Saturday, July 28, 2007

এমন করে বাসবো ভালো !


লাখো কি মেহফিলমে ভি একেলা মেহসুঁস হোনে লাগে

তেরে যানে বাদ , হাম সফর , তেরে আনে কে আগে

তুনে এক শহর ছোড়া

ম্যায়নে দুনিয়া ছোড়দি



In a gathering of millions

I feel isolated from the universe

You have left my city

Now its baren and dead with out you!



তোমায় এমন বাসবো ভালো

মৃত্যু এসে থমকে যাবে


তোমায় আমি খুব জড়াবো

আজরাঈল ও চমকে যাবে


ভাববে প্রভু , এই দুজনা

আবার কেন একলা হবে?


এক আত্মায় টুকরো করে

শান্তি কি আর রইবে ভবে!



ঈশ্বরের হাত কেঁপে যাবে যেদিন সময় হবে কাউকে ডেকে নেওয়ার । প্রভু কি তাঁর সবচেয়ে বিশুদ্ধ প্রেমের রূপটিকে ভেঙে ফেলার মত কঠোর হবেন? তিনি কি হারাতে চাইবেন , তাঁর আনন্দ খনি ? আমি তোমাকে যেমন করে ভালোবাসতে চাই , সে তো মহাকালের সময় আধারিত নয় , প্রিয়! আমি তোমায় যেমন করে ভালোবাসতে চাই , সে তো বস্তুবাদীতায় আক্রান্ত নয় । আমি তোমায় যেমন করে ভালোবাসতে চাই , সে তো যুক্তি, হিসেব আর স্বাভাবিকতার শৃঙ্খলে শিকলিত নয় , প্রিয়ম। আমার ভালোবাসায় মুক্তি । আমার প্রেমে স্বাধীনতা । আমার বাহুতে শান্তি । আমার বুকে , তুমি , তুমি , তুমি ।


জিন্দেগীমে তো সব হি পেয়ার কিয়া করতে হ্যায়

ম্যায় তো মর কর ভি , মেরি জান, তুঝে চাহুঙ্গা !


তু মিলা হ্যায় , তো ইয়ে এহসাঁস হুয়া হ্যায় মুঝকো

ইয়ে উমর মুহব্বত কে লিয়ে থোড়ি হ্যায় !


সবাই তো জীবনে চায় প্রেমের অবগাহন

আমি তো তোমায় মৃত্যুর ঐ পারেও চেয়ে যাবো

তোমায় পেয়ে খুব বুঝেছি যতই বাসি ভালো

একটা জীবন ভীষন ছোট , ভরবে না তো এ মন!


Friday, July 20, 2007

তোমার ঠোঁটে


তোমার ঠোঁটের চৌকাঠে প্রিয়
দাঁড়ায়েছি দেখো আজ ভিখারিনী
বিভাবরী , মরি! চাঁদের এই আলো
বরষার মেঘ দু’কুল হারালো
দাও অনুমতি , হৃদয়ের পতি ,
লও ঘরে , করো পান্থ রে ঋণী ।

কমল কপোলে , নয়নের দিঘী
তরে থর কাঁপে হিয়া বিরহিনী
রঙধনু বাঁকে রাঙানো দুয়ারে
সচকিত স্থিত চরন রুয়া রে
কর্ণ ফলকে , পুলকে পলকে
প্রণয় মদিরা করি বিকিকিনি !

Friday, July 6, 2007

আন্মডারেটেড দেশপ্রেম ইন্টারনেটে বদলায় না

অল এনিমেলস আর ইকুয়্যাল - সাম এনিমেলস আর মোর ইকুয়্যাল দ্যান আদার্স

জর্জ অরোয়েল ( এনিমেল ফার্ম)

অশরীরী শরীরেও লেগে গেলো দাগ
দেখেছো কখনো কোন নিদাগ মেয়েবেলা ?
নখরের সাথে মিলে খুরের উন্মাদ
খেলে চলে ক্ষমতাকে চেটে দেওয়া খেলা

এই সব কোন দিন হয় না পুরানো
কারবালার হোসেইন কিংবা বৃটিশের কেরানী প্রেম
শোষকের প্রথম পছন্দ মীর , ভাতের কাঙাল
কাকেদের মধু মধু আনুগত্যের হেম

আমাদের কেউ কেউ , যারা বুঝে ফেলি
দৃঢ় পায়ে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নেই উলঙ্গ প্রতিরোধ
ঘাসমূলে প্রান্তিক ভালোবেসে, আত্মজ ভুলে
বুকের রক্তে দিতে চাই ২৫শে মার্চের শোধ

মুক্তিকামী যোদ্ধারা কেউ ভাবেনি “ফিরবো”
আমরাও ফিরি না কাগজ ও কোটার লালসায়
জীবন আর শরীর , চেতনায় বাংলা মায়ের ঋণ
থু থু দেই তোদের ঘুষের ব্যবসা , লাভের মালশায়।

বিউটি খালার মডারেট মুমিন , দেখি সবুজ প্রেমে মত্ত
ডিজিটালেও পুরান মদের নতুন শিশি’র পসরা
আমরা খালি অবাধ্য রই মদ ছোঁব না পণে
দেশ বিকিয়ে কিনবো না কেউ বেহেস্ত যাওয়ার খসড়া !

