভুলে গেছেন , আমার কাছে গরু বেচতে আমি বলিনি , বলেছেন আপনি ! একটু অনুসন্ধান করে এই সত্যও বের করা কঠিন না যে নিজের দুধের বিক্রি বাড়ানোর জন্যই আপনি এই ছলের আশ্রয় নিয়েছিলেন । ফলে মানুষ লাঠি নিয়ে পিটা লাগাবে আপনাকে । আর আমি? আমার কিছুই হবে না । এলাকায় স্কুল, হাসপাতাল, ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকারী আমি প্রেস কনফারেন্স করবো , " এই দেশের কোন এবিলিটি নাই। পলিটিকাল স্ট্যাবিলিটি নাই। আমি চললাম মালয়শিয়া , ওরা আমার মুসলিম ভাই !" দেশের একজন বিশিষ্ট ইনভেস্টরকে তাড়ানোর জন্য আপনি ও আপনার প্রতিবেশীরা পিটা খাবেন এরপর । দয়া পরবশ হয়ে আমি ব্যবসা গুটিয়ে ( বিক্রি করে) চলে যাওয়ার আগে সেই বুড়া গরুগুলিকে <br />
১০ গুণ দামে আপনাদের কাছেই বিক্রি করে দিব , আন্দোলন থেমে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে । আমি মহান রয়ে যাব। ( গরুর জায়গায় কৃষি জমি কিংবা অন্য যে কোন উৎপাদন্মুখী খাতকে বসিয়ে নিতে পারেন। ) <br />
<br />
এখন কথা হইলো , এই হঠাৎ করে জাগার কারন কি? মালয়শিয়া যদি বুঝে আপনারে খেপাইলে ব্যবসা তার দ্বারে যাবে তাইলে মালয়রা নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে আপনার জ্ঞানচক্ষু খুলার জন্য " দা ইভিল অফ ক্যাপিটালিজম" ক্লাস নিবে। তবে , আপনি আমার কাছে গরু বিক্রির আগে না , অবশ্যই পরে। <br />
<br />
যে সময়টা জেগে উঠলে আপনার লাভ , সেই সময়ে চক্ষু খুলার একটাই উপায়, তা হলো শিক্ষা ও জ্ঞানের চর্চা। সারা দুনিয়া জুড়ে কে কি কেন করছে , সেই পলিটিকাল জ্ঞান থাকা। স্বচ্ছ ও অবাধ তথ্যের আদান প্রদান ও সেই তথ্যের মিনিং বুঝার জ্ঞান । আমেরিকা ইরাক আক্রমন করেছে - এইটা তথ্য । আমেরিকা ইরাক থেকে তেল নিবে বলে আক্রমন করেছে হইলো জ্ঞান । আর তেলের পাইপ লাইন টানার জন্য আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ডিক্টেটরশীপ গুলাকে পয়সা দিয়ে পালছে- এইটা হইলো মিনিং । আমি মালয়শিয়া পালানোর আগেই আমাকে ধরতে হলে কিংবা ঠেকাতে হলে এই মিনিংটা বুঝতে হবে । <br />
<br />
লাল সালুর আক্রমনের টার্গেট মেয়ে গুলা , বড় জোর বিচারক । তার পিছনে চ্যানেল আই না । চ্যানেল আই এর পিছনে লাক্স না। লাক্সের পিছনে ইউনিলিভার না। আগেই বলেছি , লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার জাতীয় প্রতিযোগিতা গুলো সেক্সের ডিমান্ড তৈরী করে না । যে ডিমান্ড সমাজে তৈরী হয়েই আছে , অত্যন্ত সুস্থ এবং স্বাভাবিক জৈব চাহিদা হিসেবেই আছে , তাকে ব্যবসার খাতিরে ব্যবহার করে, উস্কে দেয় । ছেলেদের ধরে ধরে সুড়সুড়ি দেওয়াই যে এর মূল উদ্দেশ্য ঠিক তা না , তবে অস্থির করলে এই বেনিয়াদেরই লাভ। পণ্য বিক্রি ও পণ্যের বিপণণ আসল উদ্দেশ্য হইলেও সমাজকে বিশেষ করে তরুন সমাজকে অস্থির করে রাখলে এই বেনিয়াদের যেই লাভটা হয় তা হলো , অস্থির মানুষ চিন্তা ভাবনা করে কম। ক্রিয়া করে কম, করলেও সেইটা রতিক্রিয়াই হবে, তবে রতিক্রিয়ার চেয়েও অনেক বেশি করে প্রতিক্রিয়া। কোন কিছু নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে চাইলে চাই শান্ত মন। সুস্থির বিবেক। চাই যুক্তি ও জ্ঞানের সঠিক সম্মেলন। কিন্তু এই সুড়সুড়ি মার্কা প্রতিযোগিতাতে অস্থির যুবকরা অস্থির হয়ে উঠে তাদের প্রতিবাদের ভদ্র ভাষাটাও ভুলে যায় । লাল সালুর ব্লগ পোস্টে তার স্পষ্ট প্রমান আছে । অস্থির , অসংলগ্ন মানুষকে প্রভাবিত করা বা ব্রেইন ওয়াশ করা অনেক সোজা। সুতরাং তুমি লাক্স কেনো আর নাই কেনো , মানুষ যত অস্থির , তত প্রতিক্রিয়াশীল, যত প্রতিক্রিয়াশীল তত দুর্বল , যত দুর্বল ততই সহজ তার কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করা । <br />
<br />
এই জন্যই সুস্থির , চিন্তাশীল সমাজ ও সামাজিক জীবন পুঁজিবাদের পছন্দ না । পুঁজিবাদের চাই অস্থির গতি , আরো আরো আরো গতি ! মানুষ সারাক্ষণ ছুটবে । হয় রোজগার নেই বলে ছুটবে , নয়ত রোজগার আছে বলে ছুটবে। আর খাবে । কামাবে আর খরচ করবে। মুখ দিয়ে খাবে । চোখ দিয়ে খাবে । মন দিয়ে খাবে। স্পর্শে খাবে, গন্ধে খাবে , চিন্তা চেতনায় খাবে । এই গ্রহন গুলো থেকে সে কিছু অর্জন করবে না , স্রেফ হজম করবে । কিছুই চিন্তা করবে না , পাগলের মত চ্যানেল ঘুরাবে , ছাগলের মত ফাস্ট ফুড চিবাবে , উঠতে বসতে ছটফট করে বেড়াবে - তাইলেই লাভ, লাভই লাভ! <br />
<br />
চিন্তাশীল মানুষ নিজের বিপদ টের পায় সবার আগে । অস্থির মানুষ টের পায় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর। এখন তাই ফাস্ট এর জয় জয়কার সারা মিডিয়া জুড়ে । শিল্পী ( স্লো পদ্ধতি ) চাই না, স্টার (ফাস্ট) চাই। ফাস্ট ফুড , ফাস্ট সেক্স , ফাস্ট লাইফ ! <br />
<br />
কারন যেই মুহুর্তে আপনি চিন্তা করতে শুরু করবেন , আরেকটা সিম কেন কিনবো? কি লাভ? আরেকটা গাড়ি কেন লাগবে? ইষানা কেন, কুলসুমও তো সুন্দরী ! ৮০০ টাকা দিয়ে চিকেন ফ্রাই কেন খাব , বাসাতে ১২০ টাকা দিয়ে নিজেই বানাতে পারি তো! ক্যাটস আই এর শার্ট লাগবে কেন? শার্ট তো শার্টই ! - সেই মুহুর্ত থেকে আপনি পুঁজিবাদের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠলেন । <br />
<br />
পুঁজিবাদ চিন্তাবিদ চায় না। চায় ক্রেতা । যে খালি কিনবে আর কিনবে । আসলেই দরকার আছে না নাই, এই সব ভাববে না । তাকে শেখানো যাবে - বিজ্ঞাপন বলেছে দরকার , তাই দরকার! <br />
<br />
পুঁজিবাদের সবচাইতে বড় শত্রু তাই কমিউনিজম নয় , সোসালিজম নয় । পুঁজিবাদের সবচেয়ে বড় শত্রু সচেতন , চিন্তাশীল মানুষ যা তাকে যুক্তিবাদ ও র্যাশনাল কেনা বেচা লেন দেন শিখায় । পুঁজিবাদের বড় শত্রু প্রাচ্যের জীবন দর্শন যা মানুষকে নির্লোভ ও আত্মত্যাগী ও সংযম শিক্ষা দেয় । যা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় , অন্যের ক্ষতি করে নিজে লাভবান হওয়াটা লাভ নয়, ক্ষতি । ঠিক একই কারণে পুঁজিবাদ এর বড় শত্রু ইসলাম । কারন, ইসলাম বলে দুনিয়াতে এত কেনাকাটার দরকার নাই , আখিরাতেই সব কিছু পাবা । ( আরব আমিরাতের ইসলাম না , আমাদের উপমহাদেশের সুফিবাদী , আত্মত্যাগী , নির্লোভ ও অল্পে সন্তুষ্ট জীবন দর্শন ধারী ইসলাম যেই দর্শনের দেখা পাওয়া যায় উপমহাদেশের হিন্দু ও বৌদ্ধ বিশ্বাসেও। ) পরকালের সুখের জন্য ইহকালে ত্যাগী জীবনযাপন করাটা পুঁজিবাদী বাণিজ্যের জন্য বিশেষ অপকারী । <br />
<br />
ঠিক এই কারণেই বাংলাদেশে ইদানিং মিডিয়া বিস্ফোরন ঘটেছে । একের পর এক প্রিন্ট , টিভি মিডিয়া আসছে । জনগণের উন্নতির জন্য আসছে ? নাহ । বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া তথা উপমহাদেশের জীবন দর্শন , যাতে ভোগের বদলে ত্যাগ , উপভোগের বদলে উপলব্ধি আর ইন্দ্রিয় সুখের বদলে ইবাদতের কথা বলা হয়েছে । এই দেড় বিলিওন ক্রেতার মন মানসিকতা চেঞ্জ করে পুঁজিবাদ নামক নতুন ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এই মিডিয়া এসেছে এবং মাল্টিন্যাশনাল গুলা এদের পেছনে এত টাকা ঢালছে । কালচারাল ও পলিটিকাল মূল্যবোধ , ধ্যান ধারনা বদলে মুনাফালোভী করে তোলা , পণ্যের প্রচার ও নতুন ধর্মে ( পুঁজিবাদ) দীক্ষা দেওয়ার জন্য এই এনটারটেইনমেন্ট মিডিয়ার কোন জুড়ি নেই। আমেরিকা , ইউরোপ জয় করে পরীক্ষীত ও সফল অস্ত্র হিসেবে এটি প্রচার হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশে । সুন্দরী প্রতিযোগিতা , ফুয়াদের সেক্সি গান আর লস প্রজেক্ট মার্কা ফারুকী বর্জ্য এই বিপুল " ব্রেইন ওয়াশ " কার্যক্রমের অংশ মাত্র! <br />
<br />
অস্থির করার পাশাপাশি ছেলেদের মনের ভিতর কিছু নির্দিষ্ট ইমেজ তৈরী করাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্রেইন ওয়াশ । আমরা বুঝি আর নাই বুঝি , অবচেতন মনে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি , সুন্দর মানে মেহজাবিন। সুন্দর মানে ইষানা। সুন্দর মানে অর্ষা । আমরা যখন সুন্দরকে খুঁজবো , এই রকমই খুঁজবো। পার্থক্য শুধু তারা আমার সামনে ছাড়া আর কারো সামনে কাপড় খুলবে না । ওরাও মডেলই হবে , ভদ্র মডেল ।<br />
<br />
এইটা আরো ভয়ংকর। ভয়ংকর এই কারণে যে একটি নির্দিষ্ট মাপ কাঠির বাইরের সবাইকে আমরা " অনাকর্ষনীয় " আখ্যা দিয়ে ফেলছি। আমরা নারী মাত্রেই শরীর বানিয়ে ফেলছি। নারীও মানুষ, অনুভূতি, মগজ সম্পন্ন - সেই বোধ হারিয়ে যাচ্ছে । আমরা বিদূষী বাদ দিয়ে বিদিশা খুঁজছি এখন ক্রমাগত । মানুষ হয়ে যাচ্ছে পদার্থ । <br />
<br />
এই পরিবর্তন , এই ব্রেইন ওয়াশ কতখানি সফল তার একটা উদাহরণ দেই -<br />
<br />
প্রথম দিকের কোন পর্বে একটা মেয়ে দুর্দান্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলো , অথচ এই মেয়েদের কোন ট্যালেন্ট পর্ব আমি পাইনি খুঁজে। নিশ্চয়ই অন্য মেয়েরাও এই রকম কিছু না কিছু প্রতিভা নিয়ে এসেছিলো , কিন্তু মাংসের কারবারী ঐদিকে নজর দেয় নাই। যেই মেয়েটা " সবাই ভালো বলেছে তাই আমি কিনেছি" ধরনের প্যাসিভ বক্তব্য দিয়েছিলো , সে বাদ পড়েছে । এইটা একটা ভালো দিক যে একটা মানুষ যার নিজস্ব মতামত বলতে কিছু নাই , তাকে সাথে সাথে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট বাজেট ও সময়ে কি করে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হয় , এইটা আমাদের সরকারী প্রোকিউরমেন্টের লোক জনও জানে না । জানাটা জরুরী । কিভাবে ক্লু দেখে রহস্যভেদ করতে হয় , কি ভাবে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয় - এই গুলা খুবই জরুরী গুণ । আমি নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি , ট্রেনিং ক্যাম্পের শিক্ষা গুলা যদি বাদ পড়া মেয়েরা নিজেদের জীবনে ধরে রাখতে পারে ( ভোর পাঁচটায় উঠে শরীর চর্চা আমারে দিয়াও হয় না) তাহলে তাদের উপকারই হবে । সঠিক নিউট্রিশন এবং ফিটনেস মানুষের অনেক বড় সম্পদ । এতগুলা ভালো ভালো দিক চোখে পড়ার পরেও আমি এই প্রতিযোগিতার পক্ষ নিতে পারছি না । <br />
<br />
কেন? <br />
<br />
কারণ, সহজাত ভাবেই এই প্রতিযোগিতা যেই কর্পোরেট পুঁজিবাদিতার মন মানসিকতাকে উৎসাহ দেয় , যেভাবে একটা মানুষকে মানুষ থেকে বদলে শরীর সর্বস্ব অব্জেক্ট বানায় , যেভাবে শেখায় তারা ছাড়া বাকি সব অসুন্দর , সুপারস্টার না হলে জীবন ব্যর্থ - এই সব ঘৃণ্য শিক্ষা , মূল্যবোধের অবক্ষয় আর মানুষ না হয়ে ক্রেতা হওয়ার এই ইঁদুর দৌড়কে কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় না । <br />
<br />
লাক্স প্রতিযোগিতায় অনেক কিছুই ছিলো , কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে শরীরটাকেই ফোকাসে রাখা হয়েছে , সব সময় । <br />
<br />
সবচাইতে বড় কারন ঃ <br />
<strong><br />
কর্পোরেট পুঁজিবাদিতার সব কিছুই ভন্ডামি আর মিথ্যাচারে ভরপুর </strong> <br />
<br />
<br />
কি ভাবে কর্পোরেট পুঁজিবাদ আপনাকে ঘোরের ভিতরে আচ্ছন্ন করে রাখে? তাদের এই শরীর পূজাও এক বিশাল ফাঁকি ! <br />
<br />
<br />
জেনেটিক সাইন্স বলে একটা মানুষ কতটুকু লম্বা , মোটা কিংবা সুন্দর হবে তা নির্ভর করে জেনেটিক্স এর উপর । ক্রিম , সাবান , লতা পাতা ঘষে এইটার খুব একটা পরিবর্তন করা যায় না। ত্বক ফর্সা করার প্রতিটা ক্রিম ভুয়া । স্রেফ মিথ্যা । ত্বকের মেলানিন বেশি হলে আপনি কালো হবেন , মেলানিন কম হলে ফর্সা হবেন । ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে ভয়াবহ ক্ষতিকারক কেমিকেলস থাকে। <br />
<br />
সুন্দর ফিগারের একমাত্র উপায় হইলো খাদ্যাভাস আর শরীর চর্চা। তারপরেও মানুষের শরীর এর মাপ তিন রকম। তবে কাটায় কাটায় তিন আলাদা রকম না । মিক্সড ও আছে । তবে মোটামুটি এপেল , পিয়ার কিংবা দোহারা গড়নই বেশি। মেয়েদের বেলায় যেই আওয়ার গ্লাস ফিগারকে বিশ্ব ব্যাপী আদর্শ বানানো হয়েছে সেই মাপের দেহ পেতে পারবেন কেবল মাত্র ৫% মহিলা । বাকিদের কেউ কেউ সার্জারী করে পারবেন , তারপরেও বেশির ভাগই পাবেন না । <br />
<br />
তার মানে কি দাঁড়াইলো ? <br />
<br />
প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে ৫ জনের মত হওয়ার জন্য বাকি ৯৫ জন ক্রমাগত ক্রিম ঘষবেন, জিমে যাবেন, ডায়েট করবেন, বিশেষ ধরনের পোশাক পরবেন , কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে সার্জারী করাবেন। কিন্তু কেন? <br />
<br />
কারণ , মিডিয়া আপনাকে শেখাবে , তোমার মডেল , তোমার আদর্শ হইলো আওয়ার গ্লাস । এইটা হইলো এমন এক খেলা যাতে মাঠে নামার আগেই আপনি হেরে বসে আছেন কিন্তু আপনাকে প্রতিনিয়তই ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে যে , আপনি জিতে যাবেন , আর একটা কিছু কিনলেই! <br />
<br />
হু দা হেল আর দে টু টিচ আস হোয়াট ইজ , হু ইস বিউটিফুল? হু ইজ নট? <br />
<br />
বাঙালী কয়টা ছেলের সিক্স প্যাক থাকে? সিক্স প্যাক না থাকলেই অন্য কারো গলায় ঝুলে পড়তে হবে? ব্লিঙ ব্লিঙ ডায়মন্ড রিং দিতে না পারলে রাস্তা মাপো ? <br />
আওয়ার গ্লাস না হলে ভালোবাসা যাবে না? <br />
<br />
এই প্রশ্ন গুলা আপনি তখন করবেন যখন আপনি একজন মুক্ত চিন্তার, যুক্তিবাদি , স্বাধীন মতের মানুষ হবেন । বিজ্ঞাপনের চটকে বিভ্রান্ত হবেন না । আমরা কয়জন তা পারি? <br />
<br />
মানুষের সব চাইতে বড় সৌন্দর্য তার বৈচিত্র । বিচিত্র মানুষ তার বিচিত্র শরীর নিয়ে প্রেম , ভালোবাসা, সেক্স নিয়ে সুখে থাকুক। এইটাই হওয়া উচিত । <br />
<br />
কিন্তু মিডিয়া মোঘলরা , ফ্যাশন এন্ড কসমেটিকদের সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের ব্রেইনে সুন্দরের একটা ফিক্সড ইমেজ গেঁথে দিতে বদ্ধ পরিকর । তাও আবার সেইটা শরীর এবং শরীর এর পূজারী। <br />
<br />
----------------------------------------------------- <br />
<br />
এই ধরনের বিজ্ঞাপন কি আসলেই মানুষকে অন্ধ করতে পারে ? <br />
<br />
পারে । গবেষনায় দেখা গেছে একটা সৌন্দর্য পণ্য আদৌ কাজ করে কি করে না তা জানার দরকার নাই । ক্রেতা যদি বিশ্বাস করে যে পণ্যটা কাজ করলেও করতে পারে , তাহলেই চলবে । মানুষের কল্পনা ও সহজাত প্রবৃত্তি এর জন্য দায়ী। খুব ইমেডিয়েট , ক্ষুদ্র সাফল্যকে আমরা বড় করে দেখি । এবং ক্ষুদ্র সাফল্যের উপরে বেস করে বড় বড় রিস্ক নেই । এইটা একটা গেম অফ চান্স । <br />
<br />
লাস ভেগাসে ৯৮% ক্ষেত্রে জুয়াড়িদের জিততে দেওয়া হয় । মাত্র ২% লাভ করা হয় । আর এই মাত্র ২% লাভ দিয়েই মিলিওন মিলিওন ডলারের ব্যবসা চলে । কারন, মানুষ যতক্ষণ বিশ্বাস করবে , " আর একবার খেললেই সে জিতবে " - ততদিন লাস ভেগাসের ব্যবসা সেইফ । আর এক টিউব ফেয়ার এন্ড লাভলী মাখলেই আপনি ফর্সা হবেন ( পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও) , ইউনি লিভারের ব্যবসা সেইফ । স্রেফ হাওয়ার উপরে, মিথ্যার উপরে, ছলনার উপরে সাজানো এই ট্রিলিওন ট্রিলিওন ডলারের প্রসাধন ব্যবসা। <br />
<br />
ক্রিম ঘষে আর সার্জারী করেই যদি এনজেলিনা জোলি হওয়া যেত, খোদ হলিউডেই প্রতিদিন ১০টা করে এনজেলিনা পয়দা হইত না? <br />
---------------------------------- <br />
<br />
শেষের অংশটুকু আসলে লাল সালুর পোস্টে বলা হয়ে গেছে । সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে কামার্ত ব্লগাররা যেই হারে তাদের আদিরসাত্মক ফান করলেন আর দেশের ১০ হাজার " সম্ভাব্য পণ্য বিক্রেতাকে" বেশ্যা বানিয়ে ফেললেন , সেইটা আমার কাছে সেই ১৯৭১ এর ধর্ষকামী ভূতের আছর মনে হয়েছে। একটা মানুষের উপর চড়াও হওয়া তখনই সম্ভব যখন কোন ভাবে সবাইকে কনভিন্স করা সম্ভব যে তারা মানুষ নয় , আমাদের সমান নয়। <br />
<br />
The first step towards the most horrific atrocities against human kind is to establish that they are "less than human" , less than what you are . <br />
<br />
<br />
This happened with black slaves in Africa, this happened with the witch hunt in Europe, this happened with Jews in the holocaust, this happened exactly with 30 lakh people and 2 lakh women in the 1971 genocide in Bangladesh. <br />
<br />
Not because they were black.<br />
Not because they were witches.<br />
Not because they were Jews.<br />
Not because they were Bangali. <br />
<br />
Because , they were less than human to their oppressors. <br />
<br />
পূর্ব পাকিস্তানের মেয়েরা মানুষ নয় । ওরা হিন্দু। ওরা হিন্দুয়ানী ভাষায় কথা বলে। হিন্দুয়ানী পোশাক (শাড়ি) পরে । হিন্দু আচার সংস্কৃতি পালন করে । ওরা মুসল্মান নয় । সুতরাং উহারা মানবেতর ( মানুষের চেয়ে ইতর) প্রাণী । <br />
<br />
অতএব , পূর্ব পাকিস্থানী হিন্দু মেয়েদের খান সেনাদের খাট কাঁপানোর জন্য দিয়ে দেওয়া হউক। <br />
-----------------------<br />
লাক্স সুন্দরীরা বাঙ্গালী নয় । ওরা পশ্চিমা । ওরা বাংলা বলতে পারে না, ওরা খোলামেলা পোশাক পরে , ওরা পশ্চিমা আচার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত । ওরা মুসলমান নয় । সুতরাং উহারা মানবেতর ( মানুষের চেয়ে ইতর ) প্রানী । <br />
<br />
সুতরাং , ইহাদের দিয়ে খাট কাঁপানো হউক। <br />
<br />
-----------------------------------<br />
<br />
<br />
দুইটা গল্পে আমি কোন পার্থক্য পাই না । <br />
<br />
প্রথম গল্পে পাকিস্তানী জোশে জোশিলা রাজাকার । <br />
<br />
দ্বিতীয় গল্পে পাকিস্তানী জোশে জোশিলা বাঙ্গালী । <br />
<br />
সন্দেহ নাই , এই ধরনের প্রতিযোগিতাকে আমি সমর্থন করি না । কিন্তু প্রতিবাদ কিংবা ফানের নামে প্রতিযোগিনীদের সম্ভাব্য বেশ্যা বলে অপমান করাটা কিছুতেই সহ্য করা উচিত না । যেই ১০ হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছে তারাও মানুষ । তাদের লাইফ চয়েস নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকতে পারে , তার মানে এই না যে আমরা যাচ্ছেতাই ভাবে তাদের হেয় করবো, অবমাননা করবো। <br />
----------------------------------------------------- <br />
<br />
সুন্দরী প্রতিযোগিতা কিংবা কর্পোরেট পুঁজিবাদ কেবল নারী নয় , সবাইকেই পণ্য বানায় , ক্রেতা বানায় । হয় তুমি বিক্রি করবে নয় তুমি বিক্রি হবে । কারন এই মতবাদের মূলে আছে শুধুই লাভ , কেবল সাপ্লাই আর ডিমান্ড । <br />
<br />
কিন্তু মানুষের সবচেয়ে বড় যেই ডিমান্ড ,<br />
ভালোবাসা । আধ্যাত্মিক বা স্পিরিচুয়াল নিড । মূল্য পাওয়া বা মূল্য দেওয়া । সম্মান ও সাফল্যের ভিতরে প্রচ্যের যেই দর্শন রয়েছে , সেই দর্শনকে পুঁজিবাদ ধ্বংস করতে চায় । <br />
<br />
আমরা যে বিশ্বাস করি , এই জীবনটাই সব নয় , এইখানে সব কিছু পাওয়ার নেশায় আশে পাশের সবাইকে, ন্যায় - নীতি - মূল্যবোধকে পায়ে দলে যাবার দরকার নেই ! সব কিছু খুবলে খাওয়া নয় , যা আছে - সেই সামান্যটুকুই সবাই মিলে ভাগ করে খাওয়ার ভেতরে আনন্দ অনেক বেশি - এই সব পুঁজিবাদ বুঝে না । <br />
<br />
পুঁজিবাদ হলো সেই আগুন যা খেতে খেতে বড় হয় । যারা উচ্ছিষ্টটুকু পায়, তারা এর নানান গুণাগুণ বর্ননা করে । ইনোভেশন , ক্রিয়েটিভিটি, ডিস্কভারি , ব্লাহ ব্লাহ । <br />
<br />
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে , কিসের মূল্যে ? এট দা কস্ট অফ হোয়াট? <br />
------------------------------------------ <br />
<br />
আজকের যুগে আপনার বউ এর পেটে যেই ভ্রুণটা আছে সেইটাকে বের করে একজন ক্যান্সার রোগী , একজন হার্টের রোগী কিংবা একজন কিডনীর রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। <br />
<br />
এখন এই টেকনোলজিটাকে যদি কর্পোরেট পুঁজিবাদের সাথে তুলনা করি তাহলে , আপনি এই ধরনের পুঁজিবাদ ও অর্থনীতিকে সমর্থন করবেন কিনা তা নির্ভর করবে আপনি কি সেই <br />
১। মা? <br />
২। ভ্রুণ ? <br />
৩। সার্জন ? <br />
নাকি , <br />
৪। মৃত্যু পথযাত্রী রোগী? <br />
<br />
<br />
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার কারো কারো জন্য কিছু কিছু উপকার বয়ে আনবে এইটা সত্য। কিন্তু , প্রশ্ন সেই একটাই , কিসের বিনিময়ে? কতখানি মূল্যে?<br />
<br />
http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29085855 <br />
<br />
<br />
</div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-66376262603223068782011-03-25T07:12:00.000+06:002011-03-25T07:12:56.076+06:00বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি/স্কলারশীপ এবং (এপ্লিকেশন পর্ব)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আগেই বলেছি , এখন অনলাইনে এপ্লিকেশন করা কোন ব্যাপারই না । মূল কাজটা ওয়েবে বসেই করে ফেলা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পিডিএফ নিয়েই খুশি থাকে । সশরীরে যেদিন গিয়ে উপস্থিত হবেন তার আগে কিছু নাও লাগতে পারে এক টাকা পয়সার ব্যাপার স্যাপার ছাড়া । অনেক জায়গায় হয়ত সফট কপির সাথে হার্ড কপিও পাঠাতে হতে পারে মেইল করে । যেই সব ইউনিতে অন লাইন এপ্লিকেশনের ব্যবস্থা নেই তাদেরকে রেজিস্টার্ড মেইলে , যে সবে অনলাইন ট্র্যাকিং করা যায় এই রকম ভাবে পাঠিয়ে দিন। কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো নিরাপদ কিন্তু বুহতেই পারছেন এক একবারে কত টাকা করে লাগতে পারে। <br />
<br />
এপ্লিকেশন পাঠানোর আগে দেখে নিন সমস্ত কাগজ পত্র ঠিক আছে কিনা। <br />
১। একাডেমিক কাগজ পত্র , মোটিভেশন লেটার ইত্যাদি আপনি নিজেই পাঠাবেন।<br />
<br />
২। ইউনি যদি চায় , তাহলে আই ই এল টি এস বা টয়েফেল ইত্যাদির রেজাল্ট হয়ত অফিসিয়ালি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঠাতে বলবে । সেক্ষেত্রে আপনি একটা নির্দিষ্ট ফি দিয়ে কোম্পানিকে অনুরোধ করলে ওরাই আপনার রেজাল্ট ইউনিকে পাঠিয়ে দেবে। <br />
<br />
৩। রেকমেন্ডেশন লেটার সংশ্লিষ্ট প্রফেসর অফিসিয়াল খামে, অফিসিয়াল সিল সহ পাঠাবেন। আপনি শুধু তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। আর কিছু না । আমেরিকাতে এইসব নিয়ে বেগড়বাই বেশি করে । তো সাবধান। যদি ওদের মনে হয় আপনি নিজে এই রেকমেন্ডেশনকে কোন ভাবে প্রভাবিত করেছেন, তাইলেই সব শেষ । <br />
<br />
৪। ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাবে আপনার কলেজ/মেডিকেল/ইউনি। কিন্তু আমাদের দেশে সব জায়গায় এইটা করা যায় না । আবার ট্রান্সক্রিপ্ট জিনিসটা আপনি যতবার অনুরোধ করবেন ততবারই আপনার হয়ে আপনার কলেজ।ইউনির দেওয়ার কথা । কি এক অদ্ভুত কারনে , এইটা সবাই বার বার দেয় না । স্কুল কলেজের ট্রান্সক্রিপ্ট তো সোনার হরিণ । <br />
<br />
সুতরাং , চাইলেই লাফ দিয়ে মূল কপিটা পাঠিয়ে দেবেন না । একটাই কপি হলে ফটোকপি পাঠান এবং বুঝিয়ে বলুন কেন মূল কপি পাঠাতে পারছেন না কিংবা আপনার হয়ে কলেজ কেন পাঠাচ্ছে না । ভদ্র ভাবে বুঝিয়ে বললে আর সৎ হলে বেশির ভাগ ইউনিই ঝামেলা করে না । <br />
<br />