Thursday, July 5, 2007

কতটা মেঘ ঝরে গেলে শুকিয়ে যায় নূহের প্লাবন ?

প্রশ্নটা আক্ষেপ নয় । অনেকটা আত্ম উপলব্ধি । সামহোয়ারে কেন , কি ভাবে গিয়েছিলাম - সে গল্প হয়েছে । কেন ছুটি নিলাম - সেই নোংরামি আর ঘাটতে মন চায় না। রবার্ট ব্রুসের ধৈর্য্য রাগ ইমনের । আমি হয়ত অতটা সময় নষ্ট করতে রাজি নই । শুধু মাঝে মাঝে ভীষন বিষন্নতা চেপে বসে । কেন? জীবন আমাকে অনেক নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে । সত্যিই দিয়েছে । দাম নিয়েছে অনেক বেশি কিন্তু সর্বহারার দাবী তুলতে পারিনে কখনো । সেই তুলনায় সামান্য একটা ব্লগের "বোগাস " বাড়ি কেন আমার মন খারাপ করে দেবে? উঁহু । কোন যুক্তি নেই ।

যুক্তি নেই বলেই খুব ভালো করে জানি , এই বিষন্নতার কোন স্থায়িত্বও নেই আমার ভিতরে । চির আশাস্থিত আমৃত্যু বৈরাগী । এইটে হয়ত অদ্ভুত কিন্তু সবচেয়ে সত্যি আমার বেলায় । আমি থামতে জানি না । চাইও না। কিছুই যাবে না ফেলা । রাগ , অভিমান , ঘৃনা এবং তোমার অবহেলা । কিছুই যাবে না ফেলা। সামহোয়ারে নেশা ধরে গিয়েছিলো । ব্লগার বা মন্তব্য নয় । লেখার নেশা । লিখতে পারার নেশা । আমার মেয়েবেলার নেশা । নেশা ধরে গিয়েছিলো ভালোবাসার । এইটে তো আমার বনেদী নেশা ! কাউকে এক মুহূর্তের জন্যও না চিনে, না জেনে , বিন্দুমাত্র প্রতিদান আশা না করে মানুষকে ভালোবাসা । স্রেফ ভালোবাসা । চিকিৎসক হিসেবে এই ভালোবাসার সুযোগ - যেটা তাৎক্ষনিক কিন্তু স্থায়ী - মানুষকে ছুঁয়ে দেওয়ার এই নেশাটুকু ফিরে পেয়েছিয়াম সামহোয়ারে। আমার সাম্প্রতিক দিনকাল মানুষকে সামনাসামনি ছুঁতে দেয় না গো ! বড় কষ্ট হয় আমার । কাগজে কলমে কি মানব ভজন হয় ?

রাগ ইমনের কিংবা আমার - কারো কোন অস্তিত্ব নেই। না আমি জন্মেছি , না আমি মরবো । অস্তিত্বহীনের থাকে না মুছে যাওয়ার ভয়। কিন্তু মানুষের স্পর্শে স্পর্শে জেগে থাকা , কারো ভিতরে ভালোবাসার বীজ বুনে দিয়ে - সৃষ্টির উচ্ছ্বাস নিয়ে দেখে যাওয়া - ঐ দেখো কেমন ফুটে উঠেছে একটি কুঁড়ি , দুটি পাতা! আহা রে ! সে কি আনন্দ ! মানবই ঈশ্বর ! আমার উপাসনা । মানবের ভিতর দিয়ে আমি ঈশ্বরকে পেয়ে যাই । আর ঈশ্বরের ভিতরে দেখি মানব চরিত্র!

তোমরা যাই বলো । আমি কিন্তু গান , কবিতা , অভিনয় , ছবি আঁকা - কিছুকেই শিল্প মানিনে । মানুষ আমার কাছে শিল্প । সবচেয়ে মহৎ , সবচেয়ে জটিল , সবচেয়ে সহজ আবার সবচেয়ে বিধ্বংসী শিল্প ! তবু , সে আমার শিল্প।

শিল্পের নেশা হলো কাঁকড়াবিছে নেশা । কামড়ে ধরেছে যখন, ছাড়াতে তো সময় নেবেই ! চলুক তবে । লেখার সাথে খেলা । হয়ত পার হয়ে যাবো সিথান , উঠোন , বাথান ঘেষে কপোতাক্ষের পার । হয়ত চোখের ভিতরে জমে যাবে আঁধার । হয়ত তো মেঘেরাও একদিন চাইবে ছুটি । হয়ত এই বাড়িতেও দেখবো কাফনের লুটিপুটি । তবু , আজকের জন্য , এইখানে একটু বসি ।