৫। সব কাগজ এক সাথে পাঠানোর জন্য দেরী করবেন না । যেমন আই ঈ এল টি এসের রেজাল্ট পরে পাঠালেও চলে। কিন্তু এপ্লিকেশন দেরীতে পৌছালে স্কলারশীপ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে । <br />
<br />
<strong>এখন আসেন , কখন পাঠাবেন?</strong><br />
<br />
আমেরিকা , কানাডা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশি গবেষনা করে , তাই আর ডিটেইলস এ গেলাম না । যে কোন ভালো স্কলারশীপ পেতে হলে অন্তত এক বছর আছে কাগজ পত্র পাঠাতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় , লাস্ট ডেট অনেক পরে শেষ হয়। কিন্তু খেয়াল না করলে এইটা হয়ত আপনার চোখেই পড়বে না যে ভর্তির লাস্ট ডেটের ৬ মাস আগেই স্কলারশীপের লাস্ট ডেট শেষ। আবার আমেরিকার এক এক স্টেটে এক এক নিয়মের কারনে কোন সাধারন নিয়ম বলা খুবই মুশকিল। কোথাও নিয়ম কানুন খুব কড়া , কোথাও বেশ শিথিল। সুতরাং, বছর খানেক আগে থেকেই দেখে নিন কোন স্কলারশীপের ডেট সাধারনত কখন শেষ হয় । <br />
<br />
মিড ইয়ার সেমিস্টারে ভর্তি হলে বা পার্ট টাইম ( বিদেশী স্টুডেন্ট অবশ্য প্রায় সবই ফুল টাইম) হলে অনেক স্কলারশীপ দেয় না । অতএব সাধু সাবধান। <br />
<br />
অস্ট্রেলিয়া , নিউজিল্যান্ডে সেমিস্টার শুরু সাধারনত ফেব্রুয়ারী মার্চের দিকে । ইউরোপে সেপ্টেম্বর । কিন্তু দেখা যায় , ক্লাস সেপ্টেম্বর হলেও ভালো ভালো স্কলারশীপ গুলোর ডেট ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারীর ভিতরই শেষ। তার উপর অনেক জায়গায় লেখা থাকে আগে আসিলে আগে পাইবেন, আগে বিবেচিত হইবেন ধরনের কথা । তাই যত আগে এপ্লাই করা যায় , স্কলারশীপ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি । <br />
<br />
<strong>স্কলারশীপের আবেদন কে করবে ? </strong><br />
<br />
এই জায়গাটাতেও অনেক রকমের হ্যাপা জড়িত। কোন কোন স্কলারশীপ এর আবেদন আপনাকে নিজেই করতে হতে পারে । এক একটার এলিজিবিলিটি এক এক রকম । কেউ হয়ত চায় আপনার এডমিশন কনফার্মেশন। কেউ চাইবে যেখানে ভর্তি হবেন তাদের রেকমেন্ডেশন, সেক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট যা করার করবে , আপনি শুধু উল্লেখ করবেন যে আপনি বিবেচিত হইতে চান । আবার অনেক ইউনি বলেই দেবে যে সকল বিদেশী ছাত্র অটমেটিক বিবেচিত হয় সুতরাং আলাদা করে এপ্লাই করার দরকার নেই । <br />
<br />
যেহেতু এক এক জায়গায় এক এক নিয়ম , তাই আগে থেকে ভর্তি বা এপ্লাই করার ফর্মালিটি সেরে নিয়ে লেগে পড়ুন কাজে । <br />
<br />
<strong>আপনি কখন বিবেচিত হবেন? </strong><br />
<br />
আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের ভিতর গ্রেট ব্রিটেন এবং এশিয়ার বেশ কয়টি দেশ একটা নিয়ম মেনে চলে । তা হলো , আগে ভর্তি তারপর স্কলারশীপ। তার মানে ভর্তি হতে , ভিসা পেতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রথম এক বছর বা প্রথম এক সেমিস্টারের টাকার যোগাড় আপনাকে করে রাখতে হবে । এই সব কিছু খরচ পাতি করে , রেজাল্ট ভালো দেখায় ২য় সেমিস্টার বা ২য় বছরে আপনি প্রচুর স্কলারশীপ পাবেন অস্ট্রেলিয়াতে । <br />
<br />
তবে, লিডারশীপ, কমন ওয়েলথ, এডিবি, এন এফ পি জাতীয় স্কলারশীপ গুলো দেশ থেকে নিয়েই বাইরে যাওয়া যায় । <br />
<br />
ডাক্তারী যে কোন বিদ্যায় এই প্রাথমিক খরচটা অসম্ভব রকমের বেশি। তবে বায়ো লজি, বায়ো ফিজিক্স, বায়ো কেমিস্ট্রি, বায়ো টেকনোলজি, মেডিকেল বায়োলজি , মলিকিউলার বায়োলজি জাতীয় নন ক্লিনিকাল কোন সাব্জেক্টের ভর্তি খরচ এত না। এই সব দেশে যেতে হলে তাই আগে পকেটের অবস্থা আর স্কলারশীপ ছাড়াই প্রথম এক বছর সামলাইতে পারবেন কিনা বুঝে নিন। <br />
<br />
স্টুডেন্টদের কাজ করার অনুমতি আছে কিনা , থাকলেও কয় ঘন্টা, কাজের সহজলভ্যতা ইত্যাদি আগেই হিসাব করে নিবেন। <br />
<br />
ইউরোপে ওরা স্কলারশীপ ভর্তির সাথে সাথে জানিয়ে দেয়। সেই কাগজ নিয়ে ভিসা পাওয়াও সম্ভব । তাই অনেক নিরাপদ । বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা অনেক কম যেহেতু আগে থেকেই জেনে যাচ্ছেন কত পাচ্ছেন, কত খরচ হবে আর নিজে পকেটে করে কত নিয়ে যেতে হবে। মাস্টার্স লেভেলে কাজ করার অনুমতি আছে এবং সেইটা দিয়ে কোন মতে থাকা খাওয়া চলে যায় । কিন্তু খবরদার সেলফ ফাইন্যন্সে যাওয়ার চিন্তা করবেন না এবং এইটা মনে রাখবেন , বেশির ভাগ ইউরোপে কেউ ইংরেজি বলে না , তাই কাজ পাওয়া খুবই কঠিন । অবশ্যই আগে ভাষা শিখতে হয়। কিছু দেশে প্রথম একটা বছর নষ্ট করতে হয় স্রেফ ভাষা শিখে । তারপর আসল পড়ালেখা শুরু। ইংলিশ মাস্টার্স হইলে অন্য কথা । <br />
<br />
<strong>স্কলারশীপের পরিমাণ কত ? </strong><br />
<br />
এডিবি, লিডারশীপ, কমন ওয়েলথ, ফোর্ড, রোটারি , এন এফ পি আরো হাবিজাবি স্কলারশীপ আছে । এগুলো সব ফুল স্কলারশীপ। টিউশন , থাকা , খাওয়া , মায় প্লেনের টিকেট পর্যন্ত দিয়ে দেবে। কিন্তুক , ঝামেলাটা হইলো, এই ধরনের যত স্কলারশীপ আছে , সব গুলাই কোর্স শেষ হওয়ার সাথে সাথে কানে ধরে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে। এবং তারপরের দুই বছর সেই দেশে ঢুকা যাবে না , নিজের দেশে কাজ করতে হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারী কর্মকর্তা হইতে হবে, আবার অন্য আর কোন স্কলারশীপের জন্য বিবেচিত হবেন না ধরনের নানা রকম শর্ত জুড়ে দেওয়া থাকে। তাই আগেই খুব ভালো করে ভেবে নিন, আপনি কি দেশে ফেরত আসবেন? <br />
<br />
তাহলে এই ধরনের স্কলারশীপের জন্য আবেদন করুন। আগে থেকে চেষ্টা করলে, লেগে থাকলে আর সরকারী জ্যাক থাকলে পেয়ে যাবেন। এসবে রেজাল্ট খুবই ভালো থাকতে হয়। টপ ১০% বা ৮০% মার্ক্স চায় ইত্যাদি ইত্যাদি । খুব ভালো করে প্রতিটা ইংরেজি বাংলা দৈনিকের চিপায় চাপায় চোখ দিয়ে রাখবেন । আর মাঝে মাঝেই এম্ব্যাসির খাটাস্মুখী বা মুখিনীদের হাই হ্যালো করে জিজ্ঞেস করবেন বা ঢাকাস্থ এম্ব্যসির ওয়েব হুতাগুতি করবেন , কখন এড দেয় । বৃটিশ কাউন্সিল , ইউসিস , আব জাব সব খানে চর লাগায় রাখবেন । <br />
<br />
কিন্তু এই সব কুতুব আর কয়জন? বাকি বটম ৯০% এর জন্য খোজাখুজিই ভরসা । <br />
<br />
সাধারন ইউনি স্কলারশীপ গুলা ভ্যরি করে । যাদের ফান্ড বেশি , নাম বেশি তারা পয়সা দেয় বেশি । যাদের ফান্ড কম , তারা টিউশন মাফ করে দেয় , থাকা খাওয়া আপনের । <br />
<br />
তবে , সবচাইতে বেহুদা বান্দর হইলো আমেরিকা , অজি আর বেনিয়া বৃটিশ । কারনটা আগেই বলেছি । নিজে কিছু গচ্চা দেওয়ার পরেই কিছু পাইবেন । তার আগে না । ইউ কের বায়োলজি স্কলারশীপের অবস্থা বড়ই করুন । সর্বোচ্চ ৮০%। বাকিটা দিতে জান কাহিল । এইটা পাবলিক হেলথ জাতীয় সাব্জেক্টের বেলাতেও সত্যি । আমেরিকা আবার যখন দেয় তখন ভালো করেই দেয় । তো আপনি যদি ভর্তি ও ভিসা সংক্রান্ত টাকা পয়সার ঝামেলা কাটাইতে পারেন তাইলে তো আর চিন্তা নাই । <br />
<br />
তবে আগেই বলেছি , আমেরিকা হইলো সব সম্ভবের দেশ । অনেক ইউনি আছে যেখানে ভর্তি কনফার্ম হয়ে যাওয়ার পরে অনেক স্কলারশীপের সম্ভাবনা খুলে যায় । দেশে ছাড়ার আগেই সেখানে স্কলারশীপ কনফার্ম করতেই পারেন । <br />
<br />
<strong>কোন সাবজ়েক্ট , কেন ? </strong> <br />
<br />
কান ধরে যদি দেশে পাঠিয়ে দেয় তাহলে স্কলারশীপ কমিটি দেখবে কোন সাবজেক্ট আপনার নিজের দেশের জন্য প্রযোজ্য। আর তা না করলে অবশ্যই দেখবে কোন সাব্জেক্ট এর লোক ওদের নিজেদের লাগবে । সারা দুনিয়ায় ডাক্তাররা হইলো এতিম জাত । মেডিকেল কিংবা ডেন্টালের কোন বিদ্যাতেই কোন রকম স্কলারশীপ নাই । একমাত্র বিশ্ববিখ্যাত নামী দামী স্কলারশীপ ছাড়া মেডিকেল , ডেন্টালের সাব্জেক্ট পড়া যায় না । তাও আবার নন ক্লিনিকাল সাব্জেক্ট হইতে হয় । ক্লিনিকাল সাব্জেক্টে বিদেশে পড়তে চাইলে সেইটার লাইন ঘাট একেবারেই ভিন্ন । সরকারী কর্মকর্তা হইলে , ঐ সব বিশ্ববিখ্যাত স্কলারশীপ পাইলে , দেশে ফেরত আসিবার শর্তে রাজি থাকিলে তখন এই সব ভাবা যাইতে পারে । নাইলে ডাক্তার হইয়া বাইরে স্কলারশীপ খুজিবার কোনই মানে নাই । বাপ মা কোটিপতি হইলে ভিন্ন কথা । <br />
<br />
যারা ক্লিনিকাল সাব্জেক্ট ছেড়ে পাবলিক হেলথ, এনাটমি, ফিজিওলজি কিংবা এপ্লাইড বায়োলজিকাল সাইন্সেস পড়তে আগ্রহী তারা সময় থাকতে থাকতে এপ্লিকেশন পাঠিয়ে দিন। সাব্জেক্ট বেছে নেওয়ার সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা আমেরিকা ও কানাডায় । অনেক রকমের কম্বিনেশন নেওয়া যায় । তাছাড়া সাব্জেক্টের বৈচিত্রও ওদের অনেক বেশি । যারা নন ডাক্তার বায়োলজির কোন সাব্জেক্ট পড়েছেন , তাদের জন্য আমেরিকা এখনো স্বর্গ । প্রচুর স্কলারশীপ, প্রচুর গবেষনা , কাজেরও সম্ভাবনা । <br />
<br />
দেশে ফিরতে না চাইলে ডাক্তার আর ডেন্টিস্টদের স্বর্গ এখন অস্ট্রেলিয়া । একটা যে কোন সাব্জেক্ট নিয়ে ঢুকে পড়ার পরে লাইসেন্স পরীক্ষা পাশ করুন। ২ -৩ বছরে মাইগ্রেন্ট হয়ে যান । তারপর খালি টাকা আর টাকা । এমন কি পড়াও লাগবে না । দেশ থেকেই মাইগ্রেন্ট হয়ে চলে যান ওদের ডাক্তার কম এমন কোন রিজিওনে। চুক্তি করুন দুই বছরের । ব্যাস । আর দেখতে হবে না । সাব্জেক্টের মধ্যে মেডিকেল বায়োলজি থেকে শুরু করে বায়োটেকনলজি সবই আছে । কিন্তু ওরা স্কলারশীপ দেয় শুধু নিজের দেশের লোকজনকেই । মাইগ্রেন্ট বা সিটিজেন না হলে মাসে ১০০ , ২০০ ডলার পাবেন । তবে , মেয়েদের জন্য বেশ কিছু ভালো ভালো স্কলারশীপ আছে । <br />
<br />
ইউরোপে বায়োলজিকাল সাইন্সের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে এখন প্রায় রেভেলুশন চলছে । আমেরিকার যেমন স্টেম সেল, জেনেটিক্স নিয়ে নানান রকম ধর্মীয় হ্যাপা আছে , ইউরোপে সেটা বেশ কম। তাই নরমাল বায়োলজিকাল সাব্জেক্ট ছাড়াও অনেক চ্যালেঞ্জিং নতুন নতুন মাস্টার কোর্স পাওয়া যায় , স্কলারশীপের পরিমান ও ভালো । ভাষা জনিত সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পারলে কেল্লাফতে । পি এইচ ডি পাওয়াও কঠিন না । <br />
<br />
ইউরোপের আরো একটা জিনিস ভালো লেগেছে । পি এইচ ডি জিনিসটা নাকি ইউরোপে জবের মত । স্টুডেন্ট না এম্পলয়ি হিসেবে পি এইচ ডি করা যায় । বেতন ও খারাপ না ।মাস্টার্সের পরে পি এইচ ডি করতে চাইলে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার সাথে এইটা তুলনা করা যাইতে পারে । </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-69580714014623648002011-03-25T07:10:00.000+06:002011-03-25T07:10:51.629+06:00বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি/স্কলারশীপ এবং (প্রস্তুতি পর্ব)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><b>প্রথমেই</b> বলে নেই , এই পোস্ট কোন গবেষনা নয়, স্রেফ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে লেখা । নিজের কাজে খোঁজ করতে গিয়ে যা দেখেছি তাই লিখে দিলাম।<b> দ্বিতীয়ত</b> , এই লেখায় শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য, তার মানে ব্যাচেলর নয়, তদুর্ধ্ব শ্রেনীর বৃত্তি নিয়ে লেখা । <b>তৃতীয়ত</b> , এখানে আমেরিকা বলতে উত্তর আমেরিকার দেশ মূলত আমেরিকা এবং কানাডা , অস্ট্রেলিয়া বলতে নিউজিল্যান্ডসহ এবং ইউরোপ বলতে ইউরোপের ধনী ও পরিচিত যে দেশগুলোয় বাংলাদেশ থেকে মানুষ পড়তে যায়, তাদের কথাই বলা হয়েছে । পড়ার সময় সেইভাবে ধরে নেবেন। <b>আর শেষ কথা হলো</b>, আপনার পড়ালেখাতে যদি বায়োলজি বিষয়টা না থাকে তো এই সব স্কলারশীপ আপনার জন্য নয়, আপনার ভাই বোন বন্ধুর কাজে লাগতে পারে । তবে , প্রস্তুতি পর্বটা সবার জন্যই কমন। <br />
<br />
<u><b>শুরু বা পরিকল্পনা পর্যায় ঃ </b></u><br />
<br />
১। <b>সময় ঃ</b> আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি যাই হোক না কেন , আপনি যেই মহাদেশেই যান না কেন , কিছুটা যোগ বিয়োগ করে সব কিছু ঠিক ঠাক করে নিতে প্রায় ১২ মাস লাগবেই বিশেষ করে স্কলারশিপ ও টাকা পয়সা যোগাড় ইত্যাদি। সুতরাং যখনই শুরু করুন না কেন, আগে জেনে নিন আপনি যেখানে যেতে চাইছেন , সেখানে কোন মাসে ক্লাস শুরু হয়? সেই মতে আপনার হাতে কতটুকু সময় আছে বুঝে নিন। একটা সাধারন নিয়ম হলো যেই বছর যেতে চাই তার আগের বছর থেকে কাজ শুরু করা। <br />
২।<b>তথ্য সংগ্রহঃ</b> এরপর সময় নিয়ে যেই দেশে যাবেন সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওয়েবসাইট খুটিয়ে খুটিয়ে পড়া। এর কোনই বিকল্প নাই, প্রচুর দিন, প্রচুর রাত নষ্ট হবে এই কাজটার পিছনে। কিন্তু, দিন রাত ২৪ ঘন্টা যদি লেগে থাকতে পারেন , তাহলে তার ফলও পাবেন হাতে নাতে । এমন কোন তথ্য পেয়ে যেতে পারেন যেটা হয়ত আপনার সময় , তারচেয়েও বড় কথা টাকা বাচিয়ে দেবে অনেক। সব সময়ই ওয়েব সাইটের বাইরে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে এমন কারো কাছ থেকে কেমনে কি জেনে নিন যদি সেই সুযোগ থাকে। <br />
৩।<b> তথ্য সাজানোঃ</b> নির্দিষ্ট কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর কোন কোর্স পছন্দ হলে সাথে সাথে সেই কোর্সের সমস্ত তথ্য সারাংশ , বিভিন্ন লিঙ্ক আপনার খাতা/ফাইল/কম্পিউটারে টুকে নিন। ওহ আচ্ছা, বলে রাখি, সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো। খাতা বই এর যুগ যেহেতু শেষ , কম্পিউটারে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশের ফোল্ডার, তার ভিতরে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোল্ডার করে তাতে কিভাবে তথ্য সাজাবেন, কি করে সে গুলো দ্রুত খুঁজে পাবেন সেভাবে পরিকল্পনা করে নিন। <br />
কিছু ফাইল সব খানেই থাকবে যেমন, <br />
ক) একটা ফাইলে সব কয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন তারিখ ( এপ্লিকেশন, স্কলারশীপ, রেস্পন্স, সেমিস্টার ডেট ইত্যাদি) , পুরোটা পড়েছেন কিনা, কাগজ পত্র পাঠানো হয়েছে কি হয়নি ধরনের ম্যাট্রিক্সসহ একটা ইন্ডেক্স পেজ। <br />
খ) আরেকটা ফাইল থাকবে ঐ মহাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সাধারনত কোন কাগজ গুলো কি ভাবে চায় তার লিস্ট । একেক জায়গায় একেক ভাবে চাইতে পারে । কমন বাদ দিয়ে যেইটা ব্যতিক্রম সেইটা লাল কালিতে উল্লেখ করে রাখলেই ভালো । <br />
৪। কাগজ পত্র তৈরীঃ একাডেমিক সমস্ত কাগজ এর মূল এবং দরকার হলে ইংরেজী কপি (এটাও মূল) তৈরী রাখুন। বিভিন্ন সার্টিফিকেট বলতে আমরা যা বুঝি ( এস এস সি, এইচ এস সি , মেডিকেল/ডেন্টাল/ইউনি , ডাক্তারদের বি এম ডি সি রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি) তার বাইরে কিছু কাগজ নিয়ে মহা ঝামেলা লাগে । যেমন,<br />
<br />
<b>ক)ট্রান্সক্রিপ্ট</b>- এইখানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় একটা কাগজেই আপনি কি কি বিষয় পড়েছেন, সেই সবের মেজর মাইনর, কত অংশ তাত্ত্বিক আর কত অংশ প্র্যাক্টিকাল বা ল্যাব/ ক্লিনিকাল করেছেন তার ঘন্টা ও বিষয়সহ উল্লেখ, আপনার সমস্ত গ্রেড/রেজাল্ট , আপনি সার্বিক বিচারে আপনার ক্লাসের <u>টপ ১০% </u>এ পড়েন কিনা জাতীয় তথ্যসহ এক নজরে একটা ছক আকারে দিয়ে দেবে। দুঃখের কথা হলো, এই ট্রান্সক্রিপ্ট জিনিসটা খায় না মাথায় দেয় সেইটা অনেক সরকারী ও বনেদী মেডিকেল কলেজ কিংবা বায়োলজি শিখানেওয়ালা বিশ্ববিদ্যালয় জানবেই না । জানলেও যা দেবে সেইটা আপনার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা চেয়েছে তার ধারে কাছে নাও থাকতে পারে। এত ডিটেইলস বেশির ভাগ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল/ডেন্টাল দেয় না। <br />
ঠেকায় পড়লে নিজেই বানিয়ে নিন। তারপর অফিসিয়াল প্যাডে প্রিন্ট করে অফিস থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন ছিল ছাপ্পর, সাক্ষরসহ। খেয়াল রাখবেন, ওরা খোঁজ করলে এইদিকে কেউ যেন রেফারেন্স হিসেবে সত্যতা প্রমান দিতে পারে । কথা হলো, আপনার কাগজ আপনার বানানো হইলে সমস্যা নাই যতক্ষন পর্যন্ত আপনার সব কিছু অফিসিয়াল প্যাডে থাকে আর সংশ্লিষ্ট লোক জন জানে এই রকম একটা কিছু কোথাও পাঠানো হয়েছে । বলা যায় না, আল্লাহ করে তো আপনারটা দেখেই হয়ত ওরা নিজেদেরটা বদলে নেবে। <u>আপনার ট্রান্সক্রিপ্ট যদি আপনাকেই বানাইতে হয় তাহলে সেইটার কয়েক কপি মেডিকেলের/ইউনির অফিসে দিয়ে রাখবেন।</u><br />
<br />
<b>খ) মোটিভেশন লেটার</b>- আপনি কেন পড়তে চান, পড়িলে কি করিবেন, পাশ দিয়া আল্লাহর দুনিয়াতে কি কি বিপ্লব করিবার ইচ্ছা রাখেন সহ আরো অনেক কিছু উল্লেখ করে এই লেটার লিখতে হতে পারে । সুতরাং, আগে দেখে নিন যাকে পাঠাবেন সে কোন ফর্ম আগেই দিয়ে রেখেছে কিনা। অনেক সময় ফর্ম না থাকলেও আগের বছরের সাকসেস্ফুল কুতুবেরা কি লিখিয়াছিলেন তা দেওয়া থাকে। ঐ সব পড়ে জ্ঞানী হইয়া তারপর লিখেন। নিশ্চিত থাকেন যে এই লেটার আপনার গন্ডায় গন্ডায় পারমুটেশন কম্বিনেশন করে শ’খানেক লিখতেই হবে। এক একটা এক এক জায়গার ইউনির জন্য। <br />
<b>গ) আগের গবেষনা কিংবা কাজের অভিজ্ঞতার বর্ননা</b> ( যদি প্রযোজ্য হয়) – এইটার সারাংশ থেকে শুরু করে কাকে কবে চোখ মেরেছিলেন জাতীয় ডিটেইলসসহ চাহ্নেওয়ালা লোকও এই দুনিয়ায় আছে। সুতরাং, যেখানে যা চায় যেভাবে চায় খেয়াল করে এইটার বর্ননা লিখুন এবং নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোল্ডারে সেভ করুন।কি নিয়ে গবেষনা করেছিলেন, কারো ফান্ড জিতেছিলেন কিনা, ডিজাইন থেকে কন্ডাক্ট ও রিপোর্ট রাইটিং পুরোটাই আপনার নিজের কুকাম কিনা এই সব উল্লেখ করতে হইতে পারে।<br />
<b>ঘ) রেকমেন্ডেশন লেটার</b>- অনেক জায়গায় সাধারন কাগজে প্রিন্ট করে প্রফেসর , বস ইত্যাদির সাইন নিয়ে নিজে পাঠালেই চলে। তবে আজকাল বেশির ভাগ ইউনি নির্দিষ্ট ফর্ম দিয়ে দেয়। ওয়েব সাইট থেকে প্রিন্ট করে সেইটা যেই প্রফেসর কিংবা বস রেকমেন্ড করবেন তিনি নিজে পূরণ করবেন, সম্পূর্ন গোপনীয়তা রক্ষা করে সিল গালা মেরে তিনিই পাঠাবেন। মানে আপনার নিজের সেইখানে কিছু করার নাই। তবে, ইউনি তো আর এসে দেখে যাচ্ছে না। সুতরাং, ব্যস্ত প্রফেসরের পিছনে না ঘুরে যা করার করে নেন, তারপর তাকে ভালো করে দেখিয়ে সাইন করে অবশ্যই অবশ্যই অফিসিয়ালি , মানে অফিসের খামে , সিল সহ পাঠান।এই কান্ঠামিটা করতে বলতে খারাপ লাগছে কিন্তু ভুক্তভোগী হিসেবে জানি রেকমেন্ডেশনের মত একটা অতি জরুরী কাজ অনেক প্রফেসর হয় বোঝেনা, নয় করতে চায় না। এইসব ব্যাপারে লাক আর ব্যক্তির উপর নির্ভর করে সময়মত ভালো জিনিস পাবেন কিনা। <br />
<br />
<b>ঙ) ইংরেজী কিংবা মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য ভাষার লেভেল</b> – আগে দেখে নিন ভাষার ব্যাপারে ওরা কি চাচ্ছে। টোফেল, জি আর ই, আই ই এল টি এস ইত্যাদির গ্রেডিং এর পদ্ধতি ওদের নিজের । ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার ব্যাপারে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট (কোন অথরিটি থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাওয়া) না থাকলে রিডিং, রাইটিং, স্পোকেন, লিসেনিং এই ভাবে ভাগ করে নিজেই গ্রেড দেওয়া লাগতে পারে । সেক্ষেত্রে দেখে নিন গ্রেডিং এর বর্ননা বা স্ট্যান্ডার্ড কোথাও ব্যাখ্যা করা আছে কিনা। আপনার নিজের লেভেল কোন গ্রেডের সাথে মেলে। গুগুল করলেই পাবেন।যেমন- বাংলা ইংরেজির বাইরে আমি হিন্দী কেবল বলতেই জানি, লিখতে পড়তে পারি না ইত্যাদি। বায়োলজির জন্য আলাদা জি আর ই আছে। বাংলাদেশ থেকে দেওয়া যায় কিনা জানি না। না গেলে জেনারেলটাই সই। উল্লেখ্য, জি আর ই পড়তে কয়েক মাস থেকে বছর খানেক সময় লেগে যেতে পারে । সুতরাং যেই মহান ভোরে বাইরে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন, সেই দিন থেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়তে শুরু করে দিন।<br />
<br />
চ) <b>এর বাইরে কিছু কাগজ লাগলেও লাগতে পারে । সাধারনত লাগে না ।</b> যেমন- বার্থ সার্টিফিকেট যদি যেখানে জন্মাইছিলেন সেইখানে যাওয়া লাগে তো বিরাট ক্যাচাল। সিটিজেনশীপ (নাগরিকত্ব) এর সার্টিফিকেট লাগে না, লাগার কথা না কারন আপনার পাসপোর্ট প্রমান করে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক। ম্যারেজ সার্টিফিকেট হইলো সবচেয়ে ঝামেলার।কাজীর অফিস থেকেই রেজিষ্ট্রির জন্য পাঠিয়ে দেবে। দায়িত্ব নিয়ে উঠানোর দায় আপনার। তারপর অবশ্যই ফরেন মিনিষ্ট্রি থেকে সত্যায়িত করে নিবেন। আল্লাহর রহমতে পরিচিত কেউ না থাকলে এইটা করতে বছর কাবার না হয়ে যায়, এইটা মনে রাইখেন। যারা শহীদ হইয়া বাইরে যাইতে চান ও বউ/স্বামী সাথে লইবেন ভাবেন, তারা বিবাহের পরে হানিমুন বাদ দিয়া আগে এই কাজটা করবেন। অনেকে দেখি পুলিশ ভেরিফিকেশন, এন ও সি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। এই সব লাগে ভাই মাইগ্রেশন করতে। পড়তে যাওয়ার জন্য এই সব লাগে না।<br />
<br />
ছ) <b>কাগজ পত্তর সব রেডি হয়ে গেলে সব কয়টার স্ক্যান করে পি ডি এফ বানায় সেভ করে রাখেন। আখেরে অনেক কাজে দিবে। </b><br />
<br />
জ) যেই সব এক্সট্রা কারিকুলার কাজ, কর্ম, শখরে আমাগো আব্বা আম্মা কিংবা চাচা -মামারা পাত্তাই দেয় না , সেই সবের দাম বাইরে অনেক বেশি। বুকিশ পাব্লিক কেউ চায় না, পছন্দও করে না। স্কলারশীপ পাইতে হইলে যা যা করেন, করেছেন সেইটার একটা কাগুজে বা প্রমান করা যায় ডকুমেন্ট রাখতে পারলে ভালো। খেলা ধুলা, গান বাজনা , প্রতিযোগিতা তো আছেই, আপনি যদি ভলান্টিয়ার, অর্গানাইজার হোন তাইলে ছবি তুলেন, পত্রিকায় প্রকাশ হইলে কাইটা রাখেন, অন লাইন ম্যাগাজিন হইলে লিঙ্ক সেভ করেন, স্কুল কলেজের ওয়েব সাইট বা বই পত্তরে ছাপায়ে রাখেন। কখন যে কোনটা কাজে লাগবে, কিছুই বলা যায় না। টেরিফক্স রান, নিখিল বাংলাদেশ কুত্তা রক্ষা কমিটি, গাছপ্রেমী যাই হোন না কেন, আপনার সদস্যপদ সি ভিতে উল্লেখ কইরেন। তবে, আগে বুইঝা নিবেন কে কি চায়, আর কে কি একেবারেই চায় না। <br />
<br />
সবার শেষে সবচেয়ে জরুরী জিনিস এপ্লিকেশন। ফর্ম সব কয়টা ইউনির ওয়েব সাইটেই পাবেন। আজকের দুনিয়াতে অন লাইন এপ্লিকেশন করা ডাল ভাত। অনেক ইউনিতেই এই ব্যবস্থা আছে। আবার অনেক ইউনি কমন একটা ওয়েব এপ্লিকেশন নেয়, আলাদা আলাদা করে করার দরকার হয় না। পূরণ করলে আপনাকে নাম্বার দেবে একটা পাসোয়ার্ড , একাউন্ট ইত্যাদি সহ। দরকার হইলে পরে ঢুকে আরো তথ্য যোগ করতে পারবেন। অনেক জায়গায় একাডেমিক কাগজ পত্র পি ডি এফ চায়। সেইগুলা আপ্লোডাইতে পারবেন। পাশাপাশি হার্ড কপি মেইল করে দিতে হবে। অবশ্যই রেজিস্ট্রি মেইল করবেন, অন লাইন ট্রাকিং করা যায় এমন জায়গা থেকে মেইল করবেন। এই সব মেইল হারানো গেলে জীবনটাই বিলা! <br />
<br />
ভাই, ভুল করেও মূল কপির ফটোকপি নোটারি কিংবা বোর্ড, মিনিস্ট্রি এই সব জায়গায় সত্যায়িত করতে দৌড়াবেন না। মূলকপি সাথে থাকা মানেই এক সাথে দেখে যিনি দেখলেন তিনি নিজেই সত্যায়িত করে দিতে পারবেন। সেইটা এম্ব্যাসির লোক নিজেই হইতে পারে। সুতরাং, ভালোভাবে জেনে নিন সত্যি সত্যি ভেরিফিকেশন লাগবে কিনা। কেউ মাতবরি করতে চাইলে ভদ্র কিন্তু শক্ত ভাষায় চ্যালেঞ্জ করুন। কাগজ পত্র রেডি? এইবার তাহলে , পাঠানোর পালা। </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-89293484604350258412011-03-25T07:03:00.000+06:002011-03-25T07:03:28.076+06:00এইটা কি পাইলাম? বাংলাদেশী কন্সপিরেসী থিওরী ? আমাদের নেতারা কে? কোথায় , কি ভাবে ? - ২<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="line-height: 1.8em; text-align: left;"> নেট ঘাঁটছিলাম অন্য কাজে । কেঁচো খুড়তে পরিবার বেরিয়ে গেলো । কিছুদিন আগে এই <a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29053238" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">পোস্টটা</span></a> লিখেছিলাম । সেখানে বলা ছিলো ঃ <br />
<br />
<strong>আমি যেই তালিকা গুলো প্রতিটা বছর শেষে দেখতে চাই!</strong><br />
<br />
১। বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা কে কার সাথে "ব্যবসা" , "আত্মীয়তা" , "রক্তের সম্পর্ক" সূত্রে আবদ্ধ । নাম ও আবদ্ধতার তরিকা সহকারে ।<br />
<br />
২। প্রতিটা নেতা নেত্রীর ছেলে মেয়ে কে কোথায় পড়ে বা কাজ করে কিংবা কার সাথে সংসার করে ।<br />
<br />
৩। নির্বাচিত প্রতিটা জনপ্রতিনিধির প্রত্যেকে প্রতি মাসে বাংলাদেশের জনগণের রক্ত জল করা ট্যাক্সের টাকার কি পরিমাণ বিভিন্ন সরকারী অফিস , সংসদ , সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি) ইত্যাদির মাধ্যমে ভোগ করেছেন । কত টাকা বিল বাকি রেখে সটকেছেন। অতীত , বর্তমান মিলিয়েই সন্নিবেশ করতে পারেন। বর্তমান ( আওয়ামী লীগ) হইলে আরো ভালো । <br />
<br />
এরশাদের বোনের নাম - যেই বোন ভিকারুন্নিসাতে ছিলো- নেট ঘাটতে গিয়ে <a class="eng" href="http://www.probenewsmagazine.com/index.php?index=2&contentId=5384" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">কাছাকাছি কিছু একটা পেলাম। বড়ই মজার জিনিস ! </span></a> <br />
<br />
---------------------------------------- <br />
<br />
লেখার শুরু প্রেমের জয় নিয়ে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের ছেলে ব্যারিষ্টার ফজলে নাঈম ও বি এন পির তুখোড় নেতা ইকবাল হাসান টুকুর কন্যা ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন এর প্রেম ও বিয়ে নিয়ে । কিন্তু প্রেম তো দেখা যায় এই এক বিয়েতেই না ! সব দেখি আমরা আমরাই! <br />
-------------------------------------- <br />
<br />
<strong>মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই - আনন্দের আর সীমা নাই </strong><br />
<br />
পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেমব্লির স্পীকার ছিলেন আব্দুল জব্বার। তাঁর পূত্র - কন্যারা <br />
<br />
১। ওবায়দুল্লাহ খান প্রাক্তন মন্ত্রী, সেক্রেটারী ও কবি<br />
২। সাংবাদিক সাদেক খান <br />
৩। মরহুম এ জি এম এনায়েতুল্লাহ খান ( সাংবাদিক ও কূটনীতিবিদ) <br />
৪। রাশেদ খান মেনন ( প্রেসিডেন্ট , ওয়ার্কার্স পার্টি) <br />
৫। ব্যবসায়ী শহীদুল্লাহ খান বাদল , নিউ এজ পত্রিকার প্রকাশক <br />
৬। মনন , প্রবাসী <br />
৭। বাবলু ও লাবলু ( অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী) <br />
৮। প্রাক্তন মন্ত্রী সেলিমা রহমান <br />
৯। শিরিন, চেরী ও মিমি <br />
<br />
এর ভিতর সেলিমা জোট সরকারের মন্ত্রীত্ব করেছেন আর আজকে রাশেদ খান মেনন সব পত্রিকার শিরোণামে ভিকারুন্নিন্সার ভর্তির টাকা কেলেংকারি নিয়ে। <br />
<br />
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খান মিন্টু ১ম বিয়ে করেন লীনা খানকে - পৃথিবী বিখ্যাত আর্কিটেক্ট এফ আর খান এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডঃ জিল্লুর রহমান এর বোন। ডঃ জিল্লুর রহমান আমেরিকা প্রবাসী এবং বিয়ে করেছেন তানজিনা রহমান লোটনকে - যিনি তাসমিমা হোসেইন এর বড় বোন। এই তাসমিমা হোসেইন আবার প্রাক্তনমন্ত্রী ও মানিক মিয়া এর পূত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী । এনায়েতুল্লাহ অবশ্য বার্মার এম্বেসেডর থাকাকালীন একজন বার্মিজকে বিয়ে করেন এবং পরে বিয়ে করেন ঢাকা ভার্সিটির সাবেক চ্যান্সেলর এর কন্যা টিভি ব্যক্তিত্ব নাজমা চৌধুরীকে । নাজমা নিজে অবশ্য আগে মেজর জেনারেল আব্দুর রহমান ও অভিনেতা উৎপলের সাথে বিবাহিত ছিলেন । <br />
<br />
শহীদুল্লাহ খান বাদল বিবাহিত ডাঃ নায়লা খান এর সাথে । কর্নেল কাজি নুরুজ্জামান - ১৯৭১ এর সেক্টর কমান্ডার- নায়লা ও বোন লুবনা মরিয়মকে অনেকেই হয়ত চিনবেন মুক্তির গান ছবিটি থেকে । নৃত্যশিল্পী লুবনার কন্যা আনুশেহ বিখ্যাত ব্যান্ড "বাংলা" এর গায়িকা এবং বিয়ে করেছেন বুনোকে , বুনো সিলেট - ৪ এর প্রাক্তন সাংসদ ইমরান আহমেদের পুত্র। <br />
----------------------------------------- <br />
<strong>রাষ্ট্রের পতি ও ডাক্তার ঃ </strong><br />
<br />
বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর বাবা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের এম পি কফিলুদ্দিন চৌধুরী । বদরুদ্দোজা রাজনীতিতে নামেন জিয়ার হাত ধরে । প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত বি এন পি ত্যাগ করে তাঁকে নতুন দল করতে হয় , বিকল্প ধারা - পরে এল ডি পি - এবং আবার বিকল্পধারা । এখন মজার ব্যাপার হইলো এই বি চৌধুরীর বউ হলেন মায়া। মায়া পান্না কায়সারের বোন। ফলে শমী কায়সার আর মাহী বি চৌধুরী আসলে খালাত ভাই ও বোন। পান্না কায়সারের স্বামী শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক । শহীদুল্লাহ কায়সারের ছোট ভাই স্টপ জেনোসাইড খ্যাত জহির রায়হান , স্বাধীনতার পরে বড় ভাইকে খুঁজতে গিয়ে নিহত হন। এই জহির রায়হানের কাজিন হলেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। শাহরিয়ার কবির ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হাল ধরেন মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত গেরিলা রুমির মা জাহানারা ইমাম এর মৃত্যুর পরে। শাহরিয়ার কবির বিয়ে করেছেন বিচিত্রা সম্পাদক শাহাদাত চৌধুরীর বোন ডানাকে । উল্লেখ্য , আশির দশকে এই শাহরিয়ার কবিরই বিচিত্রা পত্রিকার মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত শিবিরের উত্থান ও রগকাটা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিলেন। <br />
----------------- <br />
জাদু - সব জাদু <br />
<br />
রাজনীতিবিদ মসিউর রহমান যদু মিয়ার পুত্র শফিকুল গণি স্বপন ছিলেন এরশাদের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী । যদু মিয়ার কন্যা মুক্তি রহমান বিয়ে করেন এরশাদের শালা কূটনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমেদকে । আরেক কন্যা সাংবাদিক রিটা রহমান বিয়ে করেন মেজর (অবঃ) খায়রুজ্জামানকে - মুজিব হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার কথা উঠলেও পরে অভিযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। খায়রুজ্জামানকে রিকল করা হলে মালয়শিয়ার হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেও দেশে ফেরেন নাই। ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল যদু মিয়ার ভাই শিদু মিয়ার কন্যা। <br />
--------------------- <br />
মোহন বাঁশী <br />
রাজনীতিবিদ ও জমিদার <strong>মোহন মিয়ার </strong>পুত্র চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও আকমল ইবনে ইউসুফ- বি এন পির নেতা । কামাল জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। <br />
<br />
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এর কন্যা বিয়ে করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পুত্র শফিউর রহমান বাবুকে। <br />
মোহন মিয়ার কন্যাকে বিয়ে করেন আলমগীর মোহাম্মদ আদেল। ইনি এরশাদের সময়কার মেয়র জাহাঙ্গীর মোঃ আদেল এর ভাই। আর এই জাহাঙ্গীর আদেল এর শ্বশুর হইলেন পূর্ব পাকিস্তানের কুখ্যাত গভর্নর ( ১৯৭১) মোনায়েম খান। ( কি সুন্দর কিসমত কানেকশন , তাই না?) <br />
সায়মা , বি এন পি নেতা ওবায়দুর রহমানের কন্যা , বিয়ে করেন চয়ন ইসলামের ভাইকে - এই চয়ন সিরাজগঞ্জের আওয়ামী নেতা ও মরহুম ডাঃ মাজহারুল ইসলামের পুত্র। <br />
সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসের স্ত্রী হলেন রাশেদ খান মেনন এর কাজিন। <br />
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তালুকদার মনিরুজ্জামানের কন্যা বিবাহ করেছেন শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ডঃ এস এ মালেকের পুত্রকে । বি এন পির এম মোকাম্মেল হোসেন কায়কোবাদ এর ভাই বিয়ে করেছেন শেখ পরিবারে। ( ধুরু , ডিটেইলস কই?) <br />
------------------------- <br />
বাংলাদেশের আরেক সালমান ঃ <br />
<br />
<strong>সালমান এফ রহমান </strong>এর বাবা ফজলুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী । ভাই সোহেল এফ রহমান এর সাথে সালমান গড়ে তোলেন বেক্সিমকো গ্রুপ ( বাংলাদেশের জনগণের শত শত কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নিয়ে মেরে দিয়ে ) । মজা হইলো , সালমান আওয়ামী লীগের ম্যান্ডেটে নির্বাচন করেন ঢাকা দোহার আসন থেকে এবং হেরে যান নিজেরই ভাগনা কিংবা ভাতিজা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে । জোট সরকারের সময় ঝামেলা হলেও এখন সালমান বেশ সুখেই আছেন । তার পুত্র সায়ান রহমান বি এন পি নেতা মোরশেদ খানের কন্যার সাথে বিবাহিত। <br />
<br />
<strong>আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া</strong> , বি এন পির জাঁদরেল নেতা, এর পুত্র বিয়ে করেছেন শেখ কবিরের কন্যাকে। শেখ কবির হলেন শেখ মুজিবের কাজিন ও শেখ হাসিনার চাচা, রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। <br />
<br />
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ছিলেন আইউব খানের শিল্পমন্ত্রী । তার পুত্র বি নে পি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু- জোট সরকারের মন্ত্রী- তার বোন ডঃ তাসমিমা বিয়ে করেছেন এরশাদের মন্ত্রী ডঃ মতিনকে। <br />
<br />
ডঃ ফকরুদ্দিন আহমেদ এর বাবা বিক্রমপুরের ডঃ মহিউদ্দিন আহমেদ। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কর্মকর্তা ফকরুদ্দিন এর খালেদার নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার কথা থাকলেও ১/১১ এর পরে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। ইনি বিয়ে করেছেন সিলেটের বিখ্যাত চৌধুরী বংশে। তাঁর বউ এর ভাইয়েরা হলেন এম্বেসাডর ফারুক আহমেদ চৌধুরী , সেক্রেটারী ও খালেদা জিয়ার এডভাইসর এনাম আহমেদ চৌধুরী এবং ( ওয়াও ) ইউ এন এ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ( আর কি লাগে!) ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কর্মকর্তা ডঃ ফখ্রুদ্দিন শালা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং তার বউ এর কাজিন গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরীকে কেয়ারটেকার সরকারের উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন এবং গীতি আরা সবার আগে যেই মহান পূণ্যটি করেন তা হলো আদমজী জুট বন্ধ করে হাজার হাজার মানুষকে পথে বসানো। তার স্বামী নাজিম কামরান চৌধুরী সিলেট চার থেকে বি এন পির সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৭৯ সালে। <br />
<br />
এম্বেসেডর শমশের মবিন চৌধুরীকে আবার এম্বেসেডর ফারুক চৌধুরীর কাজিন। <br />
<br />
<strong>তুমি আমি দুজনে নির্জনে সাজাব প্রেমের পৃথিবী ঃ নাজমুল হুদা - সিগমা হুদা । </strong><br />
<br />
হুমায়ুন কবির , আলমগীর কবির , আকবর কবির ও ফিরোজ কবির হইলেন কবির ভাই'স ফ্রম ফরিদপুর ( ভাবযযযযযয)। চতুরঙ্গের সম্পাদক হুমায়ুন কবির ছিলেন নেহরুর মন্ত্রী। আলমগীর কবির আইজিপি ও কেয়ারটেকার সরকারের উপদেষ্টা। ফিরোজ কবির বিয়ে করেছেন রাঙামাটির রাজপরিবারে , হয়েছেন রাজা দেবাশীষের আঙ্কেল। তবে উনার ১ম স্ত্রী রোকেয়া রহমান , ঢাকা ইউনির ইতিহাসের প্রফেসর ও এন জি ও সপ্তগ্রামের ফাউন্ডার। <br />
<br />
আকবর কবির- জিয়ার সরকারের ইনফরমেশন এডভাইসর - কন্যারা হলেন আলফা, সিগমা, খুশি ও পুত্র বাবর কবির । সিগমা একজন উকিল ও ব্যারিস্টার নাজমুদ হুদার সাথে বিবাহিত। খুশি কবির " নিজেরা করি' এন জি ও চালান। <br />
<br />
<strong>চট্টলার ঃ মাই নেম ইজ খান থুক্কু চৌধুরী </strong> <br />
<br />
পাহাড়ের নগরী , কর্নফুলীর চট্টলাতে তিনটি রাজনৈতিক পরিবার বেশ প্রসিদ্ধ । <br />
<br />
ফজলুল কাদের চৌধুরী ( ফকাচৌ) ও নবী মাহমুদ চৌধুরী পরিবার মুসলিম লীগের সমর্থক এবং এম এ আজিজ আওয়ামী লীগের। এম আজিজ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এম এন এ ছিলেন পাকিস্তান পিরিওডে। আর নবী চৌধুরী পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিন বার। তার ছেলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন খালেদার বাণিজ্য মন্ত্রী। <br />
ফকা চৌ ছিলেন পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী। তার দুই ছেলে সাকা চৌ ও গিকা চৌ । সাকা চৌ বিয়ে করেছেন আলমগীর মোহাম্মদ আদেলের কন্যা- অর্থাৎ কুখ্যাত মোনায়েম খানের জামাতা জাহাঙ্গীর আদেলের ভাইয়ের কন্যাকে। গিকা বিয়ে করেছেন সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারী মুজিবুল হকের কন্যা মিনাকে। <br />
<br />
<strong>আওয়ামী লীগ নেতা ও মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী হইলো আদতে কুখ্যাত ফকা চৌধুরীর কাজিন। </strong>এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী , সাকা চৌর কাজিন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের এম পি হন। সাকার ছেলে বিয়ে করেছেন ব্যবসায়ী রওনক খন্দকারের কন্যাকে। <br />
হেদায়েত রশীদ চৌধুরী , এইচ আর সি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা , বিয়ে করেছেন ফকা চৌধুরীর বোনকে। তাদেরই দুই পুত্র হইলো সাবের হোসেন চৌধুরী আর সাঈদ হোসেন চৌধুরী। মানে ইনারা হইলেন সাকা চৌধুরীর কাজিন। সাবের কিন্তু শেখ হাসিনার কাছের লোক। <br />
আবার এদিকে হারিস চৌধুরী , খালেদা জিয়ার পলিটিকাল সেক্রেটারী , সাবের হোসেন চৌধুরীর কাজিন। সাবের হোসেন চৌধুরীরই আরেক কাজিন হইলো সাবেক আর্মি চীফ মেজর জেনারেল নাসিম ( ব্যর্থ ক্যু এর জনক) । <br />
<br />
আবদুল্লাহ আল হারুন , বি এন পি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ভাই, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । নোমান নিজে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন, পরে বি এন পিতে যোগ দেন। নোমানের ভাই আবদুল্লাহ আল হাসান বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মালেক উকিলের কন্যাকে । মেয়র মহিউদ্দিন আবার এই নোমানের দুর সম্পর্কের মামা। <br />
<br />
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী নাকি আবার সাকা চৌ ও সালমান এফ রহমান এর আত্মীয় ( কেমনে, তা তো কইলো না) <br />
<br />
<strong>মাই নেম ইজ খান, এ কে খান ঃ </strong> <br />
<br />
এ কে খান পরিবার মূলত চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পরিবার তবে এ কে খান পাকিস্তান পিরিয়ডে মন্ত্রী ছিলেন। ভাগনী দুরানী বিয়ে করেছেন বি এন পি নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে। আরো দুই ভাগনী ( নাকি ভাতিজি) বিয়ে করেন কর্নেল ফারুক ও কর্নেল রশীদকে - যারা শেখ মুজিবকে হত্যা করেন। জিনাত , আরেক ভাগনী , জেনারেল এরশাদের সাথে পরকীয়া করে বিখ্যাত হয়ে আছেন, স্বামী বি সি আই সির চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি মুশাররফ হোসেন এর বর্তমানেই। পরে জিনাতকে ডিভোর্স দেন মোশাররফ। এই জিনাত আর (বি এন পি নেতা ও সালমান এফ রহমানের বেয়াই) মোরশেদ খান হলো কাজিন। <br />
<br />
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছিলেন এরশাদের আমলে পানি সম্পদ মন্ত্রী। তিনি বর্তমান জাতীয় পার্টির এক্সেকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী পারভিন পি কে এস এফ এর ডেপুটি ম্যানেজার । তার মা শামসুন নাহার পরাণ , চট্টগ্রামের একজন নারী নেত্রী ও ঘাসফুল এন জি ওর প্রতিষ্ঠাতা। পরাণের ভাই হলেন মেজর জেনারেল (অবঃ) সাঈদ । পরাণ জাতীয় পার্টি লিডার কাজী জাফরের ভাগ্নি/ ভাতিজি । কাজী জাফর ( চিনি জাফর?) এর আঙ্কেল কাজী জহিরুল কাইয়ুম আবার কুমিল্লা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৭১ এর এম এন এ। <br />
আনিসুল ইসলামের কন্যা বিয়ে করেছেন ব্যারিস্টার মঈনুল হুসেন এর পুত্র জাভেদ হুসেনকে । আনিসুল - জাভেদের বর্তমান ফার্ম এনার্জি পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড এর চেয়ারম্যানও বটে। <br />
<br />
শেখ কামালের বন্ধুমহল ( এইটা কেন দিলো? আরটিকেলটা কি লীগকে আক্রমণ করার জন্য ! মাবুদ জানে, কোন থিওরী না বানায় অনুবাদ করি) <br />
<br />
নাহ, থাউক, বন্ধু হইলেই বা কি? <br />
<br />
কিন্তু কথা হইলো , বি এন পি - জাতীয় পার্টি - লীগের আত্মীয়তা তো পাইলাম । জামায়াতের কানেকশন কই? নাকি জামাতের সাথে শুধু ব্যবসা ( গোপনে) আর রাজনীতির সম্পক্ক সব্বার? জামায়াত আসলে ঘাগু মাল। কমান্ডো স্টাইলে দল চালায় , তাও কারো কিছু জানা থাকলে আর কাপুরুষ না হইলে জানায়েন। <br />
<br />
কেন রাজনীতিবিদদের খুন খারাবি, দুর্নীতি , কোন কিছুরই বিচার হয় না - এখন বুঝা যাচ্ছে । এরা সবাই আত্মীয় - পার্টনার । তবে এই তালিকা থেকে সমাজের সুশীল অংশ এবং বিচার বিভাগের আত্মীয় বন্ধুরা বাদ গেছে । বাদ গেছে অনেক আমলাদের নামও । <br />
<br />
খালেদা জিয়ার আত্মীয় স্বজনদের কানেকশন তেমন পেলাম না । পেলাম না এরশাদ কাক্কুর আত্মীয় স্বজনের বর্ননাও । পেলাম না নিজামীর এক পুত্র যে পাকিস্তানের আর্মি অফিসার - সেই খবরও । আপনারা কেউ কি এই ঘাটতি গুলা পূরণে সাহায্য করবেন প্লিজ? </div><br />
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বাংলাদেশ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>রাজনীতি</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কে</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কোথায়</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কেন?</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>লীগ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বি এন পি</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>জাতীয় পার্টি দ</i></a> ;<br />
<br />
http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29125814 </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-22681922697342604792011-03-25T07:01:00.000+06:002011-03-25T07:01:51.829+06:00এইটা কি পাইলাম? বাংলাদেশী কন্সপিরেসী থিওরী ? আমাদের নেতারা কে? কোথায় , কি ভাবে ?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="line-height: 1.8em; text-align: left;"> নেট ঘাঁটছিলাম অন্য কাজে । কেঁচো খুড়তে পরিবার বেরিয়ে গেলো । কিছুদিন আগে এই <a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29053238" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">পোস্টটা</span></a> লিখেছিলাম । সেখানে বলা ছিলো ঃ <br />
<br />
<strong>আমি যেই তালিকা গুলো প্রতিটা বছর শেষে দেখতে চাই!</strong><br />
<br />
১। বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা কে কার সাথে " ব্যবসা" , " আত্মীয়তা" , " রক্তের সম্পর্ক" সূত্রে আবদ্ধ । নাম ও আবদ্ধতার তরিকা সহকারে ।<br />
<br />
২। প্রতিটা নেতা নেত্রীর ছেলে মেয়ে কে কোথায় পড়ে বা কাজ করে কিংবা কার সাথে সংসার করে ।<br />
<br />
৩। নির্বাচিত প্রতিটা জনপ্রতিনিধির প্রত্যেকে প্রতি মাসে বাংলাদেশের জনগণের রক্ত জল করা ট্যাক্সের টাকার কি পরিমাণ বিভিন্ন সরকারী অফিস , সংসদ , সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি) ইত্যাদির মাধ্যমে ভোগ করেছেন । কত টাকা বিল বাকি রেখে সটকেছেন। অতীত , বর্তমান মিলিয়েই সন্নিবেশ করতে পারেন। বর্তমান ( আওয়ামী লীগ) হইলে আরো ভালো । <br />
<br />
এরশাদের বোনের নাম - যেই বোন ভিকারুন্নিসাতে ছিলো- নেট ঘাটতে গিয়ে <a class="eng" href="http://www.probenewsmagazine.com/index.php?index=2&contentId=5384" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">কাছাকাছি কিছু একটা পেলাম। বড়ই মজার জিনিস ! </span></a> <br />
<br />
---------------------------------------- <br />
<br />
লেখার শুরু প্রেমের জয় নিয়ে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের ছেলে ব্যারিষ্টার ফজলে নাঈম ও বি এন পির তুখোড় নেতা সারাহ হোসেন এর প্রেম ও বিয়ে নিয়ে । কিন্তু প্রেম তো দেখা যায় এই এক বিয়েতেই না ! সব দেখি আমরা আমরাই! <br />
-------------------------------------- <br />
<br />
শেখ পরিবার দিয়েই শুরু হোক ঃ <br />
<br />
শেখ কামাল, শেখ মুজিবের বড় ছেলে ও হাসিনার বড় ভাই, বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন ক্রিড়াবিদ সুলতানার সাথে , ঢাকা ইউনিভার্সিটির চিফ ইঞ্জিনিয়ার এর কন্যা । সুলতানার ভাই রফিক ও খোকন এখন ঢাকায় বাস করেন। <br />
<br />
শেখ জামাল , মুজিবের ২য় পূত্র বিয়ে করেন মুজিবের শালা জয়েন্ট সেক্রেটারি এ টী এম মোঃ হোসেন এর কন্যা পারভিন রোজিকে। <br />
শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার বোন, বিয়ে করেন ডঃ শফিক সিদ্দিকিকে- যার ছোট দুই ভাই হোলেন রফিক সিদ্দিকি এবং মেজর জেনারেল (অবঃ) তারেক সিদ্দিকি । তারেক সিদ্দিকি ডিফেন্স এডভাইসর হিসেবে কাজ করেছেন। রেহানার শ্বশুর হল সিদ্দিক মাস্টার যার মালিকানা ছিলো এখন যেই এলাকা সবাই বনানী নামে চিনে সেই এলাকা , পাকিস্তান সরকার নিয়ে নেওয়ার আগে । আইভি রহমান , প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী , ছিলেম এই সিদ্দিক মাস্টারের শালী । তো , প্রেসিডেন্ট জিল্লুর তার মানে শেখ হাসিনার খালু। <br />
<br />
শেখ মুজিবের ছোট ভাই শেখ নাসেরের পূত্র , বর্তমান সাংসদ শেখ হেলালের কন্যা বিয়ে করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা নাজিউর রহমান মঞ্জুরের পূত্র ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থকে । পার্থ এখন ভোলার সাংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট।<br />
<br />
শেখ ফজলুল হক মণি , শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং শেখ মারুফ হলেন শেখ মুজিবের বড় বোনের তিন পূত্র । হাসিনার ফুফাত ভাই। <br />
<br />
শেখ মণির দুই ছেলে - ব্যারিস্টার তাপস ও পরশ । তাপস ধান্মন্ডির সাংসদ। <br />