ইমন, খারাপ লাগছে ? দুরো , বোকা মেয়ে । সামহোয়ারে তোমায় নিয়ে সবাই মিলে ব্যবসা শুরু করেছিলো , তুমি বুঝতে পেরে সরে এসেছো । তুমি কি মানুষ আজ নতুন চিনছো ? মনে নেই? অন্ধকার মনে নেই? ঐ যে , যখন মাত্র ২৪ ঘন্টায় বদলে গেলো চির চেনা ভূগোল ! স্প্রিন্টের রানী , খেলার মাঠের অপ্রতিরোধ্য চাম্পিয়ন - এক রাতের ভিতর হয়ে গেলো "পঙ্গু" , মনে নেই? কেউ ছিলো আশে পাশে ? ভোঁজবাজির মত হাজার হাজার প্রেমিক, ভক্ত , বন্ধু , আত্মীয় - পালিয়ে বাঁচলো , মিলিয়ে গেলো একটি "রিস্কি ইনভেস্টমেন্টের " ভয়ে!

আর কি আশ্চর্য - রাস্তা ঘাটের অপরিচিত মানুষ , হাসপাতালের ৮০০ টাকা বেতনের কেরানী , ডাইনিং হলের এজাজ কিংবা কামাল ভাই , টেলিফোনের ঐ পাশে অপরিচিত যুবক ! এরা কেউ কাঁদলো । কেউ সারা মাসের একদিন ছুটি পরিবারের সাথে দেখা না করে চলে গেলো পীরের মাজারে , অব্যর্থ ওষুধের খোঁজে। কেউ ঘড়ি ধরে প্রতিদিন খবর নিলে, দিলে ব্যথার ওষুধ । কেউ, না চিনে না জেনে, বসে রইলে বাংলাদেশে উৎকন্ঠিত অপেক্ষায় - "আচ্ছা, সিঙ্গাপুরের ডাক্তার কি বললো , আপনি কি আর কোন দিনই হাঁটতে পারবেন না?" আর বরুনদা ! বাগানের মালী । " আপা , আমার একটা পেশী কেটে নিয়ে লাগালে আবার হাঁটতে পারবেন না? বলেন না ডাক্তার বাবুকে ! আমি দোবো ।"

তুমি ঐ দিন দাঁড়িয়েছিলে জীবনের সবচেয়ে বিশুদ্ধ সত্যের সামনে । তুমি ঐ দিন জেনেছিলে , ভালোবাসা কি। তুমি ঐ দিন নিয়েছিলে নিজের সবচেয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত । বোকা বোকা শত্রুরা কোন দিনও বুঝবে না । অভিমানী বন্ধুরা কোন দিনও জানবে না । যেই মেয়েটা হুইল চেয়ারে বসে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকে - তাকে বুঝিয়ে দিতে হয় না কি ভাবে উঠে দাঁড়াতে হয়। যে বিশ্বাসঘাতকের হাত ধরে হাসতে জানে - তাকে শিখিয়ে দিতে হয় না সাহস কি ভাবে ধরে রাখতে হয় । যে তার শত্রুর কষ্টে কাঁদতে জানে তাকে দেখিয়ে দিতে হয় না কতটা ভালোবাসা যায় যখন তুমি নিজে সকল চাওয়া পাওয়ার বাইরে ।

_______________________________________________________

একজন প্রকৃত মুমিন কোন সম্পদ চল্লিশ দিনের বেশি জমা করে না।

Monday, July 2, 2007

এলোমেলো টুকরো ভাবনা

১।
রাগের নাম খুঁজে পেলে এক মুঠো সুর
আকাশ তখন ছিলো মেঘলা প্রেম বিধুর
সে আকাশে নামে স্বরের খেলা ফোটা
কি সব রাগে ভেঙে পড়ে বুকের চিলে কোঠা !

২।
চরিত্রহীন সে, দুষ্ট লোক
করেছে ভোগ
বিধাতার আনন্দ ধামে ।
জীবনের অবিমিশ্র দামে
সে কি না খুঁজে নিলো বিষের বাটি
অথচ পাশেই পড়ে ছিলো শুদ্ধতার খুঁটিনাটি !

৩।
সব কালচে মেঘের নিরাপদ আচ্ছাদন ছুঁড়ে ফেলে
বিষন্ন রোদের কম্বলে উষ্ণ হয় নাগরিক বেসাতি
প্রিয় কলমের খাপ চৌচির । পরোক্ষে কালি ঢেলে
মুছে নেই যত পেন্সিলে লেখা প্রেম আত্মঘাতি !