<br />
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ সেলিম বর্তমানে সাংসদ এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান ও ছিলেন। প্রভাবশালী এই নেতার কন্যা বিয়ে করেছেন স্বঘোষিত ও বিতর্কিত রাজপূত্র মুসা বিন শমশের এর ছেলেকে । এই বিয়ের উকিল বাপ হইলো আমগো হো মো এরশাদ । মুসা আদম ব্যবসায়ী , গ্যাটকোর মালিক, লন্ডনে রাজনৈতিক দলে চান্দা দিয়ে বিতর্কিত এবং টিভিতে তার বাড়ি দেখানোর পরে একটি বিখ্যাত টিভি শো হোস্টের চাকুরী চলে যায়। সেলিম পূত্র ফজলে নাঈম সম্প্রতি বি এন পি নেতা টুকুর কন্যা ব্যারিস্টার সারাহ হোসেনকে বিয়ে করেছেন। <br />
<br />
শেখ সেলিমের বোন বিয়ে করেছিলেন তৎকালীন জাতীয় পার্টির নেতা ও মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুরকে। দুই পরিবারে কিঞ্চিৎ দূরত্ব তৈরী হলেও মঞ্জুর পূত্র বাবার মৃত্যুর পরে জাতীয় পার্টির হাল ধরেছেন এবং ভোলা থেকে নির্বাচন করে জিতেছেন , তিনি শেখ হেলাল এর কন্যার সাথে বিবাহিত । <br />
<br />
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ মুজিবের বোনের ছেলে যার বাবা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মুজিব সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন। সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ-এর তিন ছেলে । এর মধ্যে আশিক আব্দুল্লাহ এবং সাদেক আব্দুল্লাহ এর বিরুদ্ধে মামলা আছে । আশিক বিবাহিত ইমনের বোনের সাথে ( মা কসম , আমার বোন না কিন্তু) যেই ইমন আবার ঢাকার টপ টেরর (কি তামশা) । আশিকের শ্বাশুড়ি, ইমনের মা হইলেন ডঃ সুলতানা জাহান ! <br />
<br />
শেখ শহীদুল ইসলাম , শেখ হাসিনার খালাত ভাই , সাবেক ছাত্রলীগ প্রেসিডেন্ট এই শেখ শহীদ ছিলেন এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বিয়ে করেন জনতা ব্যাংকের সাবেক এম ডি সালেহীন এর কন্যাকে - সালেহীন কেয়ারটেকার সরকার এর উপদেষ্টা ডঃ ফকরুদ্দিন এর কাজিন। <br />
জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান হইলেন শেখ হাসিনার আঙ্কেল , শেখ মুজিবের কাজিনকে বিয়ে করেন। এঁকেই এল পি আর থেকে ফেরত এনে আর্মি চীফ অফ স্টাফ করা হয়। <br />
<br />
প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের মরহুমা স্ত্রী আইভি রহমান শিক্ষাবিদ জালাউদ্দিনের এর কন্যা। তাঁদের কন্যা দ্বয় তানিয়া, ময়না ও পূত্র নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে পাপন এখন ভৈরবের সাংসদ এবং বেক্সিমকো এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর - বিবাহ সূত্রে ব্যবসায়ী আব্দুল হাশেমের জামাতা । <br />
<br />
যেভাবে হাসিনা ও খালেদা আত্মীয় ঃ <br />
<br />
চিরশত্রু খালেদা হাসিনার ভেতর খালেদা পূত্র তারেক রহমান বিয়ে করেছেন ডাঃ জুবাইদাকে , যিনি সাবেক নেভি চীফ এম এ খান এর কন্যাকে - এম এ খান শেখ হাসিনার আত্মীয় ( ধুরু , আরেকটু খোলাসা করলে ভালো হইত) <br />
<br />
--------------------------- <br />
<br />
এই যে ব্যাটা সাম্বা ড্যান্সার থুক্কু সাম্বাদিক মামু আমার পোস্ট থেকে আইডিয়া মেরে দিলো , একটু কিরিতজ্ঞ জানাইলে কি এমন ক্ষতি হইত! </div><br />
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বাংলাদেশ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>রাজনীতি</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কে</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কোথায়</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কেন?</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>লীগ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বি এন পি</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>জাতীয় পার্টি</i></a> ;<br />
<br />
http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29125726 </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-84558740127626105012011-03-25T06:59:00.000+06:002011-03-25T06:59:06.771+06:00(নারী) পুরুষের যৌণ সমস্যা নাকি আমাদের শিক্ষার সমস্যা ?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="line-height: 1.8em; text-align: left;"> এইটা একটি হালকা (বাজেট, অর্থনীতি , পুঁজিবাদ কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশের তুলনায়) লেখা । মানে , আপনি যদি তরুণ বয়সের কোন পুরুষ না হোন বা আপনার জীবনে জ্ঞানী বন্ধু , বড় ভাই কিংবা জ্ঞানের সূত্রের অভাব না থাকে , তাহলে এই অভিজ্ঞতার সাথে আপনি পরিচিত নন। তাই, নির্বিঘ্নে অন্য কোন পোস্টে চলে যেতে পারেন । এইটা কোন আদিরসাত্মক কিংবা ধর্মীয় পোস্ট নয় । সুতরাং, যারা ডাক্তারের মত নিরাসক্ত দৃষ্টি নিয়ে সমস্যাকে বিশ্লেষন করতে পারেন না , তারাও এখনি অন্য পোস্টে চলে যেতে পারেন। <br />
------------------------- <br />
<strong>শুরু করি একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে । </strong><br />
<br />
আমার ধারণা ছিলো , ডাক্তার হিসেবে আমি খুব একটা খারাপ বুঝাই না। তো একজন অনুজ , নতুন বন্ধু আমার ডাক্তার পরিচয় পাওয়ার পরে একদিন সন্ধ্যায় ইচ্ছে করে আমার সাথে বাড়ি ফিরতে চাইলেন। তার বাড়ির রাস্তা ভিন্ন দিকে আর আমিও রোগী দেখে দেখে ততদিনে বুঝতে পারি অনেক কিছুই। বুঝলাম , একটু আড়ালে কিছু আলোচনা করতে চান। আন্দাজে ভুল হয়নি। অতি সংক্ষেপে তিনি আমাকে জানালেন তার প্রেমিকার সাথে তার প্রথম যৌণ অভিজ্ঞতায় তার অতি দ্রুত স্খলনের ( প্রি ম্যাচিউর ইজাকুলেশন) সমস্যার কথা। ঘটনাটা তাকে এতটাই বিপর্যস্ত করেছে, তিনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ নিয়েছেন। আরো অনেকের সাথে কথা বলে পথ্য সংগ্রহ করেছেন । এখন তিনি আমার কাছে সেই সব ওষুধের / ব্যবস্থাপত্রের ভালো মন্দ যাচাই করতে চান। আমি হতভম্ব ! <br />
প্রথমত , আমার ডাক্তারি বিদ্যা যৌণ সমস্যা লাইনের নয় । তাই বুঝলাম বাংলাদেশের মানুষ ডাক্তার শ্রেণীটার উপরে কতটা হতাশ ও আস্থাহীন হলে কেউ বিশ্বাসযোগ্য যে কোন মানুষ খোঁজে! <br />
দ্বিতীয়ত, এই ছেলেটি যথেষ্ট শিক্ষিত, মুক্তমনা ও যৌক্তিক চিন্তার অধিকারী । সুতরাং , ইউনানী, কবিরাজি , তুক্তাক বিদ্যার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেনি। <br />
তৃতীয়ত, তার কাছ থেকে ওষুধের লিস্ট দেখার পরে বুঝলাম, তার এই " শিক্ষা" ও "যুক্তি" তার কোন কাজেই আসে নাই । কারণ , কবিরাজি তুকতাক এড়াতে পারলেও এই তরুণ বৈজ্ঞানিক বা এলোপ্যাথির তুকতাক এড়াতে পারেন নাই। <br />
<br />
<strong>মানে কি? </strong><br />
<br />
তার লিস্ট জুড়ে কেবল ভিটামিন আর ভিটামিনের নাম। একই ভিটামিন ভিন্ন ভিন্ন নামে। একই ধরনের মাল্টিভিটামিন ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির । তার ধারণা , উনি ১১ টি ভিন্ন অষুধের নাম লিখে এনেছেন । ( যে যা বলেছে , তার সব গুলাই । এবং যৌণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রেসক্রিপ্শন শুদ্ধ ) <br />
এরপর , আমি তাকে যতই বুঝাই , যত ভাবেই বুঝাই , এগুলো কোন রোগের ওষুধ না । কিংবা , তার কোন রকম রোগ নাই। কিংবা , দ্রুত স্খলন বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন কোন যৌণ রোগ না - উনি কিছুতেই কিছু বুঝে না । কোন রকম গঠনগত (এনাটমিকাল) কিংবা কার্যকারিক (ফিজিওলজিকাল) কোন রকম রোগ বা সমস্যা যদি থেকেও থাকে , সেইটা ভিটামিন দিয়ে সারবে না - এইটাও তার মাথায় ঢুকাইতে পারলাম না । <br />
তার মাথায় গেঁথে গেছে , উনি যৌন ভাবে দুর্বল । আর আমি ভাবছি - ভিটামিনও একটা ওষুধ । এক সাথে এক গাদা খেলে ভিটামিনোসিস নামক বিষক্রিয়াতে না আক্রান্ত হয়! <br />
<br />
<strong>শেষে কি হলো? </strong><br />
<br />
কিছুদিন পরে উনি জানালেন , ভিটামিন গুলো খাওয়াতে তার অনেক উপকার হয়েছে । তিনি এখন তার কাজে আগের চেয়ে ভালো মান দেখাতে পারছেন । আমি একই সাথে স্বস্তি আর হতাশার একটা কাষ্ঠ হাসি দিলাম। স্বস্তি , কারণ আমাদের নকল ও ভেজাল ভিটামিন কোম্পানির ( ছোট খাট কোম্পানি না শুধু , বড় বড় কোম্পানিও আটা চিনির গুড়া ক্যাপ্সুলে ভরে ভিটামিন হিসেবে বিক্রি করে) বদৌলতে বেচারা ভিটামিনোসিস এর হাত থেকে বেঁচে গেছে । আর হতাশা এই জন্য যে, এই ছেলেটি আরো হাজার হাজার বাংলাদেশী তরুণের মত হলফ করে বলবে,<br />
১। আমার মত দুইপাতা ডাক্তারি পড়া ডাক্তাররা কিচ্ছু জানে না। যৌণ দুর্বলতা একটা ভয়ংকর রোগ। <br />
২। মাত্র ১১ প্রকারের ( আসলে একই ) ভিটামিন , মাল্টিভিটামিন খেলেই এই রোগ থেকে ভালো হওয়া যায়। <br />
৩। উপরের দুইটা কথার প্রমাণ উনি নিজে। <br />
<br />
<strong>তাহলে সমস্যাটা কোথায় ? </strong> <br />
<br />
আসুন , আমরা একটু বুঝার চেষ্টা করি ঘটনাটা আসলে কি ঘটেছে। ছেলেটির সমস্যা ছিলো অতিদ্রুত স্খলন। এর সরাসরি ফলাফল যেইটা হয় , পুরুষ বা নারীর যৌণ তৃপ্তি বা ক্লাইমেক্স / অর্গাজম এ পৌছানোর আগেই সঙ্গম শেষ হয়ে যাওয়া । ব্যাপারটা অনেকটা প্রচন্ড ক্ষুধার মুখে দুই লোকমা খাওয়ার পরে প্লেট কেড়ে নেওয়ার মতন। বিস্তারিত আর বললাম না । <br />
<br />
<strong>কেন ঘটে এই রকম? </strong> যাদের সত্যি সত্যি কোন রকম ইনফেকশন ( যৌণ রোগ), এনাটমিক বা যৌণাঙ্গের গঠনগত সমস্যা আছে কিংবা ফিজিওলজিকাল বা কার্যকারিতার দিক থেকে কোন সমস্যা আছে - তারা ছাড়া বাকি সবার জীবনেই এইটা ঘটতে পারে মানসিক কারণে । <br />
প্রথমত, জীবনে প্রথম যৌণ সঙ্গম করতে গেলে ১ম কিছুদিন অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে অতিদ্রুত স্খলন ঘটতে পারে। নিজের উত্তেজনাকে মানসিক ও শারীরীক ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে না পারাটাই কারণ । <br />
দ্বিতীয়ত , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে কোন রকম অপরাধবোধে ভুগলে ।<br />
তৃতীয়ত , কোন কারণে যথেষ্ট সময় না থাকলে তাড়াহুড়া ও টেনশনে ।<br />
চতুর্থত , আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে অতিরিক্ত টেনশনে । <br />
পঞ্চমত , সঙ্গিনীর সাথে কোন কারণে যথেষ্ট স্বস্তি বা কম্ফোর্ট লেভেল না থাকলে । <br />
<br />
<strong>এখন কথা হলো , এর জন্য ওষুধ বা ভিটামিন খাওয়া কত জরুরী? </strong> <br />
<br />
যাদের কোন কারণে যৌণ রোগ বা ইনফেকশন আছে কেবল তাদের জন্যই ঔষুধ প্রয়োজন হতে পারে। জীবনের ১ম যৌণ অভিজ্ঞতায় কোন রোগ কারণ না হওয়ারই কথা । রইলো বাকি এনাটমিকাল ও ফিজিওলজিকাল কোন সমস্যা । এইটা প্রকৃতিতে খুবই রেয়ার। ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে এইটা বের হয়ে আসবে। কিন্তু উল্লেখিত তরুণের এই ধরনের কোন সমস্যা ধরা পড়ে নাই। <br />
<br />
আর মানসিক সমস্যার জন্য ভিটামিন? বুঝতেই পারছেন, এইটা ঠিক খাপ খায় না । তারপরেও মাঝে মাঝে নাছোড়বান্দা রোগী হইলে কিছু ডাক্তার রোগীর মন রক্ষা করতে গিয়ে ভিটামিন, স্যালাইন - এইসব বেকার জিনিস পত্র প্রেস্ক্রাইব করেন। তাহলে ছেলেটি উপকার পেলো কি করে? <br />
<br />
এখানে আমাদের আসলে তার সমস্যার মূলে পৌছাতে হবে। আমি যা বুঝেছিলাম, উনি তার প্রেমিকাকে তৃপ্ত করতে পারবেন কি পারবেন না সেই অতিরিক্ত টেনশন, সাথে ১ম বারের অতিরিক্ত উত্তেজনা = এর ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন। ভিটামিন খাওয়ার পরে তার ভিতরে বিশ্বাস চলে আসে যে উনার সমস্যা মিটে গেছে । উনি এখন যৌন ভাবে সবল । এই ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস ও কমফোর্ট লেভেল তাকে যে রিল্যাক্সসেশন বা আরাম দিয়েছে - তাতেই উনি পরের বার গুলোতে ভালো পারফর্ম করতে পেরেছেন। <br />
<br />
এখন , ঝড়ে বক পড়লো আর তাতে ফকিরের / ভিটামিনের কেরামতি বেড়ে গেলো। <br />
<br />
<strong>এই রকম কেরামতি কেন দরকার হয়? মূল সমস্যা কি? সমাধান কি? </strong> <br />
<br />
একজন ডাক্তার হয়েও সেই তরুণকে বুঝাতে ব্যর্থ হওয়ার পরে আমি এইটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। কেন উনি বুঝতে চাইলেন না একেবারেই? এবং ভেবে ভেবে , তার সাথে এর উপরে পড়ালেখা করে আমি যা বের করেছি তা হলো , মানুষের বিশ্বাসের সাথে তথ্যের লড়াইয়ে বিশ্বাসের জয় হবেই। এই তরুণের বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই কোন যৌণ শিক্ষা নেই । তার শেখার সূত্র ছিলো হয়ত আদিরসাত্মক সাহিত্য , নীল ছবি কিংবা নিদেন পক্ষে বড় ভাইদের অভিজ্ঞতা । এর কোনটাই সঠিক শিক্ষা দেয় না , দিতে পারে না । বরং এসব থেকে মানুষ বেশির ভাগ সময়েই ভয়াবহ ভুল শেখে । আবার এই সব সূত্র গুলো কোনটা স্বাভাবিক, কোনটা সমস্যা আর কোনটা রোগ- তাও শিক্ষা দেয় না ।<strong> যারা এই সব নোংরা পথে কিছু শিখতে পছন্দ করেন না , তাদের জন্য কি কোন ভিন্ন পরিষ্কার পথ খোলা আছে? সার্বিক ভাবে - নাহ।</strong> যারা সেই রকম উচ্চ শিক্ষিত এবং ইন্টারনেট এ সংযুক্ত , তারা কিছুটা ভালো অবস্থানে আছেন। ইন্টারনেট থেকেই শিখতে পারেন কিন্তু সেই ওয়েবসাইট গুলো কি নির্ভরযোগ্য? <br />
<br />
এইখানে, আবার একটা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। অনেক দিন পর্যন্ত ইংরেজি ছবির নায়ক-নায়িকাদের দেখে দেখে আমার ধারণা ছিলো পশ্চিমা পুরুষ এর বুকে ও নারীদের হাতে পায়ে কোন লোম থাকে না । বড় হয়ে সেই কুশিক্ষা আমার দূর হয়েছে মেডিকেলে পড়তে গিয়ে। সুতরাং, দেখুন, এমন কি ছবিও কি ধরনের ভুল শিক্ষা দেয় মানুষকে ! <br />
<img src="http://www.ecardica.com/ecards/postcards%5Cfunny%20pictures/why_we_need_sex_education.jpg" style="align: center; border: 1px solid #ccc; clear: both;" width="400px;" /> <br />
<br />
আমাদের দেশের তরুণ তরুণিদের তাই মূল সমস্যা হলো একটা ভালো, ভদ্র , পদ্ধতিগত ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষা বা জ্ঞানের মাধ্যম - যা থেকে মানুষ সঠিক শিক্ষাটা নিতে পারে- তার অভাব। আর এরই সুযোগ নেয় যত রকমের মঘা, ইউনানী, কবিরাজি , হার্বাল আব জাব কোম্পানি গুলো। বাংলাদেশে অশিক্ষা তো আছেই , তার চেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো , যারা স্কুল কলেজে পড়েন, তারা কুশিক্ষিত কিংবা অর্ধ শিক্ষিত । <br />
<br />
<img src="http://willothewisp.org/WoWBlog/wp-content/uploads/2009/04/british-sex-ed1-278x300.jpg" style="align: center; border: 1px solid #ccc; clear: both;" width="400px;" /> <br />
<br />
এখনো মানুষ জানে না , মেয়েদের প্রতি মাসে রক্তপাত হওয়াটা (মাসিক বা রজঃস্রাব) যেমন একটা স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া , সেই রকম পুরুষের কিছুদিন পর পর ইরেকশন বা যৌণাঙ্গ দৃঢ় হওয়া থেকে শুরু করে ইজাকুলেশন বা ধাতু নির্গত হওয়াটা একটা অতি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া । স্বপ্নদোষ নামে যাকে ধর্মভীরু মানুষ এটা সেটা খেয়ে রোগমুক্তির আশা করে, সেইটা আসলে কোন রোগই না । একবার চিন্তা করুন, মেয়েরা যদি দল বেধে "ঋতুদোষের" জন্য কবিরাজি ওষুধ খাওয়া শুরু করে তাহলে ব্যাপার কি দাঁড়াবে? <br />
<br />
সময়ের আগেই ধাতু নির্গমন বা ইজাকুলেশন কোন দুর্বলতার লক্ষণ নয় । এইটা কোন রোগও নয়। তবে , পুষ্টিহীন নারী শরীরে যেমন ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে, অতিরিক্ত পুষ্টিহীনতায় ভুগলে পুরুষেরও পারফর্মেন্সে ঘাটতি হতে পারে। তবে সে সব ঘাটতি কবিরাজি, ইউনানী হালুয়া খেয়ে কিংবা মলম মেখে দূর করা যায় না । বেটার পার্ফর্মেন্সের জন্য চাই বেটার স্বাস্থ্য । সুস্বাস্থ্য। <br />
<br />
যারা জানেন না , তাদের জন্য বলি, অতিরিক্ত শুকনা কিংবা অতিরিক্ত মোটা হলে , উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস হলে , সিগারেট - মদ জাতীয় বদভ্যাস থাকলে - যৌণ দক্ষতা কমে যেতে পারে। বাচ্চা হতেও সমস্যা হতে পারে। তার মানে এইনা যে আপনাকে সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে জিমে গিয়ে ডাম্বেল ভাজতে হবে, কিন্তু , স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান না হলে প্রেমিকা /স্ত্রীর প্রেম পাইতে কিংবা বাচ্চার বাপ হইতে সমস্যা হতেই পারে। <br />
<br />
<br />
যারা যৌণ শিক্ষার নাম শুনলেই সব গেলো গেলো বলে চিল্লাতে ভালোবাসেন, সেই সব মানুষদের মন রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের পাঠ্য বই গুলাতে যথা সম্ভব কম তথ্য দেওয়া থাকে। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে , উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আগে মানব দেহ সিলেবাসেই ছিলো না ( বায়োলজি) । আশা করি এখন সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মানুষের যৌণ বা রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম আমি উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াতে দেখিনি। <strong>এমন কি , মেডিকেলের ফিজিওলজি ম্যাডাম আমাদের বলেছিলেন, " এইটা তোমরা বাড়িতে পড়ে নিও।"</strong> এই থেকেই বুঝা যায় , মানুষের দেহের এই অংশ বা সিস্টেমটিকে নিয়ে সঠিক শিক্ষার পরিবেশ বাংলাদেশে প্রায় অনুপস্থিত । কিন্তু তাতে কি প্রলয় বন্ধ আছে? <br />
<br />
যারা বলেন, সঠিক যৌণ শিক্ষা দিলে মানুষের নৈতিক আচরণে ধ্বস নামবে , এতদিন তো এই শিক্ষা বাংলাদেশে বন্ধই আছে এক রকম, তাতে কি ধ্বস নামা বন্ধ হয়েছে? কমেছে? নাকি, বেড়েছে? <br />
যৌণ শিক্ষা বন্ধ আছে । কিন্তু যৌণ সঙ্গম কি বেড়েছে না কমেছে? <br />
যৌণ শিক্ষা বন্ধ আছে কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষকে যৌণ সুড়সুড়ি দেওয়া কি বন্ধ আছে? <br />
যারা এর বিরোধিতা করেন, তারা কি দায়িত্ব নিয়েছেন ছেলে মেয়ে গুলো যাতে কোন বিপদে না পড়ে , অশিক্ষা - কুশিক্ষা জনিত স্বাস্থ্যহানি না ঘটায় - সেইটা বন্ধে? <br />
অসামাজিক কার্যকলাপ বাদ দেন, যারা সামাজিক কার্যকলাপ (বিয়ে, বাচ্চা নেওয়া, একটা স্বাভাবিক যৌণ জীবন কাটাতে চান) করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিপদ , আপদ, রোগ, শোক, বিব্রতকর অবস্থা এবং কখনো কখনো মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছেন , তাদের শিক্ষার কোন ব্যবস্থা কি নিয়েছেন? <br />
<br />
আমরা যারা ডাক্তার , তারা প্রতিদিনই কারো না কারো মারাত্মক কোন সমস্যার কথা শুনি বলে আমরা টের পাই , এই " লুকিয়ে রাখা" , " চেপে রাখা" , "দমিয়ে রাখা" যৌণ অজ্ঞতাজনিত সমস্যা গুলো কি হারে মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করছে। আর কত সহজেই একটা সঠিক শিক্ষা মানুষকে এই কষ্ট গুলো থেকে রক্ষা করতে পারে। <br />
<strong>কিছু ঘটনা ঃ </strong> <br />
<br />
১। এই ২০১০ সালেও এসে শুনতে হয় মঘা , ইউনানী, কবিরাজি, মান্ডার তেল আর শিয়ালের বাম এর বেচাবিক্রির শোর গোল। <br />
২। এই যুগেও মানুষ জানে না কোনটা স্বাভাবিক যৌণতা আর কোনটা অস্বাভাবিক। <br />
৩। অতি আধুনিক দম্পতিকেও বিয়ের পরে পর্ণ দেখে শিক্ষা নিতে হয় কেমনে কি করে। যারা এই সব দেখা পাপ বলে বিশ্বাস করেন, তাদের অবস্থা আরো করুণ। <br />
৪। পতিতার কাছ থেকে "অভিজ্ঞতা" ও "জ্ঞান " আহোরণ করতে গিয়ে যৌণ রোগ বাধিয়ে আসে। <br />
৫। জানে না কিভাবে বাচ্চা হয়। <br />
৬। বিয়ের আট মাসেও না জানা কি ভাবে সঙ্গম করতে হয়। <br />
৭। জানে না কি ভাবে গর্ভ ধারণ আটকানো যায়। <br />
৮। অবৈধ গর্ভপাত এখনো বাংলাদেশের অন্যতম বড় ব্যবসা।<br />
৯। এখনো সন্তান ছেলে কিংবা মেয়ে হওয়া নিয়ে স্ত্রীকেই দায়ী করা হয়। <br />
১০। এখনো যে কোন সমস্যা হলে মানুষ পরিচিত ডাক্তারদের কাছে ছোটে । বেশির ভাগই লজ্জায় চেপে রাখে। <br />
১১। এই যুগে মানুষ মান্ডার তেল, শিয়ালের বাম, শিকড় বাকড় , তাবিজ আর ভিটামিন- স্যালাইনের পিছনে টাকা নষ্ট করে। <br />
<br />
এখন সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার কথা বলি । স্রেফ " কি ভাবে আদর করতে হয় জানে না বলে" স্ত্রীকে বছরের পর বছর ধরে যা করা হয়েছে তাকে শুধু তুলনা করা চলে "ধর্ষণ" হিসেবে । স্ত্রী স্বামীকে ভালোবাসেন কিন্তু তার যন্ত্রনা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো যে অত্যন্ত ধর্ম ভীরু সেই দম্পতি যৌণতা এক প্রকার বাদ দেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীকে অনুরোধ করেন, " তোমার দরকার হলে তুমি বাইরে থেকে করে এসো । আমি মানা করবো না।" <br />
<br />
এখন প্রশ্ন হইলো , আল্লাহ মানুষের ভিতর যৌণ সঙ্গম নামক একটা প্রক্রিয়া দিয়েছেন যার মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা প্রকাশিত হওয়ার কথা। যার মাধ্যমে নতুন শিশু জন্ম হওয়ার কথা । সেই প্রক্রিয়াটা একজন স্ত্রীর জন্য এত কষ্টের কেন হবে? কেন একজন স্ত্রীর মনে হবে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ? আর স্বামীই বা কেন বুঝবে না কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা ধর্ষণ ? এই মারাত্মক অবস্থাটা কিন্তু আমি দেখেছি আমার পরিচিত গন্ডিতে ! ঘটনার কেউ মূর্খ , অশিক্ষিত নয়। বরং উচ্চ শিক্ষিত । এরা কেউ পাশবিক নয় বরং সঙ্গী- সঙ্গীনীর প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল। এরা কেউ ধর্মহীন নয় - এদের কেউ কেউ প্রচন্ড ধার্মিক ( ১ম তরুণ বাদে) । <br />
<br />
বাংলাদেশের সমাজের যেই অংশটি অশিক্ষিত , তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। <br />
<br />
<strong>আমাদের বুঝতে হবে , যৌণ শিক্ষা শুধুমাত্র বায়োলজির বিষয় নয়। এর সাথে জড়িত আছে স্বাস্থ্য। এর সাথে জড়িত আছে যৌণতার সামাজিক, ধর্মীয়/নৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অবশ্যই অর্থনৈতিক ইস্যু । যৌণতার সাথে জড়িত আছে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক ও আবেগ এর বিকাশ। এখনো বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার ভয়াবহ। আমরা এখনো এই সব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারছি না বলে অন্য কোন দিকে উন্নতির কথা ভাবতেই পারছি না । প্রতিনিয়ত পিছিয়ে যাচ্ছি দুনিয়া থেকে। আমরা কি একটা স্বাস্থ্য, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক,পারিবারিক (বাচ্চা হওয়া থেকে শুরু করে একটা বাচ্চাকে সঠিক ভাবে লালন পালন করতে কি কি করা লাগে, কেমন খরচ হয়) ও নৈতিক শিক্ষাসহ একটা পরিপূর্ণ ও ব্যালেন্সড যৌণ শিক্ষার সিলেবাস তৈরী করতে পারি না? <br />
<br />
দেশে নতুন শিক্ষানীতি চালু হতে যাচ্ছে । সরকার কি যৌণ শিক্ষার এই দিকে কিছু সিস্টেমিক ও সাহসী পদক্ষেপ নেবেন? <br />
</strong> </div><br />
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>যৌণ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>সমস্যা</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>শিক্ষা</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>কুসংস্কার</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>পুরুষ</i></a> ;<br />
<br />
http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29149977 </div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-45864489421907190622011-03-25T06:56:00.000+06:002011-03-25T06:56:26.106+06:00বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কিছু প্রামাণ্য দলিল<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="line-height: 1.8em; text-align: left;"> ইউ টিউবে ২৮শে অক্টোবর ২০১০ সালের কিছু ভিডিও খুঁজতে ও দেখতে গিয়ে এসব পেলাম। হয়ত আগেই দেখেছেন কেউ কেউ। তবু নিজের এবং অপরের জন্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ব্লগীয় আর্কাইভ করে রাখলাম। <br />
<br />
<strong>প্রথমে সামু</strong> ব্লগের <a class="eng" href="http://www.somewhereinblog.net/blog/Trishonku/29089476" target="_blank"><span style="font-family: solaimanlipi; font-size: small;">ব্লগার ত্রিশোংকুর প্রত্যক্ষ শ্রোতা</span></a> <strong>হিসেবে ঐ সময়ের বর্ণণা। </strong><br />
<br />
"বাবা আর সুলতান চাচা একটা কাগজ দেখছেন। কাগজটার রং হলদেটে। অনেকদিন রেখে দিলে কাগজের যে রং হয়।... বাবার হাতের কাগজটির ওপর আমি ঝুঁকে পরলাম। ইংরেজীতে লেখা দু'টি প্যারাগ্রাফ। আজ কিছুই মনে নেই কি লেখা ছিল সে কাগজে তবে একটি বাক্যাংশ স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বল করে: "Bengalees are fighting the enemy with great courage for an independent Bangladesh". কাগজটার প্রথম বাক্যের বাংলা ছিল সম্ভবত: "আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র"।... <br />
<br />
চাচার সাথে একাধিকবার জহুর আহমদ চৌধুরী (স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রক তাঁর অধীনে ছিল...), এম আর সিদ্দিকী (আংগুলে গোনা বাংগালী শিল্পপতিদের একজন, বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে খানের মেয়ের জামাই, রেনেঁস ব্যান্ডের বোগীর বাবা) ও হান্নান-মান্নানের কথা হয়েছে। এম আর সিদিকী তাঁকে যেতে অনুরোধ করেছেন। হলদেটে কাগজটা নিয়ে তিনি চলে গেলেন। ঐ কাগজটাই ছিল ইপিআরের মাধ্যমে পাঠানো বংগবন্ধুর ওঅরলেস মেসেজ। তখন বলতাম-টেলিগ্রাম।...<br />
<br />
তক্ষুনি ডাঃ আনোয়ার আলী (বার্মায় নিযুক্ত পাকিস্তানের এক কালীন রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবর আলীর বড় ছেলে ) আর তাঁর স্ত্রী ডাঃ মন্জুলা আনোয়ার(সরকার)...<br />
<br />
বেতারে স্বাধীনতার ঘোষনা (যাদের ইচ্ছে "ঘোষনার" জায়গায় "পাঠ" পড়ার জন্যে সবিনয়ে অনুরোধ করছি)<br />
<br />
আশিকুল ভাই (ওয়াপদার ইনজিনিয়ার, ২৬ শে মার্চই তাকে শেষ দেখি) এর সাথে আমার দেখা হয়েছিল আমার স্নাইপটাকে খাবার দেবার পর পরই। উনি যাচ্ছিলেন কালুর ঘাট। ওঁর সাথে ডাঃ আনোয়ার আর ডাঃ মন্জুলা আনোয়ার(সরকারক) আর রেখা আপা (কাজী হোসনে আরা, রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রামের ঘোষিকা)কেও দেখেছি। <br />
<br />
২৬ তারিখ দুপুর থেকেই রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রাম খুলে রাখা হয়েছিল বাসার রেডিওগ্রামে ফুল ভল্যুমে। সারাদিন কিছু শুনেছি বলে মনে পড়ছেনা। সন্ধ্যার পর শুনতে পাই "স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র...."। কিছুক্ষন পর একটা ভারী গমগমে গলা সকালে দেখা আমার ইংরেজী টেলিগ্রামটির বাংলা অনুবাদ পড়ে শোনায়। কে পড়েছিল মনে নেই। পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনো মিহি সুরে, কখনো কাঁপা কাঁপা গলায় আবার কখনো বা "ভাইয়েরা আমার স্টাইলে" স্বাধীনতা ঘোষনার বাংলা অনুবাদ শুনে যেতে থাকি। ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পর প্রথম শুনি " I, Major Ziaur Rahman, on behalf of Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman..............." সবাই সেটা শুনেছেন, আগে আর পরে। আমার কাছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে শোনা ৮/১০টি স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্যে সেটাই সবচে' ইমপ্রেসিভ লেগেছিল। মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষনা শেষ হবার কিছুক্ষন পর এশার আজান শুনেছিলাম বলে স্পষ্ট মনে পড়ে।" <br />
<br />
<strong>এইবার কিছু ভিডিও </strong><br />
<br />
স্বাধীনতার বেতার ঘোষণা নিয়ে বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকার যেখানে ঐ সময়ের ঘটনা বর্নণা আছে। <br />
<br />
১ম পর্ব --- এই পর্বের বিবরণে ত্রিশোংকুর বলা ঘটনা গুলো পাওয়া যাত। ডাঃ আনোয়ার আলীর কথা, চিরকুট ইত্যাদি। <br />
<br />
<br />
<br />
২য় পর্ব <br />
<br />
<br />
<br />
৩য় পর্ব <br />
<br />
<br />
<br />
জিয়ার কন্ঠে ধারণকৃত , মুজিবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাসহ ভাষণ এবং বিদেশী পত্রিকায় খবর। <br />
<br />
<br />
<br />
জিয়ার সাক্ষাৎকারে ২৭শে মার্চ সন্ধ্যায় তার নিজের বেতার ঘোষণা পাঠের বিবরণ <br />
<br />
http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/29262817<br />
</div><br />
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বাংলাদেশ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>স্বাধীনতা</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>ঘোষণা</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বেতার</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>পাঠ</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>বেলাল</i></a>, <a class="afunct" href="" title="search the entire blog with this keyword"><i>মোহাম্মদ</i></a> ;</div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-41168611587027632372011-03-25T05:40:00.000+06:002011-03-25T05:40:47.049+06:00কবিতার কাছে ফেরা হয় না<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: left;">কবিতার কাছে ফেরা হয় না এখন </div><div style="text-align: left;">পরস্পর কাঠ বন্দী হয়ে জানালায় হয় না ফেরা </div><div style="text-align: left;">এখন রাত্রি জুড়ে বিষন্ন প্রাপ্ত মনস্কতা </div><div style="text-align: left;">ঘরে ফিরেছি বলে কবিতার কাছে ফেরা হয় না. </div><div style="text-align: left;"><br />
</div><div style="text-align: left;">যখন জীবন ছিল না</div><div style="text-align: left;">তখনও জীবনের কবিতায় লিখেছি </div><div style="text-align: left;">কথা ছিল , তিরিশের পরে ঘুমিয়ে যাব </div><div style="text-align: left;">আশৈশব কষ্টের খেরোখাতা বন্ধ করে </div><div style="text-align: left;">কথা ছিল, বিশ্রাম পাব </div><div style="text-align: left;">রোগ, ধর্ষণ , দূষণ ও দায়ের উপরে </div><div style="text-align: left;">অথবা সাড়ে ছয় হাত নিচে একটা ঘর হবে</div><div style="text-align: left;"><br />
</div><div style="text-align: left;">আমি আগে থেকেই পর </div><div style="text-align: left;">আমার নিজের বলে তো কিছু ছিল না কখনো </div><div style="text-align: left;">তাই মাটির ঘরের স্বপ্ন বিভোর এক দিগ্ভ্রান্ত বালিকা </div><div style="text-align: left;">তিরিশের পরে সমাপ্তির ছক একে রেখেছিল </div><div style="text-align: left;">বর্ণমালা যেমন বিসর্গের পরেই চন্দ্রবিন্দু !</div><div style="text-align: left;">ঘরের দরজায় এক ফোটা ঘুম , সে ঘরে যাওয়া হলো না. </div><div style="text-align: left;"><br />
</div><div style="text-align: left;">যখন নিশ্চিত ছিলাম , মরে যাচ্ছি, </div><div style="text-align: left;">তখন দিন রাত বেচে থাকার গল্প লিখেছি .</div><div style="text-align: left;">এখন জীবনের কাছেই দায়বদ্ধ </div>ইট কাঠ , সাবান, মসলা , হিসাব , পেশা<br />
আমার গান এখন পয়সায় বিকোয়<br />
আমার কবিতা পড়া হয় পয়লা বৈশাখে. <br />
<br />
ওগুলো বেচে ওঠার আগের কবিতা<br />
বেচে না উঠলে কি জানতে পেতাম?<br />
আমি কতটা মরতে পারি !<br />
<br />
একজন ফাসির আসামির কাছে জীবন বড্ড মধুর<br />
আমরা যারা বাচব বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি,<br />
তাদের সে বিলাসিতা কই? <br />
<br />
<br />
<br />
<br />
<br />
<br />
<br />
<br />
<br />
<div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"> </div><div style="text-align: left;"><br />
</div><div style="text-align: left;"><br />
</div></div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-6453960648458499932011-01-24T04:44:00.002+06:002011-01-24T04:49:44.404+06:00বাংলাদেশের খারাপ - ভালো খবর<div class="b_h2"><span style="color:#ff0000;">১৫ হাজার কোটি টাকা লুটেছেন আওয়ামী লীগ বিএনপির ১০-১৫ রাজনীতিক ব্যবসায়ী</span></div><br /><div class="b1">শেয়ার বাজারের লুটে নেয়া এই টাকা দেশে আর কোনদিন বিনিয়োগ হবে না<br /><br />-খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ<br /><br />০০ <span style="font-weight: bold; color: rgb(0, 0, 153);">ইত্তেফাক রিপোর্ট জানুয়ারি ২৩, ২০১১, রবিবার : ১০ মাঘ, ১৪১৭</span><br /><br />বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপির ১০/১৫জন ব্যবসায়ী রাজনীতিক শেয়ারবাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন। কিন্তু এই টাকাটা তারা আর কোন দিন বিনিয়োগ করবেন না। এই টাকাটা তারা মেরে দিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইত্তেফাককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। কিভাবে শেয়ারবাজারের এ লুটপাটটা হলো তা জানতে চাইলে তিনি বলেন,'আমার প্রশ্ন হলো, শেয়ারবাজারের যখন দাম বাড়লো তখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনলো। কিন্তু যখন দাম পড়ে গেল তখন টাকাটা কোথায় গেল? আমি বলবো, এই টাকাটা কয়েকজনের পকেটে চলে গেছে। লুটে নেয়া এই ১৫ হাজার কোটি টাকা দেশে আর কোনদিন বিনিয়োগ হবে না। আমি মনে করি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে শুধু একটি দলের লোক জড়িত নন। উভয় দলের লোকজন এখানে জড়িত। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও পুঁজিবাজারে তাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। বিরোধ হলো সংসদে গিয়ে।<br /><br />দেশের সাধারণ মানুষের টাকা একাট্টা হয়ে মেরে দিতে তাদের কোন অসুবিধা নেই।' খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আরো বলেন, আমি বলবো কোন কোন ক্ষেত্রে এসইসি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত। অথবা তাদের অসহায়ত্ব ছিল। তা না হলে এটি কিভাবে হলো। তাদের দায়িত্ব হলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। যখন সরকার থেকে শেয়ার ছাড়ার কথা ছিল সেটা করা গেল না। যেখানে শেয়ার কম সেখানে এতো টাকা বাজারে এলো কী করে? সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশনের (এসইসির) কাজ হলো বাজারে কোন সমস্যা হলে প্রয়োজনে বাজার কখনও টেনে ধরা কিংবা ছেড়ে দেয়া। কিন্তু এসইসি সেটা না করে বরং উল্টোটা করেছে। যখন টেনে ধরার দরকার ছিল তখন তারা দাম বাড়ায় সহায়তা করছে। না হলে বাজারে দাম বাড়লো কেন? শেয়ারবাজার সংশিস্নষ্টতায় সরকার মানে তো এসইসি, সরকার মানেতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন। এই কারসাজির জন্য এসইসিই দায়ি।<br /><br />তিনি বলেন, বাজার একবার উঠলে আবার পড়বে। এটাকে কারেকশন বললেও এটা কারেকশন না। কয়েকটি গ্রুপ রাতে বসে ঠিক করে আগামীকাল কোন্ শেয়ারের দাম বাড়বে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কি করার আছে! তবে এখানে এসইসির করণীয় আছে। কোন কোন শেয়ার যখন প্রিমিয়ামে বিক্রি হয়, সেখানে তারা অতিরিক্ত প্রিমিয়াম কেন দেয়? বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসি এ দু'টির আলাদা চার্টার আছে। তারা বিনা চার্টারে কাজ করে না। কার চার্টারে কি আছে সেটা দেখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে, আইন রয়েছে সেখানে কোথাও লেখা নেই যে স্টক মার্কেট বাংলাদেশ ব্যাংক দেখবে।<br /><br />বাজারের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি হতে পারে এমন প্রশ্ন অনেকেই করছেন। তবে বিরাজমান অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন পথ আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না। অস্বাভাবিক উত্থান হলে এভাবেই পতন হয়। তবে একটা পথ বলতে আমি বলবো এই অবস্থায় এসইসিকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করা না হলে শেয়ারবাজার ঠিক করা যাবে না। এখানে সৎ ও দক্ষ লোক বসিয়ে বাজার পরিচালনা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শোনা যায় শেয়ারবাজারের এই দরপতন সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সঠিক তথ্য দেয়নি।<br /><br />এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার এ সপ্তাহের মধ্যেই সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) রদবদল করছে।<br /><br />--------<br /><br /><span style="font-weight: bold; color: rgb(255, 0, 0);" >ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে খামারের মুরগি ও মাছের খাবার তৈরি</span><br /><br /><span style="font-weight: bold; color: rgb(0, 0, 153);">ইত্তেফাক রিপোর্ট জানুয়ারি ২৩, ২০১১, রবিবার : ১০ মাঘ, ১৪১৭</span><br /><br />আবুল খায়ের<br /><br />একশ্রেণীর অর্থলোভী ব্যবসায়ী ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে মুরগি ও মাছের খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে দেদারসে। মুরগি ও মাছের খামারে এই খাবার নিয়মিত খাওয়ানো হচ্ছে। এই বিষাক্ত ফিড খেলে মুরগি ও মাছ দ্রুত বড় হয়ে থাকে। ক্যান্সার ও কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরি ফিড বাজারে পাওয়া যায়। এই খাবার খেয়ে মুরগি বা মাছ বড় হলে এবং পরবতর্ীতে তা মানুষ খেলেও কোন ধরনের সমস্যা নেই। কিন্তু ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জর্্য দিয়ে তৈরি খাবার হাঁস-মুরগি খেলে মাংসে বিষাক্ত কেমিক্যাল থাকবে নিশ্চিত। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ক্রোমিয়াম রয়েছে এসব পোল্ট্রি ফিডে। এই ক্রোমিয়াম মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টিতে একশতভাগ সহায়তা করে থাকে। বর্তমানে শিশু থেকে তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ক্যান্সার ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার এটাই অন্যতম কারণ বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিমত ব্যক্ত করেন।<br /><br />ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, শুধু হাঁস-মুরগি নয়, একই বর্জ্য দিয়ে মাছের খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে। ওই খাবার খাওয়া মাছ খেলেও একই ধরনের ক্যান্সার হওয়ার আশংকা একশত ভাগ বলে বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন।<br /><br />গতকাল শনিবার সরেজমিনে হাজারীবাগ ট্যানারী এলাকা এবং ভেড়িবাঁধের পাশে শতাধিক কারখানায় বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে হাঁস-মুরগি এবং মাছের খাবার তৈরি করার দৃশ্য দেখা যায়। উৎপাদনকারী শ্রমিক ও ট্যানারীর মালিক এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে বর্জ্য দিয়ে যে প্রক্রিয়ায় হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির পুরা তথ্য জানান।<br /><br />বিষাক্ত কেমিক্যালের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়ায় কারখানার শ্রমিকরা নানা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কানে কম শোনে ও চোখে কম দেখে, সর্দি-কাঁশি ও নানা রোগ শরীরে লেগেই আছে। এমন তথ্য শ্রমিকরা জানান।<br /><br />শুধু শ্রমিকরা নয়, আশপাশের বাসিন্দারাও কেমিক্যালের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত। তারাও একই ধরনের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাদের বাসাবাড়িতে রক্ষিত স্বর্ণালংকারের রং পরিবর্তন ও ব্যবহূত নানা জিনিসপত্র দ্রুত ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এসবই বিষাক্ত কেমিক্যালের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়ার কুফল বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।<br /><br />ট্যানারীর দুই মালিক জানান, কাঁচা চামড়াকে প্রক্রিয়াজাতকরণে ক্রোমিয়াম, চুনা, সোডিয়াম সালফাইড, সালফিউরিক এসিড, ফরমিক এসিড ও সোডিয়াম ফরমেটসহ নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণ ও যাতে ঐ চামড়া ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত না হয়, সেইজন্য অন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কেমিক্যাল ট্যানারীর বর্জ্যে থাকা একশতভাগ নিশ্চিত। এই বর্জ্য হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার উৎপাদনকারী এবং সাবান তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ নিয়মিত ট্যানারী থেকে ক্রয় করে নিচ্ছে বলে তারা জানান।<br /><br />বর্জ্য ছাড়াও বিষাক্ত ভুষি ট্যানারী থেকে সংগ্রহ করা হয়। শুকনা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ভুষি বের হয়। এটা দিয়ে সহজে মুরগির খাবার তৈরি করা হয়। পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্য স্বল্প মূল্যে ট্যানারি থেকে এই বিষাক্ত বর্জ্য ক্রয় করা হয়ে থাকে।<br /><br />শ্রমিক শওকত, আলম, হানিফ, কমলা বেগম, আবুল বাসার, মোতালেব, সোহেল, আসমা বেগম ও দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিন প্রত্যেকটি কারখানার জন্য ৫/৬টি গাড়ি করে বর্জ্য বিভিন্ন ট্যানারি থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তারা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিন শতাধিক কারখানার জন্য ট্যানারী থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করেন। এই বর্জ্য শুকিয়ে বস্তাজাত করা হয়। ট্রাকভর্তি করে প্রতিদিন পোল্ট্রি ফার্ম কিংবা মাছের খামারের মালিকগণ এই খাবার ক্রয় করে নিয়ে যায়।<br /><br />নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কারখানার মালিক বলেন, ভাল পোল্ট্রি ফিড (বিজ্ঞানসম্মতভাবে) তৈরি প্রতিকেজি প্রায় ৫০ টাকা এবং ট্যানারী বর্জ্য দিয়ে তৈরি পোল্ট্রি ফিড প্রতি কেজির মূল্য মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকা। এই বর্জ্যের ফিড ফার্মের হাঁস-মুরগি কিংবা চাষ করা মাছকে খাওয়ালে দ্রুত বেড় উঠে। অধিক মুনাফার লোভে এই জঘন্য কাজ পোল্ট্রি ফার্ম ও মাছের খামার মালিকগণ বছরের পর বছর করে যাচ্ছেন। ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিষাক্ত বর্জ্য সংগ্রহ করে তারা পোল্ট্রি ফিড তৈরি করছেন বলে জানান।<br /><br />ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসেন বলেন, বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে উৎপাদিত পোল্ট্রি ফিড খামারের হাঁস-মুরগি ও মাছকে খাওয়ালে সেইগুলোর দেহে বিষাক্ত কেমিক্যাল ক্রোমিয়াম সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। এই সকল হাঁস-মুরগি ও মাছ মানুষ খেলে লিভার, পাকস্থলীসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।<br /><br />পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মনোয়ার ইসলাম বলেন, বিষাক্ত বর্জ্য থেকে পোল্ট্রি ফিড তৈরিকালে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। ইতিপূর্বে পরিবেশ ও মানব দেহের জন্য এই সকল ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা বন্ধ করা হয়েছিল। এবারও কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।<br /><br />ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিলুফার নাহার ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হাসনাত বলেন, হাঁস-মুরগি ও মাছের খামারের জন্য কত ধরনের বিজ্ঞানসম্মত তৈরি খাবার রয়েছে। তা নিয়মিত খাওয়ালে মানবদেহে কোন ঝুঁকি নেই। জেনে-শুনে অধিক মুনাফার লোভে এবং পোল্ট্রি ফার্ম ধ্বংস করার জন্য বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে উৎপাদিত পোল্ট্রি ফিড ব্যবহার করা হচ্ছে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জাতি ধ্বংসের এই ব্যবসা বন্ধ করে অন্য উপায় বেছে নেয়ার জন্য তারা আহ্বান জানিয়েছেন।<br /><br />-------<br /><br /><h3 class="shoulder"><span style="color: rgb(0, 102, 0);">শনিবারের বিশেষ প্রতিবেদন প্রথম আলো </span><br /></h3> <h2 style="color: rgb(255, 0, 0);" class="title mb10">একদল তরুণের স্বপ্নযাত্রা</h2> <p class="authorInfo mb10">অরুণ কর্মকার, রশীদপুর (মৌলভীবাজার) থেকে ফিরে | <i>তারিখ: ২২-০১-২০১১</i></p><p class="authorInfo mb10"><br /></p><p class="authorInfo mb10">তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করছেন একদল তরুণ পেশাজীবী। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রিধারী এই তরুণ দলের গড় বয়স ৩০-এর কিছু বেশি। তাঁরা রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের কর্মকর্তা ও ভূকম্পন জরিপ দলের সদস্য। মৌলভীবাজারের রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করছেন তাঁরা।<br />জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জরিপের মাধ্যমে বাপেক্সের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। কারণ, এ কাজের জন্য যে প্রযুক্তি ও দক্ষতা দরকার, তা আন্তর্জাতিক মানের। এর মাধ্যমে বাপেক্স স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের উচ্চমান ও সামর্থ্য অর্জন করছে।<br />বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেসব ক্ষেত্রের বিশেষ কোনো অর্জন দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানের আসনে বসাতে পারে, ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ এর একটি। এ দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ১০০ বছরের ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় কোম্পানির পরিচালিত ত্রিমাত্রিক জরিপ এই প্রথম।<br />এ কাজে উপগ্রহভিত্তিক ‘ট্র্যাকিং সিস্টেম’ (পৃথিবীর অবস্থান সাপেক্ষে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো স্থান নির্ধারণের পদ্ধতি) থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ভূগর্ভে ডিনামাইট ফাটিয়ে শব্দসংকেতের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে ৩২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রের আট কিলোমিটার (আট হাজার মিটার) গভীরের প্রতি ইঞ্চি জায়গার তথ্য। এটি এতই নিবিড় অনুসন্ধান জরিপ, যাতে ভূগর্ভের একেকটি জায়গার তথ্য ৪৮ বার করে সংগৃহীত হবে।<br />এর আগে দেশে মাত্র পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে (বিবিয়ানা, ছাতক, বাঙ্গুরা, ফেনী ও সাগরবক্ষের মগনামা) ত্রিমাত্রিক জরিপ করা হয়েছে। ওই ক্ষেত্রগুলো উৎপাদন অংশীদারি চুক্তির (পিএসসি) ভিত্তিতে পরিচালনা করছে বিদেশি কোম্পানি (আইওসি)। তবে এসব জরিপে ছয় হাজার মিটারের বেশি গভীরতার তথ্য সংগৃহীত হয়নি।<br />রশীদপুরে বাপেক্সের তরুণ দলের কাজের পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা ও মান সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই জরিপকাজ পরিদর্শন করে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কাজ বাপেক্সকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিচ্ছে। বাপেক্সের ওই অনুসন্ধানী দল দেশের বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর প্রকৃত মজুদের চিত্র আরও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে আনতে পারবে। এরপর দেশের স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানির দরকার হবে না। বরং বিদেশি কোম্পানির হয়েও বাপেক্সই ত্রিমাত্রিক জরিপ করে দিতে পারবে।<br />রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেন, ‘ত্রিমাত্রিক জরিপ, অনুসন্ধান কূপ খনন, পুরোনো কূপের সংস্কার (ওয়ার্কওভার) প্রভৃতিসহ বাপেক্সের কাজের যে ধারা আমরা লক্ষ করছি, তাতে শিগগিরই এটি একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হতে পারবে। এর জন্য সরকারি যে সহায়তা দরকার, তা দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে পাওয়া গেছে। দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ যথাসম্ভব দ্রুততর করা হচ্ছে।’<br />রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্র: মৌলভীবাজার জেলার এই গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান ঢাকা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এটি রাষ্ট্রীয় খাতের সেই পাঁচটি পুরোনো গ্যাসক্ষেত্রের একটি, যেগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে মাত্র ৪৫ লাখ পাউন্ডে কিনে রেখেছিলেন আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেল অয়েলের কাছ থেকে। ক্ষেত্রটি এখন পরিচালনা করছে পেট্রোবাংলার অন্যতম প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফএল)।<br />রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৬০ সালে আবিষ্কার করে তৎকালীন পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি। তখন ওই ক্ষেত্রে গ্যাসের মোট মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ দশমিক ০০১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এর মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুদ নির্ধারণ করা হয় ১ দশমিক ৪০১ টিসিএফ। ক্ষেত্রটিতে এখন পর্যন্ত সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে, যার পাঁচটি থেকে বর্তমানে গ্যাস তোলা হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ কোটি (৫০ মিলিয়ন) ঘনফুট করে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস তোলা হয়েছে প্রায় ৪৭০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। উত্তোলনযোগ্য মজুদ অবশিষ্ট আছে ৯৩০ দশমিক ৫৯ বিসিএফের মতো। এই গ্যাসক্ষেত্রে আরেকটি নতুন কূপ খনন এবং পুরোনো একটি কূপ সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে।<br />ত্রিমাত্রিক জরিপ কেন: ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মূল উদ্দেশ্য কোনো ক্ষেত্রে গ্যাসের প্রকৃত মজুদ নির্ণয় এবং ভূগর্ভের গ্যাসসমৃদ্ধ বালু ও স্থানগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা। ত্রিমাত্রিক জরিপের ফলে একদিকে যেমন দেশে গ্যাসের প্রকৃত মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে, তেমনই গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উন্নয়ন কূপ খননের ক্ষেত্রে কোনো কূপ গ্যাসশূন্য (ড্রাই হোল) পাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।<br />কিন্তু প্রযুক্তির অভাব ও আর্থিক দৈনতার কারণে এর আগে রাষ্ট্রীয় কোনো গ্যাসক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করা যায়নি। রশীদপুরে বাপেক্সের পরিচালিত জরিপে ২৯ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ কিলোমিটার প্রস্থ ভূ-কাঠামোর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এরপর এই তরুণ দল একে একে আরও চারটি ক্ষেত্রে (কৈলাশটিলা, হরিপুর, বাখরাবাদ ও তিতাস) ত্রিমাত্রিক জরিপ চালাবে।<br />এই জরিপে রশীদপুর ক্ষেত্রের নতুন কী তথ্য জানার সম্ভাবনা রয়েছে, জানতে চাইলে জরিপ দলের প্রধান (ভূকম্পন জরিপের ভাষায় ‘পার্টি চিফ’) মেহেরুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ভূ-কাঠামোটির অবস্থান ভূগর্ভের একটি চ্যুতির দুই পাশজুড়ে। কিন্তু শুরুতে যে জরিপ হয়েছে, তাতে এক পাশের তথ্য আছে। এখন সম্পূর্ণ কাঠামোটি জরিপের আওতায় আসায় পুরো ক্ষেত্রটির প্রকৃত মজুদ এবং ঠিক কোন জায়গায় কূপ খনন করলে গ্যাস পাওয়া নিশ্চিত হবে, তা জানা যাবে।<br />কীভাবে করা হয়: ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ প্রকল্পে বাপেক্সের পক্ষ থেকে নিযুক্ত পরিচালক আনোয়ারুর রহমান বলেন, কারিগরি ও ব্যবস্থাপনাগত দিক দিয়ে এই জরিপ এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। রশীদপুরে এই কর্মযজ্ঞ সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে।<br />সরেজমিন রশীদপুর পরিদর্শনের সময় বাপেক্সের জরিপ দলের কর্মকর্তারা জানান, জরিপের প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে উপগ্রহভিত্তিক ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ও এর শব্দসংকেত থেকে পাওয়া তথ্য সংগ্রহের জন্য জিওফোন স্থাপনের সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা; বিস্ফোরক স্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে ১২ মিটার গভীর (রশীদপুর ক্ষেত্রের জন্য নির্ধারিত) গর্ত করা; সেখানে ৫০ মিটার পর পর বিস্ফোরক স্থাপন ও বিস্ফোরণ ঘটানো; ওই বিস্ফোরণের শব্দসংকেতের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ৫০ মিটার পর পর রেকর্ড করা; কম্পিউটারে সেই তথ্যের মান যাচাই; প্রয়োজনে নতুন করে কোনো স্থানের তথ্য সংগ্রহ ও পুনরায় তা যাচাই করা এবং সবশেষে ওই তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো।<br />১৪ সদস্যের তরুণ বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তার দলটি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করলেও প্রতিটি উপাদানের জন্য রয়েছে আলাদা কর্মী দল। রশীদপুরে এই কর্মী দলের সদস্যসংখ্যা এক হাজার ২৪২ জন। অবশ্য মূল প্রকল্প প্রস্তাবে এই সংখ্যা নির্ধারিত ছিল প্রায় দুই হাজার ৩০০ জন। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে লোকবল কমানো হয়েছে। এতে কর্মীদের সবাইকে অনেক বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে।<br />মার্কিন সেনাবাহিনীর অনুমতি: ত্রিমাত্রিক জরিপের প্রথম ধাপ পৃথিবীর অবস্থান সাপেক্ষে রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান নির্ণয় করা। এর জন্য এবং পরে তথ্য সংগ্রহের জন্য ক্ষেত্রটির কোথায় কোথায় বিস্ফোরক ও জিওফোন বসাতে হবে, তা নির্ধারণের জন্য উপগ্রহভিত্তিক ‘ট্র্যাকিং সিস্টেম’ ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু জাতিসংঘের অনুমোদন নিয়ে এই পদ্ধতি পৃথিবীব্যাপী তৈরি করে রেখেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই তারা পৃথিবীর যেকোনো লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। বাংলাদেশেও এ রকম ৪০টি পয়েন্ট রয়েছে, যেখানে ‘রিয়াল টাইম কিনেমেটিকস (আরটিকে)’ নামক যন্ত্র স্থাপন করে পৃথিবীর অবস্থান সাপেক্ষে যেকোনো স্থান নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা যায়।<br />তবে এসব পয়েন্ট ব্যবহার করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীর অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। তারা অনুমোদন দিলেই শুধু উপগ্রহ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য আরটিকেতে আসবে। পরে ওই তথ্য ব্যবহার করে স্থান নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণত তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মার্কিন সেনাবাহিনী এই অনুমোদন দেয়। তবে শর্তও দিয়ে দেয় যে এই পদ্ধতি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।<br />কাজ শুরু হয় গত বছর: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক জরিপের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৬ সালে। ২০১০ সালে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্প অনুমোদন, সংশোধন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণসহায়তা গ্রহণ প্রভৃতি কারণে এই কাজ শুরু হয় গত বছরের মে মাসে। কিন্তু বর্ষাকাল হওয়ায় মাঠপর্যায়ে এই কাজের উপযুক্ত সময় সেটি ছিল না। তার পরও ৫৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তখনই জরিপ সম্পন্ন করা হয়। এরপর বিরতি শেষে গত বছরের ৫ অক্টোবর পুনরায় কাজ শুরু হয়।<br />শুরুতে উপগ্রহভিত্তিক ‘ট্র্যাকিং সিস্টেম’ ব্যবহার করে রশীদপুর গ্যাসক্ষেত্রের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এর পাশাপাশি চলতে থাকে বিস্ফোরক আমদানি ও সংরক্ষণের জায়গা (পিট ম্যাগাজিন) তৈরির কাজ। এরপর ক্ষেত্রটির মাঠপর্যায়ে পাশাপাশি চলতে থাকে সার্ভে অর্থাৎ কোথায় কোথায় গর্ত করে বিস্ফোরক বসানো হবে, কোথায়ই বা বসানো হবে জিওফোন।<br />সার্ভে অনুযায়ী প্রতিটি পয়েন্টে ১২ মিটার গভীর করে প্রতিদিন প্রায় ২০০ গর্ত করে ‘ড্রিলিং টিম’। ওই গর্তে বিস্ফোরক স্থাপন করে ‘লোডিং টিম’। এলাকাভেদে আধা কেজি থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক স্থাপন করা হয়। ‘শ্যুটিং টিম’ বিস্ফোরক স্থাপন ঠিকমতো হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে বেতারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ‘রেকর্ডিং ওয়াগন’-এর সঙ্গে।<br />এই রেকর্ডিং ওয়াগনটি স্থাপন করা হয় জরিপ এলাকার ঠিক মধ্যস্থানে। জরিপের কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এই ওয়াগনের অবস্থানও বদলায়। সেখানে সর্বাধুনিক সফটওয়্যার-সমৃদ্ধ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন দুজন তরুণ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা রেডিও সংকেতের মাধ্যমে নির্দেশ দিলে শ্যুটিং টিম একেকটি স্থানে বিস্ফোরণ ঘটায়। একেকটি বিস্ফোরণের শব্দতরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে ভূগর্ভের আট কিলোমিটার গভীরে এবং চারপাশের নির্দিষ্ট এলাকায়। একেকটি বিস্ফোরণের শব্দতরঙ্গ মোট এক হাজার ৪৪০টি চ্যানেলের মাধ্যমে তথ্যসংকেত পৌঁছে দেয় জিওফোন বা রিসিভিং পয়েন্টে।<br />এই পুরো প্রক্রিয়াটি রেকর্ডিং ওয়াগনে বসে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেখানে তথ্য সন্নিবেশিত হয়। এই তথ্য পাঠানো হয় বেইজ ক্যাম্প-১-এ। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসজ্জিত ওই ক্যাম্পে রাতভর চলে তথ্যের মান যাচাই। তাতে কোনো তথ্যের মান খারাপ দেখা গেলে সেখানে আবার পরদিন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নতুন করে তথ্য নেওয়া হয়। আর সব ঠিক থাকলে ওই তথ্য ঢাকার বিশ্লেষণ কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়।<br />সাড়ে ২৮ মানবমাসের পরামর্শক: পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রের মোট এক হাজার ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানোর জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে ১৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া আরও ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে, যারা পাঁচটি ক্ষেত্রের জন্য মোট সাড়ে ২৮ মানবমাস (একজন মানুষের সাড়ে ২৮ মাস কাজ করার সমান) কাজ করে দেবে। সিজিজি ভেরিতাস নামক ওই প্রতিষ্ঠানের কেউ বাংলাদেশে থাকেন না। কোনো করিগরি বিষয়ে সন্দেহ বা অস্পষ্টতা দেখা দিলেই শুধু তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হয়।<br />আইওসি ছেড়ে বাপেক্সে: এই জরিপ দলের ‘পার্টি চিফ’ মেহেরুল হোসেন ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর বিদেশি কোম্পানিতে (আইওসি) কাজ শুরু করেন এবং আইওসিদের পরিচালিত চারটি ত্রিমাত্রিক জরিপে অংশ নেন। অনেকে যেখানে দেশীয় কোম্পানি ছেড়ে আইওসির চাকরি নেন, সেখানে তিনি আইওসির চাকরি ছেড়ে দেশীয় কোম্পানিতে এলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর চাকরি করার পর আমার বাবা বললেন, বিদেশি কোম্পানির জন্য অনেক কাজ করেছ। এখন দেশের জন্য কিছু করো। তাই বাপেক্সে চাকরি নিয়েছি।’<br />মেহেরুল বলেন, তিনি মনে করেন, তাঁর বাবার প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। এই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনার জন্য কাজ করতে হবে তাঁদের প্রজন্মকে। মেহেরুলের বাবা মো. আবু বকর হাওলাদার ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বরিশালের কামারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি।<br />মেহেরুলের নেতৃত্বাধীন জরিপ দলের সদস্যরা বলেন, তাঁদের স্বপ্ন হচ্ছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দেশকে স্বয়ম্ভর করে তোলা। শুধু স্থলভাগে নয়, তাঁরা সমুদ্রবক্ষেও ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানোর স্বপ্ন দেখেন।<br />এরপর কৈলাশটিলা: রশীদপুরে জরিপের কাজ শেষ পর্যায়ে। সেখানে মোট ১৮ হাজার ৮১৬টির মধ্যে সাড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে গেছে। ২১ হাজার ৭৮০টির মধ্যে সাড়ে ২১ হাজারের বেশি জিওফোন পয়েন্টে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করাও শেষ। এরপর জরিপ শুরু হবে সিলেটের কৈলাশটিলা ক্ষেত্রে। চলতি শুকনো মৌসুমের মধ্যেই যাতে কৈলাশটিলার জরিপও শেষ করা যায়, সেই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি চলছে।<br />সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির পক্ষ থেকে নিযুক্ত এই জরিপের প্রকল্প পরিচালক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, একটি মৌসুমে দুটি ক্ষেত্রের জরিপ শেষ করতে পারলে তা হবে আরেকটি নতুন ইতিহাস। </p><br /><br /><br /></div>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-81820437665993382292009-12-04T04:50:00.002+07:002009-12-04T04:52:59.824+07:00তালিকা , সাধের বাংলাদেশ ও বছর শেষের ভাগাংক<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjCnTcG_F4Es-l4o8TeUKRZpUUCQrR91XWBLDjcfz1VBnX49C28PnHcCSpAD5qpvtFXXexRw_igRTXP-HgWaxsgVhspkWS-IkZ5Wc9HYcdhNOPxzQHWoBOdUtGVDaQ-ZmPGjxXg3dnMvM4/s1600-h/Bicharpoti+Tomar+Bichar.GIF"><img style="margin: 0pt 10px 10px 0pt; float: left; cursor: pointer; width: 264px; height: 320px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjCnTcG_F4Es-l4o8TeUKRZpUUCQrR91XWBLDjcfz1VBnX49C28PnHcCSpAD5qpvtFXXexRw_igRTXP-HgWaxsgVhspkWS-IkZ5Wc9HYcdhNOPxzQHWoBOdUtGVDaQ-ZmPGjxXg3dnMvM4/s320/Bicharpoti+Tomar+Bichar.GIF" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5411131190941197298" border="0" /></a><br />বছর শেষ হয়ে আসছে । নির্বাচনের এক বছরের হিসাব নিকাশ ও চলছে । ব্লগেও নানা রকমের তুলনা, তালিকা , প্রিয় - অপ্রিয় লিস্ট বানানো শুরু হয়ে গেছে । নেহায়েত মজা করেই করছেন ভাগাভাগি হয়ত , আস্তিক - নাস্তিক ভাগ, পুরুষ নারীতে ভাগ, বরিশাল-নোয়াখালী-কুমিল্লা - চট্টলা বনাম বাকি বাংলাদেশ ভাগ, বুয়েট - নন বুয়েট ভাগ, পাবলিক - প্রাইভেট বিদ্যালয় ভাগ, বিবাহিত - অবিবাহিত ভাগ, ভাড়াটিয়া - বাড়ির মালিক ভাগ; এই তালিকা দীর্ঘ হতে হতে আসমান ফুঁড়ে যাবে ! <strong>বাঙ্গালী যোগে -গুণে পিছিয়ে থাকলেও ভাগে অনেক এগিয়ে গেছে নিঃসন্দেহে । আর মাইনাস তো ব্লগ ও বাস্তব - দুই জীবনের রাজনীতিতেই বিশেষ মশহুর! </strong><br /><br /><u> <strong>আমি যেই তালিকা গুলো প্রতিটা বছর শেষে দেখতে চাই! </strong></u><br /><br />১। বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা কে কার সাথে " ব্যবসা" , " আত্মীয়তা" , " রক্তের সম্পর্ক" সূত্রে আবদ্ধ । নাম ও আবদ্ধতার তরিকা সহকারে ।<br /><br />২। প্রতিটা নেতা নেত্রীর ছেলে মেয়ে কে কোথায় পড়ে বা কাজ করে কিংবা কার সাথে সংসার করে ।<br /><br />৩। নির্বাচিত প্রতিটা জনপ্রতিনিধির প্রত্যেকে প্রতি মাসে বাংলাদেশের জনগণের রক্ত জল করা ট্যাক্সের টাকার কি পরিমাণ বিভিন্ন সরকারী অফিস , সংসদ , সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি) ইত্যাদির মাধ্যমে ভোগ করেছেন । কত টাকা বিল বাকি রেখে সটকেছেন। অতীত , বর্তমান মিলিয়েই সন্নিবেশ করতে পারেন। বর্তমান ( আওয়ামী লীগ) হইলে আরো ভালো ।<br /><br /><u>এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে , আমি এই রকম তালিকা কিংবা প্রোফাইল বানানোর কথা কেন ভাবছি?<br /></u><br />উত্তরটা হলো বাংলাদেশে নানান তেলেস্মাতি হয় । বেশির ভাগ সময় " সত্যি সেলুকাস" বলা ছাড়া আমরা কিছুই করি না বা করার সুযোগ থাকে না ।<br /><br />যেমন একটা উদাহরণ দেইঃ দেখলাম ৩৪৫ টা গাড়ির জন্য ৭০০ কোটি টাকা খরচের কথা । এইটা দিয়ে একটা নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায় হয়ত । যেইটা দেশের মানুষের জন্য অনেক বেশি দরকারী । ১০০০ মানুষ জলে ডুবে , ১০০০ টা পরিবার ঈদের আনন্দের সময় স্বজন হারিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন , ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেলো। রাস্তায় কত কিছু নিয়ে মিছিল হয়। বাঁধের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয় । কিন্তু রক্ত পানি করা ট্যাক্সের টাকার ৭০০ কোটি যখন জনপ্রতিনিধিদের বিলাসের পেছনে ব্যয় করার কথা ওঠে, যখন ৫০ হাজার স্বজন কবরে কবরে , শ্মশানে শ্মশানে বুক চাপড়ায় তখন কেন মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ , মানব বন্ধন , ভাঙচুর হয় না?<br /><br />ঐ ৭০০ কোটি টাকাটা তো আপনার আমার রক্ত পানি করা ট্যাক্সের টাকা !<br />ঐ ১০০০ মানুষ তো আপনার আমার আত্মীয় !<br /><br />হয় না কারন আমরা এত দিনে জেনে গেছি, বুঝে গেছি , আমাদের ব্রেইন এই কথা দিয়ে ওয়াশ করা হয়ে গেছে যে আমরা যতই চেচাই আর লাফাই আর ভাংচুর করি না কেন , আমার রক্ত বেচা টাকা দিয়ে গাড়িই কেনা হবে। আমাদের স্বজনেরা আল্লাহর মাল হয়ে ডুবে ভেসে যাবে , আর আমরা হাত কামড়ে - বুক চাপড়ে বিনা প্রতিবাদে গুমরে যাবো। কিন্তু কেন? <strong>আপনি কি বোঝেন , " কিছু করার নেই" কথাটা যেদিন থেকে ভাবতে শিখেছি , সেই মুহুর্ত থেকে ওরা জিতে গেছে? </strong><br /><br />বিচ্ছিন্ন ভাবে খবরে, ব্লগে ও অন্যান্য মাধ্যমে এই তেলেসমাতির প্রমান গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে যায় । এক সাথে পাই না । অনেকের চোখ এড়িয়ে যায় বলে আমরা কেউ কেউ জানিও না ।<strong>উদাহরণঃ টাল দেলোয়ারের পায়জামা খুলে যাওয়ার কথা আমরা যতজন জানি, ততজন কি জানি তার দুইবাসার বাজার খরচ সংসদের অফিসিয়াল বিল থেকে করা হয়েছে চীফ হুইপ থাকা কালে? আমরা কয়জন জানি এক মাসে দেলোয়ার ৭৪০ টি এসি আই এরোসল স্প্রের বিল করেছেন তার অফিস ঘরের জন্য?</strong> কিছু করতে পারবো না ভেবে জানার আগ্রহও প্রকাশ করি না । কিন্তু , ৫ বছরে অন্তত একবার কিছু একটা করার সুযোগ আমাদের জীবনে কিন্তু আসে!দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতা নাই বললেই চলে । একটাই অস্ত্র এখনো হাতে রয়ে গেছে আর তা হলো , "ভোট"। কিন্তু সেই ভোটটাও মোটামুটি অকার্যকর করে রাখা হয়েছে । ( যারা দাঁড়ায় তারা সবাই খারাপ হলে ভোট আর দিব কারে?) তাই প্রায়শই শুনি ( আমার নিজেরও একই অবস্থা ) , ভোট দিয়ে কি হবে? ভোটার হয়ে কি হবে? কাকে ভোট দিব?<br /><br />আমি ১০১% নিশ্চিত , এই অনুভূতির আরো খারাপ রুপ দেখবো ২০১৩ সালে । কিন্তু আমরা ভোটার হওয়া বন্ধ করলেই , ভোট দেওয়া বন্ধ করলেই কি প্রলয় বন্ধ হবে? কিছু না করে ঘরে বসে থাকলে অবস্থা কি আরো খারাপের দিকেই যাবে না? কয়জনের সুযোগ আছে দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাবার? অভিবাসী হওয়াটাই কি সমাধান?<br /><br /><strong>সম্ভাব্য সমাধানঃ </strong><br /><br />সত্যি কথা বলতে কি , বাংলাদেশের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তপনা ঢুকিয়ে মসল্লা সহকারে মাখিয়ে তরকারি বানানো হয়েছে । অবস্থা এমনই<br />হয়েছে যে আমাদের শুধু বড় বড় দুর্নীতি গুলাই চোখে পড়ে , বিবেকে ধাক্কায় , ছোট খাট চুরি, চামারি, ঘুষ , মিথ্যাচার এখন আর গায়ে লাগে না । ( ঘুষ দিয়ে ফাইল ছাড়ানো, বিশেষ সুবিধা নেওয়া, বয়স কমিয়ে সার্টিফিকেট নেওয়া, তদবির করে কাজ আদায়, ডোনেশন দিয়ে মেডিকেল ভর্তি , মিথ্যা যোগ্যতা ও পরিচয় দিয়ে প্রেম আদায় ইত্যাদি) । তাই হঠাৎ করে একদিন সবাই সৎ হয়ে যাওয়া কিংবা দেশ বদলে ফেলা অথবা নেতানেত্রী বদলে ফেলা সম্ভব হবে না । তবে কাজটা এখন শুরু করলে বেঁচে থাকতে থাকতেই এই দেশের পরিবর্তন দেখে যাওয়া সম্ভব!<br /><br />শুরুতে আমরা আমাদের সকল নেতা নেত্রির প্রোফাইল এই ইন্টারনেটে সন্নিবেশ করতে পারি। নির্বাচন কমিশন জীবনেও করবে না । আমাদেরকেই করতে হবে । কাদের হাতে বার বার আমার জীবন , আমার টাকা পয়সা , আমার রক্তার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব তুলে দিচ্ছি তা আমাদের নিজেদের তাগিদেই জানা দরকার । পত্রিকার পয়সা দিয়ে প্রকাশিত " রাজনৈতিক জীবন " এর বাইরে , সম্পূর্ণ ও সত্য প্রোফাইল জানা ও জানানো দরকার ।<br /><br />দয়া করে বলবেন না , এই লিস্টি করে কি হবে ! মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল একাট্টা করার সময়েও এই ধরনের অনেক কথা বলে অনেকেই দায় দায়িত্ব এড়াতে চায়, বলে , এই সব করে কি হবে? বিচার তো আর হবে না ! কথা হলো , বিচার আমরাই করবো , আজ নয়ত কাল । <u>প্রমান গুলা এক সাথে না করলে বিচারের সুযোগ এলেই বা কি হবে? আমরা কি কিছু করতে পারবো? </u> যুদ্ধাপরাধীদের লিস্টের চেয়ে এই লিস্টও কম গুরুত্বপূর্ণ না । একদল ১৯৭১ এ মেরেছিলো , আরেক দল এখনো আমাদের মেরে চলেছে।<br /><br />আগামী নির্বাচনে কি হবে সেইটা এখন থেকেই ঠিক করা দরকার । ৪ বছর আসলে খুব কম সময়! রাজনীতিবিদেরা পরিবর্তন আনে না । সেই আদিকাল থেকে দুই পয়সার মানুষেরাই যুথবদ্ধ হয়ে নিজেদের তাগিদে পরিবর্তন আনে । তাই দুই পয়সার মানুষের উপরেই আমার ভরসা ১০০%।<br /><br />আমি কি আপনাদের সাথে পাব? কত শত মানুষ এই ব্লগে আসেন আর বাংলাদেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন, তাদের ঐ ইচ্ছাগুলোকে কাজে পরিণত করার এই উদ্যোগে কি আপনি সাড়া দেবেন?<br /><br />বাংলা ব্লগিং সাইট হয়েছে কয়েকটা । ব্যক্তিগত ব্লগ তো আগেই ভুরি ভুরি। তার মানে লেখালেখির পিছনে অনেকেই সময়, শ্রম, ও টাকা ঢালছেন । আমি জানি এইটা একটা বিশাল প্রজেক্ট হবে । অনেকটা উইকিপিডিয়ার মত। কিন্তু এর উপরে আমাদের জীবন মরণ নির্ভর করছে । নির্ভর করছে ১৫ কোটি মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রনকারী নানা সিদ্ধান্ত । যেই ৬০ টা মানুষ এই ১৫ কোটি মানুষের জীবনকে যাচ্ছেতাই করে চালাচ্ছে , যেই ৩০০টা মানুষ ১৫ কোটি মানুষের ইচ্ছে অনিচ্ছের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছা অনিচ্ছা চাপিয়ে দিচ্ছে বারে বার , তাদের সম্পর্কে একটা স্থায়ী দলিল কি আমাদের হাতের নাগালে থাকা উচিত নয়?<br /><br />সব কয়টা ব্লগ মিলিয়ে যদি ৬০০০ ব্লগারও থাকে , তার ভিতরে ৬০০ ব্লগারও যদি মাঝে মাঝে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন , তাহলেও ৩০০ ( সংসদের ৩০০ আসন) এলাকার রাজনীতিবিদদের পরিচয় তুলে ধরা সম্ভব।<br /><br />আমি শুধু প্রয়োজনের কথাটা বললাম । এর টেকনিকাল দিক, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের দিক গুলো আপনাদের আলোচনার উপরে ছেড়ে দিলাম। আপনি কি ভাবছেন?<br /><br /><strong>এই তালিকা করে কি হবে আসলে? </strong><br /><br />এইটা আসলে প্রথম ধাপ । একটা দেশের মাথা নষ্ট হইলে হাত পায়ের চিকিৎসা করে কোন কাজে আসে না। সুতরাং মাথা গুলা আগে ভালো হওয়া দরকার । আমরা ভোট দিয়ে দিয়ে এই যে প্রতিবার নষ্ট, পঁচা কতগুলা দালাল নিয়ে মাথায় বসাই, সেইটা সবার আগে বন্ধ হওয়া দরকার । এই বন্ধ করার প্রথম ধাপ হলো কাদের ভোট দেব আর কাদের দেব না এইটা বুঝার জন্য রাজনীতিবিদদের সঠিক পরিচয়টা জানা দরকার । আমি নিজে সবাইরে চিনি না । আপনি কি আপনার এলাকার নেতাগুলারে চিনেন ?<br /><br />হঠাৎ করে ভোটের আগে চার রঙা পোস্টারে আমি তাদের চিনতে চাই না । আমি এখন থেকেই চিনতে চাই , জানতে চাই , ২০১৩ সালে কারা দাঁড়াবে ভোটে । অবশ্য তার আগেও অনেক মেয়র, ইউনিয়ন , হ্যান ত্যান নানা কিসিমের ভোট ও আছে ।<br /><br />কারে দিব না , এইটা জানা তো যথেষ্ট না , কারে দিব , এইটা জানাও জরুরী । এইটা আসছে ২য় পর্বে । এইটাই <strong>পরের , দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ </strong>ধাপ।The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-90529868454065233842008-02-08T02:47:00.000+06:002008-02-08T02:50:54.988+06:00অতঃপরঅতঃপর তাকে বলা হলো নিরব হতে<br />মাটি কখনো বলে না কথা<br />এমন কি শহীদের রক্ত ও সেখানে ঘাসে চাপা<br />অতঃপর তাকে বলা হলো নিরব হতে<br />বাতাস কখনো গায় না গান<br />পিছনে রয়ে যাওয়া আর্তনাদ শুনেছো কি?<br />অতঃপর তাকে বলা হলো নিরব হতে<br />জলের ভিতরে শতবার কেটে দেখো ক্ষত<br />চিহ্ন থাকে না অপরাধ কি ক্ষোভের<br />অতঃপর তাকে বলা হলো জল , মাটি ও বাতাস হতে<br />তিনি নিরব হলেন কিনা জানি না<br />বিক্ষুব্ধ মাতৃভূমি জ্বলে ওঠে বার বার<br />জল, মৃত্তিকা আর বাতাসে স্লোগানে স্লোগানে মুখর<br />বাঙালী হয়ত কথা বলে না<br />দেয় না জবাব সুশীল শব্দে<br />আগুন ও বিসর্জনে কবিতা আপনি থাকে লেখাThe eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-969882239319250382008-01-31T01:11:00.000+06:002008-01-31T01:24:22.911+06:00প্রতীক্ষীত ট্রেনতোমার কবিতার ট্রেন ছেড়ে গেছে কবেই<br />সমান্তরাল পথ ঘেষে না ছুঁয়ে পাশাপাশি<br /><br />এখনো বেলঘোর স্টেশনে দাঁড়িয়ে আমার শব্দের বিরহ<br /><br />দুঃখেরা চৌকাঠ পেরিয়ে আসে রোজ রাতে <br />শুধু ভালোবাসাটুকুই পায় না টিকেট ব্ল্যাক মার্কেটে<br /><br />তোমার কবিতার ট্রেন ছেড়ে গেছে কবেই<br />আমি কখনো দরখাস্ত লিখি স্টেশন মাস্টারের পদে<br />ভুল করে যদি নিয়েই ফেলে<br />একদিন ঠিক লাল রঙে থামিয়ে দেবো তোমার চলে যাওয়া<br /><br />তোমার কবিতার ট্রেন ছেড়ে গেছে কবেই<br />কাউকে তো থাকতেই হয় অপেক্ষায় ... ... ...The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-38958852851688928712008-01-29T14:39:00.000+06:002008-01-29T14:41:38.427+06:00অনাঘ্রাতাআমি তোমাকে কাছে থেকে দেখতে চাই ।<br />খুব, খুউব কাছে ।<br /><br />শুনেই পুরুষ সরায় তার দেহ আচ্ছাদন।<br />পরিচিত অপরিচিত নগ্নতা<br />তার রুপ সম্ভার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নির্বোধ সৌন্দর্য্যে ।<br /><br />আমি নির্লোভ হতাশায় নয়ন লুকাই অপমানিত বুকে।<br />দু'ফোটা জলের পর্দা টানি আমাদের মাঝে ।<br /><br />ও কি বোঝে না ?<br />মেঘ সরিয়ে নিলে আকাশ হয়ে যায় "মহাশূন্য" !The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com5tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-3329004268933695692008-01-26T22:29:00.000+06:002008-01-26T22:46:48.952+06:00ঘষা কাঁচের জীবনঘষা কাঁচে জীবন দেখি আজকাল<br />দুঃখ গুলো তাই ম্যাগ্নেফায়েড<br /><br />আচ্ছা , ম্যাগ্নেফায়েড মানে কি ?<br />মেগা স্টারদের মতো ঝলমলে দুঃখ ?<br />ম্যাগনামের মত অতর্কিত ?<br />ম্যাগ্নেটের মত বিপ্রতীপ আমাকে ছেড়ে যাবে না কখনো !<br /><br />আমার উত্তর মেরুতে তোমার নিরাপদ আশ্রয় ।<br />"আমি উত্তর" জীবনে তোমাকে কাছে পাবো নিশ্চয় ।<br />সেখানে তুমি নাজুক বিশ্বস্ততায় বলবে ভালোবাসার কথা ।<br />দক্ষিণে ঝুঁকে আমার কবিতার স্থায়ী নিরবতা ।<br /><br />বয়সী চশমায় পুনরায় রায় কবে না?<br />মেয়েটা বোকা ছিলো , বোঝেনি "হবে না"।<br /><br />ঝুলে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে বসে যাওয়া ধুলো<br />সাক্ষী দেবে আমার অপমান , মেয়েলী ভুল গুলো<br />সেই যে পায়ে হেঁটে তোমার বাড়ি যাওয়া<br />সেই যে রাতের পর রাত শুধুই জেগে থাকা<br />সব হারিয়ে দিনকে দিন দুপুরে না খাওয়া<br />ভুলে গিয়েও বুকের ভিতর তোমায় ধরে রাখা !<br /><br />তুমি কি আজ জানালা খুলে বৃষ্টি দেখছো প্রিয় ?<br />একটু তোমার কার্নিশে কি জল জমেছে রাতে ?<br />সে কার্নিশে আমার মুখটা পড়েই যদি ধরা ,<br />একটু তোমার পড়বে মনে ? "যেই মেয়েটা মরা"।<br />ঘষা কাঁচের আয়নাতে কি কষ্ট থাকে বাঁধা !<br />আমার নয়ন দেখছে শুধুই শূন্য , ম্যাগ্নেফায়েড !<br /><br /><br />( কষ্টেও কি ছন্দ থাকে ? ছন্ন ছাড়া শব্দ বাজার<br />গদ্য দিয়ে হয় যে শুরু , তাও দেখি তাল দিচ্ছে হাজার)The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-50421858476909389542008-01-23T13:18:00.000+06:002008-01-23T14:01:05.256+06:00এলোমেলো আজকের আমি - কষ্ট পাচ্ছিঅফিসের ফাইল গুলোকে ফর্দা ফাই করা আজকের প্রথম কাজ । তারপর আবেদন পত্র দুটো পাঠাতে হবে। আর বাচ্চাদের জন্য "অভূতপূর্ব " স্বাস্থ্য কার্যক্রমটা পুরো পুরি নিজের মাথা খাটিয়ে তৈরী করা । আলহামদুলিল্লাহ! কাজ জমে গেছে অনেক এত দিনে। ব্লগিং এর ফল । :(<br /><br />বন্ধু ব্লগারদের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে এই অবস্থা । আন্দোলন এর আগে থেকেই যাই যাই করছিলাম । ( সে তো কবে থেকেই করছি) । তবে পর পর দুটো বিশাল আঘাত মনে করিয়ে দিলো "কেউ কারো নয়" । ঠিক । কেউ আমার তো নয় , আমি ছাড়া । সুতরাং আমার এখন আমার নিজেকে বাঁচানো দরকার । মরতে বসেছি। একটা অফিসে । একটা বাসায় ।<br /><br />কিন্তু ব্লগ নিজেও কম আঘাত করেনি । অনেক গুলো মানুষকে ভীষন বিশ্বাস করে তাদের জন্য অনেক অপমান, কষ্ট , গালি গালাজ সহ্য করেছি । সবার উপরে বাংলাদেশ আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় । এই দেশটার জন্য আমার পরিবার কম ত্যাগ সহ্য করেনি। দাদু বাড়ি এবং নানু বাড়ি - দুই দিকেই অগণীত মুক্তিযোদ্ধা । মামারা যুদ্ধে গেছেন বলে নানাকে মেরে ফেললো । আব্বুর জন্য চাচাকে । যুদ্ধ করতে করতে মারা গেলো কতজন! এই বিশাল দুটো পরিবারের শাখা প্রশাখা তছনছ হয়ে গেছে । ছোট ছোট বাচ্চা গুলো অকল্পনীয় কষ্টে, দারিদ্রে, বাবার স্নেহ বঞ্চিত হয়ে বড় হলো । সেই দেশটাকে জামায়াত - শিবির- নিওরাজাকারদের হাতে চলে যেতে দেখছি প্রতিদিন! ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যেতে থাকে প্রতিক্ষণে । বাস্তবের মাটি , ১৫ কোটি মানুষকে তো রক্ষা করতে পারছি না। কিন্তু , ব্লগের ভার্চুয়াল মাটিতে অন্তত এই শিয়াল, শকুন, বরাহ , নেকড়েদের একটা মাইরের উপর রেখে বুঝিয়ে দিতে ইচ্ছে করে - এত সহজ নয় দখল । যতদিন একজনও বাঙালী থাকবে, ততদিন ঐ "বিদেশী প্রভুদের" পদলেহন করে , ওদের টাকায় , ওদের দেওয়া কৃত্রিম নিরাপত্তা , সমর্থন নিয়েই থাকতে হবে তোদের ।<br /><br />সুযোগ এবং শক্তি ফিরে পাওয়া মাত্র বাঙালী আবার তোদের কবরে পাঠাবে। সেই ৭১ এর মত । নাহ, কি লিখতে বসে কি লিখছি! আবেগ বড় এলোমেলো খেলছে । নাহ, আজ আর লিখবো না । কাজ করা দরকার। শুধু এইটুকু জানিয়ে রাখি । ব্লগে যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে গলায় রক্ত তোলে, তাদের আসল রুপ আমার সামনে তুলে ধরা হয়েছে ! আমি হতভম্ব ! এ আমি কাদের জন্য লড়ছি? কাদের সাথে লড়ছি?<br /><br />ছিঃ ছিঃ ছিঃ !<br /><br />কোথায় আমার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বাবা, মামা, চাচা, খালামনি , মামনি ! আর কোথায় এই সব ইতর জানোয়ার ! শিক্ষা বা রুচি - কোনটাই কোন দিন পেয়েছিলো কিনা সন্দেহ জাগে। আদর্শ ? নীতি ? ন্যায় ? সততা? কোথায় এই সব ! কিচ্ছু নেই । সবটাই "নোংরা মজা নেওয়া "। শয়তানি করা । আর এই শয়তানির আনন্দ পাওয়ার জন্য "মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার " । "স্বাধীনতার পক্ষে আছি" - স্রেফ এই ঢাল ব্যবহার করে সব কিছু করা যায়? অন্তত , সেই রকমই প্রমান পাওয়া গেলো । কেউ করছে , আর বাকিরা হাতে তালি দিয়ে মজা করছে । ছিঃ ।<br /><br />রাজাকার গুলা এই সব করে । আমি ওদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশাও করি না । ইবলিশ তো ইবলিশের কাজই করবে । কিন্তু , যারা মানবতা, সাম্য, সততা, ন্যায়ের জন্য লড়ে - তারা এই রকম করবে কেন?<br /><br />আমার যুদ্ধ তাই বলে থামবে না । তবে , আপাতত "স্থগিত"। নোংরামি করে ওরা কতদুর যেতে পারবে , আমি জানি । নোংরা পথে কোন দিন মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না । জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, ধর্মনিরপেক্ষতা আর সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্যের উপর দাঁড়ানো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র !<br /><br />এই না আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ!<br /><br />আদর্শহীন মানুষ দিয়ে এইটা অর্জন হয় কি করে? একে অন্যের উপর কিংবা চতুষ্পদী জন্তুর মত সারাক্ষন উপগত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে স্বাধীনতার সম্মান রক্ষা হবে! হায় রে !<br /><br />আমি খুশি আমার মুক্তিযোদ্ধারা কবর থেকে এই সব দেখছেন না । দেখলে , এই সমাজ, এই রুচি, এই ন্যায়বোধ , এই শিক্ষা , এই সম্মানবোধের জন্য প্রান দিয়েছেন ভেবে হয়ত আত্মহত্যাই করতেন আবার!<br /><br />আমার বাংলাদেশ , তাজিয়ার মিছিলে এখন আর হায় হাসান , হায় হুসেন না - হায় বাংলাদেশ বলে হাহাকার করে মন!The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-12210495538036742672008-01-23T13:05:00.000+06:002008-01-23T13:17:59.585+06:00আজ কাল পরশুএখন আর লেখার জায়গা না । লেখা লেখি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছি । অথবা বলতে পারি লেখালেখি এত বেশি জায়গা নিয়ে নিয়েছে জীবনের আর জীবন হঠাৎ এত প্রচন্ড ভয়ংকর সব মোড় নিচ্ছে , আমি আসলে চেষ্টা করছি , সব কয়টা অংশকে একত্র করে একটু গুছিয়ে নিতে । মাঝে মাঝে ছেড়ে দিতে হয় । পরিচিত সব কিছু । কাজ কর্ম, বন্ধু , পরিচিত অলি গলি । স্রেফ পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার যুদ্ধ । বরাবরের মত আমি একলাই লড়ে চলেছি । বাড়ির অবস্থা কেমন বলে বোঝাতে পারবো না । যারা একা একা থাকে , অথবা, যাদের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যু বরণ করেছেন , তাদের সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছি । এত কিছুর পরেও হাসিখুশি থাকার প্রানান্ত প্রচেষ্টা ।<br /><br />হোক। অসুবিধা নাই । লড়তে লড়তেই তো বড় হলাম। এই রকমই তো চলছে সেই কবে থেকে । তবে খারাপ লাগে , আমাকে সব সময় কেন একাই লড়তে হয়? অথবা কে জানে! সকলেই হয়ত শেষ পর্যন্ত ভীষন একা। আব্বু ভালো নেই । সারাদিন একা একা বাসায় মানুষটা পাগল হওয়ার দশা । আমি তো কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি সেই কবে থেকে ! কারো সাথেই কাজের বাইরে কোন কথাই বলি না । আবার নিজেকে বদলে দেওয়ার প্রয়োজনটা অনুভব করছি । নতুন করে কথা বলার শুরু । দুরত্ব যেটা নিজে থেকেই তৈরী করেছিলাম সবার সাথে , এখন নিজেই সেই দুরত্বকে কমানোর কাজে নামতে হচ্ছে । ফেরা কি যায় আসলে? সবটুকু যায় না বোধ হয় । আমি যা হারিয়েছি , সেটা হারিয়েই গেছে । এরপর যা হবে সবটাই দায়িত্ববোধ । কি নাম দেব এর ? ভালোবাসা ? কর্তব্য? ভন্ডামি?<br /><br />নামে কি আসে যায়?<br /><br />সবটাই জীবন , তাই না? সবটাই জীবন ।<br /><br />সবটুকু নিজেকে জবাই করে দিতে হচ্ছে । আমি হাসি মুখে বলেছি বিসমিল্লাহ! এবার তাহলে এসো , রাগ ইমনকে মাটিতে ফেলি, বুকে পা দিয়ে দাঁড়াই আর তারপর "কুরবানী কুরবানী কুরবানী"। :)The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-86601259367542127182007-12-10T01:06:00.000+06:002007-12-10T01:15:08.417+06:00একান্ত ব্যক্তিগত মতামত - সিডার আর ত্রান তহবিল<span style="font-size:130%;">ব্লগে ত্রান পাঠানোর উদ্যোগের সাথে সেভ দা চিল্ড্রেনের অতি পরিচিত লোগোটা ঝুলতে দেখছি । গত দুইদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা কাজ করা হয়েছে । এই গতকাল রাতেও তিনটার সময় এয়ারপোর্ট থেকে কম্বল ইত্যাদি নন ফুড আইটেম রিসিভ করে দুর্গত এলাকায় পাঠানো হলো । সুতরাং , এস এম এস সিস্টেমে কোথায় কি ভাবে ত্রান যাচ্ছে , সেই ত্রান নিয়ে কে কি করবে , কিছুই জানি না। মাত্রই জেনেছি সেভ দা চিল্ড্রেন ( ইউ কে) এর সাথে বাঁধ ভাঙার আওয়াজ মিলিত উদ্যোগে এই কাজটা করছে । ভালো উদ্যোগ । এবং এটা নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে । সত্যি কথা হলো আমার কম্পিউটার জ্ঞান , এস এম এস পাঠানো ইত্যাকার কাজের অপারেশন কস্ট , ওয়াগারা ওয়াগারা কিচ্ছু জানা নেই । সুতরাং গ্রামীন আর সামহোয়ার ইন কি করছে , আমি কিচ্ছু বুঝি নাই । কিন্তু সেভ দা চিল্ড্রেন সম্পর্কে আমি জানি । কি করছে , কি ভাবে করছে এই গুলো আমার জানা । কিছু ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে । তাই কিছু ব্যাপারে মানুষের ধারনা পরিষ্কার থাকা দরকার। বাংলাদেশে সেইভ দা চিল্ড্রেন এর ইউ এস এ, ইউ কে , অস্ট্রেলিয়া , সুইডেন এবং ডেনমার্ক কাজ করে । </span><a href="http://www.savethechildren.net/alliance/" target="_blank"><span style="font-size:130%;">সেভ দা চিল্ড্রেন এলাইএন্স </span></a><span style="font-size:130%;">হলো প্রায় ২৯টা দেশের ২৯ টা আলাদা আলাদা সেভ দা চিল্ড্রেন নামক সংস্থা যারা এখন মিলিত ভাবে কিছু "কমন" নীতি এবং এথিক্স মেনে কাজ করে । এর ভিতর উল্লেখিত পাঁচটা মেম্বার সংস্থা বাংলাদেশে কাজ করছে । প্রত্যেকের অফিস আলাদা । অপারেশন আলাদা । ফান্ড আলাদা । তবে , ন্যাচারাল ডিসাস্টারের মত বিশাল ঘটনায় সেভ দা চিল্ড্রেন চারটা অফিসই একসাথে এবং "ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যনেজমেন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে " বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য সংস্থাদের সাথে নিয়ে সমন্বিত এবং সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করে। সিডারের বেলাতেও তাই করছে । এখানে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত করা দরকার । সিডারের খবর পাওয়া মাত্র সেভ দা চিল্ড্রেন ৪৮ ঘন্টা আগে থেকেই সম্ভাব্য দুর্গত এলাকা গুলোতে কাজ করতে শুরু করে । আর ফান্ডের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের এস এম এসের উপর সেভ কোন ভাবেই নির্ভরশীল নয় । ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য নিজ নিজ সরকার আর রিসোর্স থেকে ফান্ড নিয়ে কাজ করছে সেভ । যারা ডোনেট করতে চান , সেই সব বিদেশী নাগরিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অন লাইন ডোনেশন ব্যবহার করেন । তবে নীতিগত ভাবে স্বাভাবিক সময়ে ( ন্যাচারাল ডিজাস্টার বাদ দিলে) সেভ যেই দেশে কাজ করে , সেই দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে ডোনেশন নেয় না । ( কই এর তেলে কই ভাজা নিষেধ ) সিডারের ক্ষেত্রে যেখানে কোটি কোটি টাকার খাবার , পানি , ওষুধ , কাপড় , কম্বল, ওরস্যালাইন , গৃহ নির্মান সামগ্রী লাগবে , সেখানে এস এম এস এর জন্য কে বসে থাকবে? তবে , এভ্রি বিট হেল্পস । যারা দুই চার টাকা খরচ করে সহজ উপায়ে ঘরে বসেই সাহায্য করতে চায়, তাদের জন্য একটা সুযোগ হয়ত মোবাইল কোম্পানি গুলো ( এবং সামহোয়ার) করছে । মনে রাখবেন , এই সব কোম্পানি হচ্ছে সব "ফর প্রফিট " অর্গানাইজেশন । কিন্তু সেভ বা অন্যান্য এন জি ও - "নন প্রফিট " অর্গানাইজেশন । কাজের ধরন , অপারেশন মোড , লাভ লোকসানের হিসেব --- একটার সাথে আরেকটা মিলবে না কখনো । এই উদ্যোগে সেভ এর ত্রান এবং এদত সংক্রান্ত কাজে এমন কিছু উনিশ বিশ হবে না । আমি যেটা বুঝেছি , নতুন করে কোন সিস্টেম না বানিয়ে সেইভ এর অন লাইন ডোনেশন সিস্টেমটাকে খুব সম্ভত কাজে লাগানো হচ্ছে । খোঁজ নিয়ে জানতে পারলে জানাবো । সবচেয়ে বড় কথা , আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে সাহায্য পৌঁছালেই হলো । একটু আগে ক্যরোলিনা , ইউ এস থেকে খালাত বোন খবর দিলো ওদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরা টাকা উঠাচ্ছে । এই রকম ছোট ছোট ব্যক্তিগত উদ্যোগের মতই একটা উদ্যোগ এই সামহোয়ার -গ্রামীন - সেভ । সিডারে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সকলের উদ্যোগ সফল হোক ।</span>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-13980812405632504832007-12-10T01:00:00.000+06:002007-12-10T01:06:36.184+06:00জাগরন ক্যাম্পেইনের ঘুমাইয়া যাওয়ার পেইনফুল সমাধান !<span style="font-size:130%;">দিন কাল খারাপ । যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙলো ঝড়ে গানটা শুনা নিষেধ । যেদিক তাকাই , খালি মন খারাপ করা খবর । তার ভিত্রেই চামে চুমে মুন ভালো করার চিষ্টা কইরা যাইতেছি । সেইটাতে কারু ত্রান মূলক সাহায্য পাওন যাইতেছে না । সকলে মিলিয়া পণ করিয়াছে , আমারে যেমনে পারুক , কান্দাইবো । কি আর করুম। কাম ও আকামে ব্যস্তু আচি । দিন ভইরা রিলিপের গপ মনিটর করি । কার কি লাইগবো , সেইডার যোগাড় যন্ত্র করি। রাত জাইগা পেলেনের থন রিলিপ নামাই । ভুরের বেলা সবাই বাথুরুমে যাওনের আগে বরিশাল পাঠাই । এই তো লাইফ , এক্কেরে জীবন হইয়া গেলো । লাস্ট ৪৮ আওয়ার্স ছিলাম ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্ক শপে । আপিসে আইসা দেখি , আমার সাধের কফির মাগ ভাঈঙ্গা লাইসে । আর টেবিলে পাহাড় সুমান উঁচা কাম। টেলিফুনে আমারে বিছ্রাইতাছে বেনামী সব নাম । মাঝে দিয়া আমার হইসে অনেক ইলজাম। ইলজাম ছুটানির লাইগা কচ্ছপের মত ঝাপাইয়া পড়লাম কামে। কিন্তুক টাইপাতে গিয়া দেখি হাতে বেদনা। লিখতে গ্যালেও বেদনা । এমুন কি , টাকার বিলে সাইন করতে গিয়াও বেদনা ! এ কি রে ! পেট ফাইটা কান্দন আইলো । আমি বিয়া করি নাই বইলা আমার এত্ত শাস্তি ? ক্যান? দুনিয়ায় কি সবাই বিবাহ করে ? জব্বার ভাই দেখি আইসা ঝাড়ি লাগাইলো । নাহ, বিয়ার লাইগা না । কিডা কিডা বুলে আমারে সালাম দিসে । আমিও ওয়ালাইকুম তফাত কইয়া ডুব দিলাম । আপিসের পুলিট্রিক্সে আমার পুলি আমি দূরে রাকি। লাইফ ইজ এ কমেডি । আই ওয়ানা লাফ ইট এওয়ে । আজাইরা কামে লাফ মাইরা পরে দুষ্কের গজাইরা গীত গাওনের কাম নাইক্কা । বসে চার্কি ছাড়সে । আরেক বসের লগে গুন্ডগোল । আমার কি? আমি কলা খাই । কলাতে পটাশিয়াম আচে । ব্লগাইতে আইয়া দেহি হাসিবে হাসুনির মায়ের নামে বিচার দিসে । নটি বয় । এক্কেরে নেটি পুলা। হাসুনির মায়েরে আমি বিলক্ষন চিনি। কত ডেট কর্চি । তাই একখান তেব্র পেরতিবাদ লিখলাম। আবার ও বেদনা । নাহ , এইবার চউখ দেওনই লাগে । তাকাইয়া দেহি হাতের আঙ্গুল ফুইলা কলাগাচ হইসে । আমি তো পাংখা ! এই বকরী ঈদে তাইলে মধুচন্দ্রিমা যাওন কনফার্ম। আঙ্গুল ফুইলা কলাগাচ মানে অনেক টাকার মালিক হওন-- মেয়েবেলার সমইস্ত ব্যা করন ভুলা গেলেও বাট কিন্তু এইডা ভুলি নাই । এই বার ঝড়ে সব বকরী দেহ রেখেছেন । ( তেন ঠাং চাড়া ) । সুতরাং ঢাকায় থাইকা ফায়দা নাই । সিকিম যাওয়া যাইতে পারে । মাগার এত ব্যথা কেলা ? আইজ কাইল নিজের সম্পর্কে অনেক কিছুই খেয়াল থাকে না । সব ভুইল্লা যাই । রবিবার মিটিং ছিলো , বাড়ির পাশে । ভুইল্লা গেসি । খাইয়া ভুইল্লা গিয়া দুই বার খাই । আবার কুনো দিন পেটে ছুচা নাচলে মনে পড়ে , অহ , রাইত নয়ডা বাজে । গত ২৪ ঘন্টায় কিছুই খাই নাই । রাতে ঘুমাইতেও ভুইল্লা যাইতেসি । বহুত বিছড়াইয়া মনেই করতে পার্লাম না । শেষ কালে কুটি বইনে ফুনে মনে করাইয়া দিলো , সকাল বেলা হাত পুইড়া গেসে । তাই এত ব্যথা , এত শোক , খাইতে মন চাইলো কোক। ছুডো বেলায় একবার ইস্তিরি দিয়া হাত পুইড়া গেসিলো । আমি ছুডো বেলা থেকেই অনেক বড় কবি । তাই থাকিতাম হইয়া উদাসী বনের পাখি । আর ভুইল্লা যাইতাম কুনডা ডাইন হাত আর কুনটা বাম । ইয়ে থি মেরা গাম । এক ছোটাসা বদনাম । তো এক হাতে ইঞ্চি তিনেক পুড়ার পরে সুবিধা হইলো । পুড়া দেইখা বুঝতাম পানি খামু নাকি পানি নিমু । এই বারও আমি খুব আশাবাদি । শোককে শক্তিতে পরিনত কইরালাইসি । জাগরনের কথা বন্ধুদের কাছে কইতে যাতে ভুইল্লা না যাই , তাই ঠিক করসি , যতবার ব্যথা পামু, ততবার একটা কইরা মেইল করুম। আপিসের ফুন দিয়া ফুনামু । আর দেখা হইলে , "জাগো ও ও ও ও ও ও ও ও " কইয়া ক্যাঁক কইরা ধরুম। পোড়া হাতে মলম আর লাগাইলাম না । যৌবনের স্বামী , থুক্কু, স্ত্রী আমারে যতই পোড়াক, আর যতই ব্যথা দিক , আমার আছে আয়োডিন বুদ্দি , তাই চোখে জল , মুখে হাসি । বাংলাদেশ ভালোবাসি ।</span>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-83543750550625402022007-12-10T00:51:00.000+06:002007-12-10T01:00:20.357+06:00হয়ত কেউ নেই আশে পাশে , তবু কোথা থেকে আলো আসে?<span style="font-size:130%;">কি বলবো ? আমি ভাষা হারিয়েছি । বার বার সিডার আক্রান্ত মানুষের খবর পড়ছি । ছবি দেখছি আর ডুবে যাচ্ছি । তীব্র অপরাধ বোধে ডুবে যাচ্ছি । প্রচন্ড শক্ত মানুষ হতে হয় যারা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করে তাদের। তারপর ও দরকার হয় মানসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য । কারন এই পরিবেশ , এই ধ্বংস যজ্ঞ , এই মৃত্যুপুরী - সহ্য করা প্রায় অসম্ভব। নিজেকে রোবট বানিয়ে ফেলার পরেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না । যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক করছেন । যারা একে অপরের পেছনে লেগে আছেন। যারা তত্ত্ব এবং তথ্য নিয়ে আঁতলামি করছেন , তাদেরকে বলি, যান। একবার গিয়ে ঘুরে আসুন সিডরের ঘায়ে তছনছ হয়ে যাওয়া জনপদ গুলো ।অনেক ব্যক্তিগত আক্রোশ , অনেক ব্যক্তিগত কষ্ট , অনেক ব্যক্তিগত আক্ষেপ ফিকে হয়ে যাবে । গৌণ হয়ে যাবে প্রেমের প্রত্যাখান , অফিসের প্রমোশন না পাওয়া কিংবা বাজারের ফর্দ । জীবনের অনেক কিছুর মানে খুঁজে পাবেন হয়ত ।আবার অনেক কিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে । প্লিজ যান, একটা বার ঘুরে আসুন । আমি জানি টিভি ছবি দেখাচ্ছে , পেপার ছবিসহ মানুষের কথা বলছে - তারপর ও - নিজের চোখে , নিজে উপস্থিত থেকে না দেখলে বুঝবেন না - কি কষ্ট , কি কষ্ট ! ৯১ এর ঘুর্নিঝড়ের পরে আব্বু রিলিফ নিয়ে গিয়েছিলো চট্টগ্রাম । যা দেখেছিল তার কোন বর্ননা আমরা আজো তার মুখ থেকে বের করতে পারিনি ।শুধু মনে আছে , ফিরে আসার পর দুই দিন মুখে কোন খাবার রোচেনি তার ।অথচ মানুষটা ৭১ এর ৯টা মাস লাশ আর হত্যা আর লুটপাট - সবই দেখে এসেছেন । ডাকাতের মত শক্ত হৃদয় মানুষটাকেও নিঃস্তব্ধ করে দিয়েছিলো ৯১ । কিছু বলতে পারছি না ।কিছু বলার নেই । যারা পারেন , তারা নিজের চোখেই দেখে আসুন। আমার ভাষা নেই । আমার চোখ শুকিয়েছে । আমারে শুধু দুইটা হাত আছে । আমি তাই নিয়ে চেষ্টা করে যাবো । আর আপনি ?</span>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-51508869203726086262007-12-10T00:44:00.000+06:002007-12-10T00:50:57.009+06:00একটা সমন্বিত তথ্য ঘর কেন পাই না ? (সিডার)<span style="font-size:130%;">সকালে এসে অফিসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের কাছ থেকে আপডেট পেলাম । সিডোরের ত্রান কাজে গতকাল পর্যন্ত কি হয়েছে , তাই জানালো । সংখ্যা গুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সরকারী হিসেবে আক্রান্ত মানুষ, অনাথ শিশু , মৃত গবাদি পশু আর নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের হিসাব । সাথে কোথায় কি বিতরন হয়েছে তার বর্ননা । আর ও কি কি লাগবে , কতদিনের জন্য , তার একটা দ্রুত করা অংক । একবার ভাবলাম , ব্লগে দেব নাকি আপডেট গুলো? মানুষ কি উৎসাহিত হবে জেনে তাদের পাঠানো টাকা গুলো কোথায় যাচ্ছে ! আবার মনে হলো , নাহ । মানুষ অর্ধেক কথা বোঝে না আর বাকি অর্ধেক ভুল বোঝে । যা আমি লিখবো উৎসাহ দেওয়ার জন্য , অথবা , স্রেফ জানানোর জন্য - তা হয়ে যাবে বিজ্ঞাপনী প্রচার । বাদ দিলাম । শুধু মাথার ভিতর দপ দপ করছে কয়েকটা তথ্য । আক্রান্ত সকল মানুষের অর্ধেক শিশু আর তাদের ভিতর ৫ বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা ৬ লাখ। ঠিক কত জন শিশু এক বা দুই জন অভিভাবকই হারিয়েছে তার সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায় নাই , কিন্তু সেইটা বৃহত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই সব শিশুরা শুধু অনাহার , আশ্রয়হীনতা কিংবা রোগের ঝুঁকির ( মহামারী আকারে ডায়রিয়া , কলেরা ইত্যাদি) ভিতরেই নেই - অরক্ষিত অবস্থায় তারা শিশুশ্রম , পাচার কিংবা শারীরীক মানসিক নির্যাতনের শিকারও হতে পারে । যেই শিশুরা অনাথ হয়ে গেলো , তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সাহায্যের দরকার হবে। শুধু খাবার, পানি , ওষুধ দিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখাটাই তো যথেষ্ট নয়। তাদের জন্য নতুন পরিবার চাই , চাই নতুন বাবা মা। চাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা । অনেক লম্বা সময় ধরে পুনর্বাসনের কাজ চালাতে হবে । আমরা কয় জন এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারছি? সরকারী হিসেবেই দক্ষিণাঞ্চলের এলাকা ভেদে ৯৫% ফসল নষ্ট হয়ে গেছে । সরকারী গুদামজাত খাদ্যের মেয়াদ হলো ২০০৮ সালের মার্চ পর্যন্ত । কিন্তু , পরবর্তী ফসল মে মাসের আগে ঘরে উঠবে না । পাক্কা দুই মাসের বিশাল গ্যাপ ডিমান্ড এবং সাপ্লাই এ। ঝুঁকিপুর্ন গোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সরবরাহের কাজ শুরু করবে সরকার ডিসেম্বর মাস থেকে । কিন্তু আসলেই কতজনকে এই ভাবে বসিয়ে খাওয়াবে সরকার? ক্ষেতের ফসল নেই। হালের বলদ নেই ।মাথা গোঁজার ঘর নেই।হাতে কোন পুঁজি নেই ।বীজ ধান নেই । কেউ কেউ সম্পুর্ন পরিবার হারিয়েছেন । কি করে পূনর্বাসিত হবে এই মানুষ গুলো ? এই ম্যাসিভ আকারের কাজ করার জন্য কতটা যুথবদ্ধ হতে হবে আমাদের ? কারো কোন ধারনা আছে ? ৫০ লক্ষ মানুষকে খাওয়াতে হবে, পরাতে হবে , নতুন করে উপার্জনের পথ করে দিতে হবে। আপনারা এখনো কি নিয়ে ব্যস্ত বন্ধুরা ? কারো চশমা ? কারো লুঙ্গি ? খুব গুরুত্বপূর্ন জিনিস বোধ হয় । ৫০ লক্ষ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন । ব্লগে কম্পু জিনিয়াস অনেক আছেন জেনেছি । ত্রান কাজে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে সমন্বয়হীনতার । কেউ কারো খোঁজ রাখতে পারছেন না । কোথাও একাধিক বার ত্রান বিতরন হচ্ছে । কোথাও একেবারেই পৌঁছাচ্ছে না । আচ্ছা , সারা দেশ এবং বিদেশ থেকে কে কোথায় কি করছে , এই তথ্য গুলো একটা মাত্র ওয়েব সাইটে ঢুকানো যায় না রে ভাই? মানে , একটা নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করলাম, জেনে গেলাম কোথায় কোথায় কি কি সাহায্য লাগবে। কতটা গেছে । আরও কতটা চাই । আমার সংস্থা কোথায় কি পাঠালো তার একটা আপডেট নিজ দায়িত্বে দিয়ে এলাম । এমন কিছু কি করা যায়? সামহোয়ার ইন কর্তৃপক্ষ , এই উদ্যোগটা নেবেন? একটা কমন প্লাটফর্ম । যে কেউ এসে তাদের ত্রান কাজের আপডেট দিয়ে যেতে পারে । যে কেউ এসে জেনে যেতে পারে । সমস্ত লিংক গুলো এক জায়গায় থাকতে পারে । মানে একটা "ইনফরমেশন সেন্ট্রাল হাব" এর মত । বুঝাই তো যাচ্ছে , অন্তত মে মাস পর্যন্ত ত্রান কাজ চলবে । করতে পারলে এইটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ন রিসোর্স হবে সকলের জন্য । লিংকের প্রচারের কাজটা করতে পারবো । দেশী, বিদেশী , সরকারী , বেসরকারী বিভিন্ন গ্রুপে এই " হাব " এর খবর এবং লিংক পাঠানোর দায়িত্ব সম্মিলিত ভাবেই নিতে পারি । আপনারা এই ধরনের ডাটা ব্যাংক বানানোর একটা উদ্যোগ কি নেবেন? ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির ওয়েব সাইট থাকতে পারে । কিন্তু , সেটা ইন্টার এক্টিভ হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখি না । কারো মাথায় কিছু এসে থাকলে একটু শেয়ার করেন। [সিডারের কাজ করতে করতে মন মেজাজ কিছুতেই ভালো রাখতে পারছি না । লেখাটা পড়ে কারো খারাপ লাগলে দুইটা গালি দিয়ে মাফ করে দিয়েন । ]</span>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-8676830694772062322007-12-10T00:41:00.000+06:002007-12-10T00:44:21.777+06:00বেশি ভিতরে ঢুকো না ( সাবধান, বিব্রতকর কথা আছে)<span style="font-size:130%;">এই মহান বানীটি কে কবে কাকে প্রথম দিয়েছিলো , জানি না । তবে এই বানীটি যে মহান এতে কোন সন্দেহ নাই । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">কলেজে এক প্রেমিক জুটি ছিলো; দিন নাই, রাত নাই , খালি মেয়েদের ( আমিও সেই দলে) পিছনে লাগে । মাথায় কাপড় দাও না কেন ? বোরখা পড়া ছেড়ে দিলা কেন ? ছেলেদের সাথে এত হেসে হেসে কথা বলো কেন? নামায পড়ো না কেন? কার ওড়না কত লম্বা , কার বউ সবার সামনে স্বামীর হাত ধরেছে ! সবার মাথাটাই খারাপ করে দেয় আর কি ! তারা হইলো যাকে বলে টিপিকাল সুশীল সমাজের প্রতিনিধি , বুদ্ধিজীবী মেডিকেল স্টুডেন্ট । তো , ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় মেয়ে ফেল করলো । আমার প্রিয় বান্ধবী না হইলেও , একটা ভালো স্টুডেন্ট হুট করে ফেল করলে খারাপই লাগে । তব্ধা খাইলাম, বুঝলাম না কিছুই । হঠাত ফেল করলো কেন? মাইয়া কয় শরীর খারাপ। সত্য কখনো চাপা থাকে না । যেই ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটিয়েছিলেন এই মহিয়সী এবং তার সুশীল প্রেমিক , সেই ক্লিনিকেই একেবারে পড়বি পড় মালির ঘাড়ে , আমারই বন্ধুর সাথে দেখা এবং পালাতে গিয়ে ধরা খাওয়া । আমি অবাক হয়ে বন্ধুরে কইলাম , তাহলে আমাদের এত সমালোচনা করে , এত উপদেশ দিয়ে বেড়ালো যেই সুশীল , ধর্মপরায়ন প্রেমিক জুটি , তারা নিজেরা বিবাহের পূর্বেই এত সব কান্ড ঘটিয়ে ফেললো ? প্রিম্যারিটাল সেক্স আর একটা প্রান হত্যা তাইলে নামায না পড়ার চেয়ে কম খারাপ ? বন্ধু খালি হেসে বললো , "বেশি ভিতরে ঢুকো না।" আমি মাথা চুল্কাই । "কারে কইলা ?" দুস্ত কয় , তোমারে আর ঐ প্রেমিক -দুইটারেই ! </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">তখনো পাশ করি নাই । পরিচয় হইলো এক বিদেশীর সাথে । ব্যাটা আমার ক্লাস প্রেজেন্টেশন দেখে পুরা পাংখা । সবার সাথে সেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ । ইউনিসেফ এর ইয়া বড় কর্ম কর্তা । কার্ড দিয়া , ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকলো । আমি তো আর নাই! লাখ টাকা বেতনের চাকুরী হেটে হেটে নিজে থেকে ধরা দিচ্ছে ! স্বপ্ন না মরীচীকা ! ইন্টারভিউতে আমি উত্তর দিবো কি, সে নিজেই আমি কত ভালো , কত বুদ্ধিমতী , কত সম্ভাবনাময় , ইনোভেটিভ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে কুল পায় না। (দুনিয়াতে খুব কম বিষয়ে জানি। তবে নিজের বিষয়টা বোধ হয় খারাপ জানি না) কথা গুলা শিক্ষকদের মুখ থেকেও সারা বছর শোনার সৌভাগ্য হয়েছিলো বলে আমি তখনো সন্দেহ করতে পারিনি - আসলে কি ব্যাপার ! চাকরী আমার নিশ্চিত প্রায় , প্রথমে ছোট খাট প্রজেক্ট দিয়ে শুরু হবে । তারপর পার্মানেন্ট । তো কাজের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য আমি আগামী সপ্তাহান্তে তার সাথে রাজেন্দ্রপুর সি ডি এম -এ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কশপে যোগ দিতে পারবো কিনা । দুই দিন থাকতে হবে । পাক্কা দশ মিনিট আমার মাথাতে ঢুকেই নাই আসলে কি চাওয়া হচ্ছে ( আমি চরম গাধা নাকি বেশি অনভিজ্ঞ ছিলাম- এইটা এখন মনে হয় ) । আমি আরো বসে বসে চিন্তা ভাবনা করছি , ক্লাস আছে কিনা, পরীক্ষা আছে কিনা -- ভাবতে ভাবতে হঠাতই মাথায় দিমাগ কি বাত্তি জ্বলে গেলো । দ্রুত কথা শেষ করে বেরিয়ে এলাম। বের হতে না হতেই এক জিগিরী বান্ধবী অতি উতসাহে ফুন দিলো , " কি রে , কবে খাওয়াবি ?" অপমানে চোখ দিয়ে টপ টপ কইরা পানি গড়াইতাসে , তাও হাসতে হাসতে কইলাম, "লাখ টাকায় নিজেরে বিক্রি করার স্কিলটা এখনো শিখতে পারি নাই ।" বান্ধবী জিগাইলো , তাইলে "----" আপা চাকরী করে কেমনে ? আমি কইলাম , "বেশি ভিতরে ঢুকো না।" </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">প্রথম চাকরীটা করতাম একটা স্কুলে । বেতন তেমন বেশি না । কারো কারো ছুটি নিয়ে বিদেশ বেড়ানো আর হীরার আংটি , লেটেস্ট পারফিউম , গুচির ব্যাগ - কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারতাম না। আমি সকালে চাকরী করি , বিকালে ক্লিনিক , তাও শালার হিল্লী দিল্লী করার কথা চিন্তাই করতে পারি না তখনো । বান্ধবীর বিয়ে হইলো ব্যাংকারের সাথে । তার স্বামীর অফিসেও দুই এক পিস এই রকম আছে । হিসাব মিলাই দিলো বান্ধবী। বসের সাথে পার ট্রিপ - এক সুটকেস কাপড় আর ক্যাশ টাকা । এখন আয়ের সাথে ব্যয়ের তুমুল অসঙ্গতিআলা কাউকে দেখলেই মনে হয় , " ইমন , চুপ! বেশি ভিতরে ঢুকো না।" </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">ছেলেটা মোবাইল বিশারদ । ল্যাভিশ লাইফ লিড করে ।গাড়ি, বিদেশ ভ্রমন , বান্ধবী ইয়ত্তা নাই । কোথায় পায় এত টাকা ? নতুন সেট কিনবো বলে তার সেটটা দেখার জন্য নিলাম । বেশ দামী সেটটার ভাও বুঝতে একটু সময় নিচ্ছিলাম । হঠাত কুতুব ফিস ফিস করে উঠলো , " আপি , প্লিজ , বেশি ভিতরে ঢুকো না ।" বদ্দার ডায়লগ ঝেড়ে দিলাম, " কি রাখছিস ? শরমের ছবি না গরমের?" মামুর হাসিতে যা বুঝার বুঝে নিলাম । ক্যামেরাটা ৫ মেগাপিক্সেল। </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">কর্পোরেট দুনিয়া । মাল্টি ন্যাশনাল দুনিয়া । দেশী বিদেশী ব্যাংক । মিডিয়া ওয়ার্ল্ড । ছিটে ফোটা ঘুরে বেড়ানো । কোথাও বন্ধু , কোথাও আত্মীয় । আমি মোটামুটি দুরেই থাকি । তাও কাজের সূত্রে বা বন্ধুদের মুখে জানতে পারি নানান কাহিনী । এইচ আই ভি প্রোগ্রাম গোপন প্রকাশিত , পরিচিত , পরিচয়হীন অনেক মানুষের কথা বলে দেয় । ডিজিএফাই এ ক্লাস মেট চাকরী করে । শুনি রঙ্গিলা সব ঘটনা । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">মানুষ বদলে গেছে ভীষন ভাবে । আমার প্রজন্মের ছেলে মেয়ে গুলোকেই আমি চিনতে পারি না । যাদের বয়স এখন ২৫ থেকে ৩০+ । কি এক সর্বগ্রাসী ক্ষুধা তাদের ভিতর । পেতেই হবে । সব কিছু পেতে হবে । সবাইকেই পেতে হবে । যে কোন মূল্যে । মানি , মাদক , মেয়েমানুষ - তিন এম এর পিছনে ছুট ছুট ছুট । মেয়েরাও পিছিয়ে নেই । সবাইকে পেছনে ফেলে সামনে যাওয়ার জন্য অনেক মাশুল গুনতে রাজি । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">বাংলাদেশে কি সার্ভাইভাল এতই কঠিন হয়ে গেছে ? কোন নীতি মেনে আর জীবন ধারন সম্ভব নয় ? নাকি আমাদের লোভ বেড়ে গেছে ? মানুষ নই আর , হয়ে গেছি কঞ্জিউমার ? পুঁজি অবশ্য বাজার খোঁজে । আর ক্রেতা । মানুষ তার দরকার নেই । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">মানুষে মানুষে সম্পর্ক তৈরী করাটাও এখন পুঁজিবাদী ভীষন । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">আমার বন্ধু আমার প্রোফাইল নেম দিয়েছে ।পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট গাধা । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">কেন? কারন আমার নাকি রাসূলের সময় জন্ম নেওয়া উচিত ছিলো । ওই যে, যখন সবাই সদা সত্য কথা বলিত । আমি মানতে পারলাম না । গাধা বলেছে আপত্তি নাই । হতেই পারি । কিন্তু , রাসূলের সময়ের মত কঠিন বিধি নিষেধ মেনে চলবে সবাই - এইটা তো আমি জীবনেও আশা করি না । কে বোরখা পরবে , আর কে ফ্রি সেক্স করে বেড়াবে - আমার তাই নিয়ে সামান্যতম চিন্তা নাই । যার যেই ভাবে বাঁচতে ইচ্ছা করে , বাঁচুক । ব্যক্তিগত ভালো মন্দ, পছন্দ -অপছন্দ মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার । আমি কি আল্লাহ নাকি ? আমি কেন বিচার করতে যাবো ? আমি শুধু বন্ধুকে এইটুকুই বলছিলাম, আমি চাই মানুষ সত্য কথা বলুক । তুমি যা , নিজেকে সৎ ভাবে সেইটাই প্রকাশ করো । তার পরে আমার সাথে তোমার আকাশ পাতাল তফাত থাকলেও আমার কোন সমস্যা থাকবে না । তুমি সমকামী না চার্চের হেড নান , তাতে আমার কিছু যায় আসে না । তোমার বিশ্বাস তোমার কাছে । আমার বিশ্বাস আমার কাছে । আমরা বন্ধু হতেই পারি । এই টুকু চাওয়াতেই , " সর্বোৎকৃষ্ট গাধা " উপাধি পেয়ে গেলাম। আর বন্ধু ১ লক্ষ ১ বারের মত মনে করিয়ে দিলো , আমি রাগ ইমন এই দুনিয়ার জন্য ফিট না । জিগাইলাম, "তাহলে অনুমতি দাও, বিদায় নিয়ে অন্য দুনিয়ায় চলে যাই? " রাস্কেলটা এখনো জবাব দেয় নাই । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">আইরিনের বিবাহ সংক্রান্ত পোস্ট পড়ে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো । বায়োডাটা দেখা হয়েছে । আব্বু আম্মু যথারীতি ছেলের পড়া লেখা , পরিবার , কাজ কর্ম , সামাজিক - অর্থনৈতিক অবস্থানের খোঁজ নিলেন । "মানুষ কেমন " দেখার দায়িত্ব পড়লো আমার উপর । কথা বলে মনে হলো, পারফেক্ট । কোথাও কোন দাগ খুঁজে পাওয়া যাবে না । কিন্তু , ততদিনে গাধার গোবর ভরা মাথাতেও কিছু ঘাস গজিয়েছে । ফলে মাথায় কিছু অক্সিজেন ও বহিতেছে । আমি আমার মত করে খোঁজ নিলাম । স্কুলে ও হাসপাতালে চাকুরী করার সুবিধা হলো , চোখের সামনে দেখেছি ক্লাসের ফার্স্ট বয় , পারফেক্ট অল রাউন্ডার ছেলেদের " অফ দা রেকর্ড" লাইফ এর কান্ড কীর্তি । এই গুলা কাহিনী তাদের পরিবার পর্যন্ত পৌঁছায় না । আম্মু চিল্লা পাল্লা করে জানতে চাইছে , " এই ছেলেটাকে বিয়ে করতে তোমার সমস্যাটা কোথায় ? খারাপ কি দেখলা ? " কি করে বলবো মাকে , আমার প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কি করে বেড়ায় ! যা জানি , মুখ ফুটে বলতে পারলাম না । আম্মা সহ্য করতে পারবে না । স্রেফ বললাম , " বেশি ভিতরে ঢুকো না।" </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">মানসিক শান্তি বজায় রাখার কোন উপায় বুঝি আজকাল বাকি নেই । কানে তুলো , পিঠে কুলো দিয়ে গাধা হয়ে সারাদিন ঝিমাও । সি নো ইভিল। হিয়ার নো ইভিল । আর হ্যাঁ , বেশি ভিতরে ঢুকো না ।</span>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-5494951452326754596.post-69559836995090606892007-12-10T00:33:00.000+06:002007-12-10T00:37:10.989+06:00দুঃসময় খামচে দিলে<span style="font-size:130%;">যেভাবে সংখ্যা পেরিয়ে </span><br /><span style="font-size:130%;">শূন্যের দিকে যাওয়া যায় </span><br /><span style="font-size:130%;">সেভাবেই যেতে চাই</span><br /><span style="font-size:130%;"> স্লেট থেকে সব মহৎ অংক মুছে ফেলে</span><br /><span style="font-size:130%;"> কোন নদীর দিকে যেতে চাই ! </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">তীব্র অপরাধ বোধে সারা রাত নির্ঘুম কেটে গেলো । বরিশাল যাওয়ার বিনা মেঘে বজ্রপাত ধরনের নির্দেশ এসেছিলো । স্রেফ ৫ মিনিটের নোটিশে সিদ্ধান্ত নিতে হবে , যেতে হবে রাতের ভিতর । কিন্তু যাওয়া হলো না। অথচ এই যাওয়ার জন্যই অপেক্ষা করে আছি ক'দিন ধরে । সারা বিকাল ছটফট করতে হলো অক্ষম হাত দুটোতে মোবাইল জড়িয়ে ধরে , অন্য কাউকে খুঁজে । পেলাম , শারমিন যাচ্ছে আমার জায়গায়। আমার যেতে আপত্তি ছিলো না । কিন্তু অসুস্থ ৭৪ বছরের পিতাকে সম্পূর্ণ একলা রেখে বরিশাল চলে যাওয়াটা আরেক অমানবিক কাজ হতো । তাকে এক বেলা একা রাখা যায় । তা'বলে সাত দিন? অসম্ভব । এক্সিডেন্টের পরে হাসপাতালে থাকা গেলো না , ব্যথা নিয়েই অফিস -বাসার দায় দায়িত্ব স্বীকার করে উঠে দাঁড়াতে হলো , হাঁটতে হলো হাসিমুখে (কিচ্ছু হয়নি , হাঁটতে পারবো , নো প্রবলেম) - তখনো এতটা খারাপ লাগেনি । নিজের শরীরটাকে কেটে ছিড়ে পুড়িয়ে ভাগাড়ে ফেলে রাখতে আমি ওস্তাদ । ব্যথা এত সয়েছি , এখন আর কষ্টকে কষ্ট মনে হয় না । মনে হয় স্মৃতি রোমন্থন। শরীর সয়ে গেছে আমার । কিন্তু এই মানসিক যন্ত্রনা থেকে বের হতে পারছি না । কত গুলো শিশুমুখ আমাকে বার বার ডাকছে । আমার কি ওদের প্রতি দায়িত্ব ছিলো না? উফ, এই সময়টাই কেনো একলা আমি। এত এত একলা । কেউ নাই , আমি ছাড়া , কোথাও কেউ নেই । সমস্ত দায় ভার , অক্ষম কাঁধে আবার! </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">জলের মত জটিল ছিলো দিন</span><br /><span style="font-size:130%;">জলের মত গড়িয়ে গেলো জলে </span><br /><span style="font-size:130%;">চোখের জলে বেড়েই ছিলো ঋণ </span><br /><span style="font-size:130%;">ছোঁয়নি যখন তোমার করতলে ! </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">বাধ্য হয়েই পেপার পড়তে হচ্ছে আবার । দেশটাকে বিষাক্ত অর্গলে দমবন্ধ হতে দেখছি প্রতিনিয়ত। দেখতে ইচ্ছে করছে না। চোখ বন্ধ করে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের বাইরে ভাবতে ইচ্ছে করছে না । কষ্ট হচ্ছে খুব । কিন্তু চাইলেই কি অন্ধ হওয়া যায়? চাইলেই কি এড়ানো যায় প্রলয়? রাজনীতি , অর্থনীতি , সমাজ সংস্কৃতি - সকল অঙ্গনে চলছে সাদা চুনকাম। তবে তাতে ভন্ডামি এত বেশি যে মুখে চুন লাগিয়ে কাম কেলী ছাড়া আর কিছু হচ্ছে বলে তো মনে হয় না । সামরিক ধর্ষনজাত জারজ গণতন্ত্র শেষকালে কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না । জন্মনিয়ন্ত্রনের মত দুর্নীতি নিয়ন্ত্রনের প্রাকৃতিক পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবার পরিকল্পনা করে ছেড়েছে । বাস্তব জ্ঞান না থাকলে যা হয় । পরীদের কল্পনা করেই কাটাতে হচ্ছে । বাস্তবের পরিবার লোপাট ! দেশ চালানো আর যুদ্ধক্ষেত্র কি এক? নিয়ন্ত্রন আর নিয়মকানুন দরকার আছে । দরকার শাস্তি ব্যবস্থা ও । কিন্তু টুপিধারী দাড়াল আর তাদের বৈদেশী নাগরদের পদলেহন করে প্রলয় ঠেকানো যাবে না । যাবে না কারন ১৪ কোটি ভুখা পেট খাবার ছাড়া আর কোন নিয়ম মানবে না । বাজারে গেলে দমবন্ধ হয়ে আসছে । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">শহর ছেড়ে চলো এবার চলো গাঁয়ে </span><br /><span style="font-size:130%;">গাঁয়ের শুরু তোমার পায়ে পায়ে । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">স্বাধীনতা যুদ্ধে আপাত জিতে যাওয়ার পরে আমরা গ্রাম ভুলে থেকেছি । করেছি ঢাকার উন্নয়ন। আর শিয়ালে শকুনে দখল করে নিয়েছে গ্রাম। আমাদের অবহেলা এবার চারিদিক থেকে গিলে খাবে আমাদের । আত্মধ্বংসী এই প্রক্রিয়াটিকে বিপরীত মুখী না করতে পারলে আর একতা আশা করে লাভ নেই । বহুবার প্রতারিত করেছি আমরা সবুজ বাংলাকে । আজ সেই সবুজ নিয়েছে সামরিক আর জঙ্গী উর্দির জমিনে আশ্রয় । আমার নিজের দোষ । শোধরানোর পথ খুঁজছি । </span><br /><span style="font-size:130%;"></span><br /><span style="font-size:130%;">কবে শেষ হবে </span><br /><span style="font-size:130%;">এই সব মোটামুটি মরে বেঁচে থাকা? </span><br /><span style="font-size:130%;">অসময় খামচে দিলে </span><br /><span style="font-size:130%;">উড়বে কি স্বপ্নের ভীরু পাখা?</span>The eternal optimisthttp://www.blogger.com/profile/04305880888504957962noreply@blogger.com0